ইতিহাসের অনেক প্রখ্যাত জ্ঞানীগুণী ব্যাক্তির এই বাড়িতে আগমন ঘটেছে। এই বাড়ীটি সিলেট বিভাগের ঐতিহ্যেকে করেছে সমৃদ্ধ । সিলেটের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এই এহিয়া ভিলা রাষ্ট্রীয় স্মৃতির বাগান হিসাবে এই ভবন ব্যবহৃত হবে। এই ভবনে খান বাহাদুর এহিয়া জেনারেল হসপিটাল স্থাপন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এ হাসপাতাল মানব সেবায় বিশেষ ভুমিকা রাখবে। পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতার আহবান জানিয়ে এহিয়া ভিলাকে মিউজিয়াম হিসাবে ব্যবহার করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান জাতি সংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার এহিয়া ভিলা জিতু মিয়ার পয়েন্টস্থ খান বাহাদুর এহিয়া জেনারেল হসপিটালের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিলেটে বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, জনকল্যাণ মূলক কাজে অংশ গ্রহণ বৃদ্ধি। সেই লক্ষ্যে এই হাসপাতলটি স্থাপন করা হয়েছে। এর সুযোগ সুবিধা আশ পাশের লোকেরা বেশি ভোগ করবেন। জিতু মিয়া সাহেবের লক্ষ্য উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানান। খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকাফ এষ্টেট’র পক্ষ থেকে হবিগঞ্জের বানিয়াচং এলাকায় একটি কলেজ স্থাপনের উদ্যেগ নেয়ার হয়েছে। এতে মানব সেবায় দ্বার আরো উন্মুক্ত হবে। শুরুতে হাসপাতালের ফলক উন্মচন শেষে পবিত্র কোরাআন তেলাওয়াত করে মোনাজাত করেন হাফিজ রাজু আহমদ এবং ফলক উন্মচন শেষে আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকাফ এষ্টেট এর বিশেষ সহায়ক কমকর্তা শাহীদ মোবারক। সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের ব্যাক্তিগত সহকারী মামনুর রশিদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুণাল কান্তি দেব, সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শাহাদত হোসেন, ওয়াকাফ এষ্টেট’র ম্যানেজার আব্দুর রহমান, ডা. দেবাশীষ দাস সামান্ত, এবি ফার্মাসিটিকেলের পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ মামুন আহমদওয়াকাফ এষ্টেট নায়েব ফয়েজ আহমদ, অফিস সহকারী রুহুল আমীন রুহেল, সহকারী তহসিল ধার এইচ এম আমির আলী প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন