বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

রাণাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় : আমাদের কালের কথা

        প্রয়াত মাষ্টার রিয়াজ উদ্দীন
.
১৯৮১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আমি চৌঘরী গোয়াসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি । তখন বিদ্যালয়ের অবস্থা বড়ই করুন । পাঁচ জন শিক্ষকের স্থলে আমিসহ মাত্র তিন জন শিক্ষক কর্মরত । তাও দু-জন নন মেট্রিক এবং অন্যজন অতি বৃদ্ধ । এ পরিস্থিতিতে ভাল ভাবে শিক্ষা দান সম্ভব ছিল না বিধায় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক সংখ্যা বাড়াবার অনেক চেষ্টা করি, কিন্তু ব্যর্থ হই। পরে নিরুপায় হয়ে তখনকার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জনাব কুতুব উদ্দীন আহমদ, মক্রম আলী, সিরাজ উদ্দীন, হাজী আব্দুল মনাফ, আরব আলী, জিয়া উদ্দীন, ও জনাব সোনাওর আলী মহোদয়সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি পরামর্শ সভা আয়োজন করি । সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুলের শিক্ষার মান্নোয়নের জন্য অত্র এলাকার তিনজন শিক্ষানুরাগী ( তখনকার কলেজ ছাত্র) ফারুক আহমদ, হোসেন আহমদ ও ছাদিক আহমদকে অবৈতনিক ভাবে স্কুলে শিক্ষাদানের আহবান জানাই । তারাও আমাদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বিষয়টিকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহন করে শিক্ষাদানে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্কুলের সার্বিক উন্নতি ঘটে যার ফলে স্কুলের দু জন ছাত্রী মনোয়ারা বেগম ও আফিয়া বেগম পর পর দু'বছর সরকারী বৃত্তি লাভ করে। এমন কি সেই সময় রমজান মাসেও তারা, তৃতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী দেরকে নিয়ে বিশেষ কোচিং এর ব্যবস্থা করেন, যা এলাকায় উদ্দীপনার সৃষ্টি করে । তখন অভিভাবকগন তাদের এহেন উদ্যোগে খুশি হয়ে ইফতারীর জন্য যে সম্মানী দিয়ে ছিলেন, সেই সম্মানী দিয়ে তারা স্কুলের জন্য একটি হাতল চেয়ার ও স্কুল ঘরের ভিতরের ছাদ নির্মাণ করে দেন । তাদের এ সকল কার্যক্রম সে সময় আমাকে দারুন ভাবে প্রভাবিত করে । এরা তখন কীভাবে এলাকার উন্নয়ন হয়, কীভাবে এলাকাবাসি দেরকে একত্রিত করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়, এ নিয়ে আমার সাথে আলাপ-আলোচনা করতেন। তখন আমাদের সমমনা আরেকজন বন্ধু জোটেন । তিনি হলেন লন্ডন প্রবাসী জনাব আব্দুল খালিক। ১৯৮৩ সালে আমরা ইউনিয়ন ভিত্তিক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করি । দুই দিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনের চা-চক্রে এলাকাবাসী অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে আমরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এলাকায় একটি পোষ্ট অফিস ও একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন করি । সবাই এতে একমত পোষণ করে আমাকে একটি সভা আহবানের পরামর্শ দেন। এক সময় পোষ্ট অফিস স্থাপনের কাজ বেশ এগিয়ে যায় কিন্তু নানা কারণে শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। ১৯৮৫ সালে আমরা হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগী হয়ে একটি সভা আহবান করি । সভায় এলাবাসি প্রাইমারী স্কুলের সম্মুখস্থ জায়গাটি স্কুলের জন্য পছন্দ করেন। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও জমির মালিককে জমি দানে রাজী করানো সম্ভব হয়নি। এমনকি হাজী আব্দুল মনাফ উল্লিখিত জমির পরিবর্তে অন্য জমি (অন্য যে জায়গায় তার জমি আছে সেখান থেকে) দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও আমাদের কাঙক্ষিত জমিটি পাওয়া যায়নি। পরে কালিদাস পাড়া, রায়গড়, ইত্যাদি স্থানে স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নিয়ে বেশ কিছু সভা আহবান করা হয়। এক সময় 'রায়গড় দ্বিতীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের' পাশে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু সভার শেষ বক্তা ফারুক আহমদের যুক্তিনিষ্ঠ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত তাও হয়নি।
১৯৮৬ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি প্রবাসী আব্দুল খালিক, ফারুক আহমদ, হুসেন আহমদ ও ছাদিক আহমদ এই পাঁচজন মিলে একটি সভা আহবান করে এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেই যে, যা হবার হবে ১৯৮৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আমরা চৌঘরী গোয়াসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েই ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণী চালু করবো। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিসেম্বর মাসের শেষ দিন প্রাইমারী স্কুলের রেজাল্ট ঘোষণার সাথে সাথে একটি সভা আয়োজন করি। এতে ২৮ জন অভিভাবক ও এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন। সভায় কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ ক্রমে প্রাইমারী স্কুলের নির্মানাধীন আইডিএ কক্ষ-সংলগ্ন স্থানে কাঁচাঘর তৈরী করে এবং সাময়িকভাবে অফিস কক্ষ ও আইডিএ কক্ষে ক্লাস চালু করা যায় কি না এ বিষয়ে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সাথে সাথে ১৯৮৭ এর ১ জানুয়ারি থেকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য অভিভাবক দের সাথে যোগাযোগ ও ক্লাস চালু করার জন্য ফারুক আহমদ, হুসেন আহমদ ও ছাদিক আহমদ প্রানপণ প্রচেষ্টা চালান। এ সময় আমাদের সহযোগি ও পরামর্শদাতা হিসেবে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন লন্ডন প্রবাসী আব্দুল খালিক, আব্দুল ওদুদ, মাখন মিয়া, জিয়া উদ্দীন, ইসমাইল আলী, হাজী আব্দুল মনাফ, মাওলানা সামসুদ্দীনসহ আরও অনেকে । এছাড়া সভাগুলোকে সাফল্যমন্ডিত করে স্কুলে ছাত্রছাত্রী দেরকে ভর্তি হতে অনুপ্রাণিত করা অর্থা যেখানে যা প্রয়োজন তা করতে বিশেষ ভাবে ভুমিকা পালন করেন আব্দুল হেকিম, শওকত আলী, মাশুক উদ্দীন, আবুল কালাম ও চুনু মিয়া (দরজী) সহ আরও অনেকে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২ জানুয়ারী আমি প্রাইমারী স্কুলে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণী খোলার অনুমতি লাভ করি এবং আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে থাকি ।এই সময় প্রবাসী আব্দুল খালিক (লন্ডনী) একখন্ড ভূমি দানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করলে আমাদের এই উদ্যোগ আরও বেগবান হয়। তখন একটি কাঁচাঘর নির্মানের জন্য হুসেন আহমদ দুই বান্দ টিন, মাখন মিয়া এক বান্দ টিন ও তজম্মুল আলী (তুতা মিয়া) দুই বান্দ টিন দান করেন। এছাড়া আব্দুল ওদুদ স্কুলের জন্য খাতাপত্র ও ব্যানারের কাপড় এবং হুসেন আহমদ ব্যানারটি লিখিয়ে দেবার দায়িত্ব নেন। তখন স্কুলের নাম (দেওয়া হয় ) ছিল 'রাণাপিং উচ্চ বিদ্যালয়'। সে সময়কার সভাগুলো হাজী আব্দুল মনাফ, আব্দুল খালিক ও হাজী নিসার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল প্রতিষ্ঠার ধ্বনি জোরেসুরে এলাকাময় ছড়িয়ে দেন উক্ত ব্যক্তিবর্গের সাথে আলা উদ্দীন, মাওলানা শওকত আলী, জয়াইদ আলী,হাজী ময়না মিয়া ও আব্দুল খালিক প্রমুখ। বলা যায়, তখন গোলাপগঞ্জ বাজারে অবস্থিত আব্দুল ওদুদের টেইলারিং শপটি এতদসংক্রান্ত একটি সভা কক্ষে পরিণত হয়েছিল। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী ভর্তির প্রানপণ প্রচেষ্টা দেখে একদিন প্রবাসী আব্দুল খালিক, ফারুক আহমদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, " তুমি একজন সত্যিকারের সংগঠক। সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের দ্বারা যে সমাজের উন্নয়ন হয় তা-ই প্রমাণীত হতে চলেছে। এজন্য তোমাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ। আজ থেকে তুমি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রথম প্রধান শিক্ষক আর হুসেন আহমদকে আমরা বানাবো স্কুলের প্রথম সভাপতি। "তখন ফারুক আহমদ, হুসেন আহমদ, ছাদিক আহমদ, আছমান উদ্দীন ও বদর উদ্দীন আহমদের (টুনুমিয়া) সাথে ধর্ম শিক্ষার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মাওলানা আব্দুল লতীফ এবং খন্ডকালীন হেলাল উদ্দীন আহমদ। সার্বক্ষণিক শিক্ষকরা প্রায় সকলেই ছিলেন অল্প বয়স্ক। তাই আমরা এম.সি.একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল মুকিতকে স্কুলে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগী হই। আমি তাকে আনার দায়িত্বটা চাপিয়ে দেই ফারুক আহমদের উপর। সম্ভবত ১৯৮৭ সালের ১৯ জানুয়ারি ফারুক আহমদ আব্দুল মুকিতকে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগদান করতে রাজী করান। তখন ফারুক আহমদ আমাদের কাছে প্রস্তাব করেন যে আব্দুল মুকিত সাহেব তার শিক্ষক । তাই স্বেচ্ছায় তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্বটি জনাব আব্দুল মুকিত সাহেবের নিকট হস্তান্তর করতে চান। এর পর থেকেই আব্দুল মুকিত সাহেব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব লাভ করেন। তবে রণকেলী গোলাপ কুঁড়ি শিশু বিদ্যালয় থেকে শিক্ষাদান শেষে স্কুলে আসার পূর্ব পর্যন্ত ফারুক আহমদ সুষ্টভাবে স্কুল পরিচালনা করতেন এবং এতে তাকে আমি সার্বিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছি। প্রবাসী আব্দুল খালিক সাহেবের জমি পাওয়ার পর জয়াইদ আলী, আব্দুল খালিক, আব্দুল মজিদ (ময়না মিয়া) সালেহ আহমদ চৌধুরী, হাজী নিসার আলীকে নিয়ে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ ইংরেজী তারিখে স্কুলের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপিত হয়। স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উপজেলা চেয়্যারম্যান জনাব ফজলুল হক (তানু মিয়া) এবং অনুষ্টান শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলের ক্লাস উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও এম. সি. একাডেমির প্রধান শিক্ষক জনাব এম. করিম চৌধুরী। সম্ভবত ওই দিন অথবা এর দু'একদিন পরে গোলাপগঞ্জে জনাব আব্দুল ওদুদ-এর টেইলারিং শপে জনাব খয়ের উদ্দীন আহমদ (চুনু মিয়া) নতুন স্থানে স্কুল গৃহটি বাঁশবেত দিয়ে তৈরীর পরিবর্তে পাকা করে নির্মানের প্রস্তাব রাখেন এবং এতে প্রয়োজনীয় সিমেন্ট দানসহ সার্বিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দানের ফলে এলাকাবাসীর মনে নতুন করে আশার সঞ্চার করে। পরবর্তীকালে তার এই দূরদর্শী চিন্তা ধারার জন্য তাকে স্কুল নির্মান কমিটির সভাপতি নির্বাচন করে নতুন স্কুল গৃহটি নির্মিত হয়। এ নির্মান কাজে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন শিল্পপতি তজম্মুল আলী (তুতা মিয়া) সহ এলাকার অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। এখানে উল্লেখ্য যে, স্কুলের পাকাঘর নির্মানের আগে ৭ম শ্রেণীর জন্য চৌঘরী-গোয়াসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আইডিএ কক্ষের পশ্চিম পাশে একটি কাঁচাঘর জিয়া উদ্দীনের সহ যোগিতায় (এরা এলাকা থেকে বাশ সংগ্রহ করেন ) তৈরী করা হয়। এছাড়াও ১৯৮৭-এর ২ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুলটি নতুন স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত স্কুল পরিচালনার জন্য ডেক্স-বেঞ্চ-চেয়ার-টেবিল-ব্লাকবোর্ড-ডাস্টার এবং প্রথমে আমার অফিস কক্ষ এবং পরে আইডিএ কক্ষ-সহ স্কুলের যাবতীয় দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে দিয়েছি।
বলা বাহুল্য, এই ছোট স্মতিচারণমুলক লেখায় এলাকার সকলের অবদানের কথা স্মৃতি থেকে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তাই অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কথা হয়তো ভুল বশত: এ লেখায় আসেনি। তবে সর্বশেষে আমি এ কথা বলবো যে, এ বিদ্যালয়টিকে স্বার্থক রুপায়নে আমাদের সকলের চাইতে তুলনামুলক ভাবে বেশি কৃতিত্বে দাবীদার খয়ের উদ্দীন আহমদ (চুনু মিয়া), শিল্পপতি তজম্মুল আলী(তুতা মিয়া), মাখন মিয়া, হুসেন আহমদ ও আলাউদ্দীন প্রমুখ।_____রিয়াজ উদ্দীন : অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। (রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় : স্মারক ২০০৬ থেকে সংগৃহীত)। (সংগ্রহে: হাফিজুল ইসলাম লস্কর)

বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

উপমহাদেশের প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস আল্লামা রিয়াছত আলী (রহঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী

জন্মঃ
.
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন শাইখুল হাদিছ, শেয়খে চৌঘরী আল্লামা রিয়াছত আলী (রহঃ) সিলেটের  ঐতিহ্যবাহী গোলাপগজ্ঞ থানার চৌঘরী গ্রামস্থ এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৩০৬ বাংলা মোতাবেক ১৯০০ ইং ১৩২০ হিজরীতে জন্ম গ্রহন করেন ৷

প্রাথমিক শিক্ষাঃ
.
উস্তাযুল মোহাদ্দীসিন আল্লামা রিয়াছত আলী চৌঘরী (রহঃ) নিজ গ্রামের হাকিম ডাঃ আব্দুল আজীজ সাহেবের নিকট, এরপর হাজীপুর নিবাসী ক্বারী আকমল আলী সাহেবের নিকট প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেম। এরপর ফুলবাড়ী আজিরীয়া আলীয়া মাদ্রাসায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। এর পর হাদিছের সর্ব উচ্চ জ্ঞান লাভের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দ ভর্তি হন ৷ ১৩৪৪ সালে দারুল হাদীসের পরীক্ষা শেষ করে বাড়ীতে ফিরে আসেন ৷
চৌঘরী (রহঃ) সম্মানীত উস্তাদ মন্ডলীঃ-
শায়খুল হাদীস আল্লামা আনওয়ার শাহ কাম্মিরী (রহঃ), আল্লামা সাব্বির আহমদ উসমানী (রহঃ), আল্লামা রাছুল খাঁ সাহেব (রহঃ), আল্লামা আছগর হোসাইন (রহঃ), আল্লামা এয়াজ আলী (রহঃ) প্রমুখ৷

মাদ্রাসা প্রতিষ্টাঃ
.
ঐতিহ্যবাহী ঢাকাউক্তর রানাপিং আরবিয়া হুছাইনীয়া মাদ্রাসা ১৯৩০ ইং সালে প্রতিষ্টা করেন। এর পর ১৯৮২ ইং তে নিজ বাড়ীর পার্শে সিলেট জেলার প্রথম মহিলা টাইটেল মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করেন ৷ নাম হল রিয়াছতুল উলুম মাদ্রাসাতুল বানাত , রানাপিং৷

রাজনীতিঃ
.
আল্লামা চৌঘরী (রহঃ) ১৯৬৪ ইং পূর্ব পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি, শেয়খে কৌড়িয়া (রহঃ) সহ সভাপতি ও মাওঃ আশরাফ আলী বিশ্বনাথী (রহঃ) কে সাধারণ সমম্পাদক করে পুর্ব পাকিস্তান জমিয়তের প্রথম কমিটি ঘটন করা হয় ৷ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পুর্ব পাকিস্তানের প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি হলেন আল্লামা শেয়খে চৌঘরী (রহঃ)।

বৃটিশ বিরুদী আন্দোলনঃ
.
শেয়খে চৌঘরী (রহঃ) বঙ্গ প্রদেশে বৃটিশ বিরুদী আন্দোলনে অগ্র নায়ক ছিলেন। বৃটিশ বিরুদী আন্দোলন করতে গিয়ে বৃটিশের অন্ধকার কারাগারে নির্যাতিত হয়েছেন , এবং দীর্ঘ দিন বৃটিশের অন্ধকার কারাগারে বন্ধী ছিলেন৷

ইসলামী আন্দোলনঃ
.
তদানীন্তন পাকিস্তান আইয়ূব খাঁন কতৃক মুসলিম পারিবারিক আইন পাশের বিরুদ্ধে সিলেটে সর্বস্তরের উলামা— মাসায়েখগন প্রতিবাদ মুখরহয়ে রেজিষ্টারী ময়দানে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন ৷ জেলাপ্রশাসক রেজিষ্টারী ময়দানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোসনা করে ১৪৪ ধারা জারী করে এবং রেজিষ্টারী ময়দানের প্রধান গেইটে তালাবদ্ধ করে রাখে ৷ এদিকে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে সিলেট শহর লোকে লোকারাণ্য কিন্তূ কেহ রেজিষ্টারী ময়দানে ঢুকার সাহস পাচ্ছেন না এমতাবস্তায় আল্লামা শেয়খে চৌঘরী শত শত আলিম উলামা কে সাথে নিয়ে যখন হাজির হলেন সিলেটে ৷ তখন মর্দে মুজাহিদ শেয়খে কাতিয়া (রহঃ) জানালেন ১৪৪ ধারা জারী এবং রেজিষ্টারী ময়দান তালাবদ্ধ হুজুর বললেন চল শেয়খে কাতিয়া কে সাথে নিয়ে রেজিষ্টারী ময়দানের গেইটের তালাভেঙ্গে হাজার হাজার তৌহিদী জনতাকে নিয়ে মুসলিম পারিবারিক আইন পাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ
করেন ৷ ১৯৭১ ইং দেশ যখন স্বাধিনতা সংগ্রাম চুড়ান্ত পর্যায়ে তখন শেয়খে চৌঘরী (রহঃ) নিজ এলাকার জনসাধারনের জান —মাল ইজ্জত আবরু হিন্দু মুসলমান সকল শ্রেনির মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অত্যান্ত তৎপর ছিলেন ৷ সর্দার আলাউদ্দিন, ডঃ, ফজলু, দাউদ হায়দার সহ অনেকেই ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন শেয়খে চৌঘরী (রহঃ) তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোদে গর্জে উঠেছেন সিলেটে এবং গোলাপগজ্ঞে, প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছিলেন ৷

শেয়খে চৌঘরী (রহঃ) সন্তানাদিঃ
.
আল্লামা চৌঘরী (রহ:) ৩ মেয়ে ও ৬ ছেলে , ১ মেয়ে মৃত ২ মেয়ে জীবিত আছেন ৷ ৬ ছাহেব জাদাদের মধ্যে ৩ জন মৃত ৩জন জীবিত ৷ মোঃ তাইয়িব মৃত ৷ মোঃ তাহির আলী মৃত ৷ হযরত মাওঃ ঈসমাইল আলী (খাঁন সাব হুজুর) (রহঃ)
যারা জীবিত আছেন তারা হলেনঃ-
মাওঃ মোহঃ ইয়াহইয়া সাহেব , দাঃ বাঃ
আলহাজ্ব ইউসা আহমদ ( প্রবাসী)
মোঃ ইলিয়াছ আহমদ ( ব্যবসায়ী)

আল্লামা চৌঘরী (রহঃ) সম্মানিত ছাত্র বৃন্দঃ
.
শায়খুল হাদীস মাওলানা তাহির আলী তৈইপুরী হুজুর (রহঃ), শায়খুল হাদীস হোসাইন আহমদ বারকোটি (রহঃ), শায়খুল হাদীস আশরাফ আলী বিশ্বনাথী (রহঃ), হযরত মাওঃ উবায়দুল হক সাবেক এম,পি, (রহঃ) হযরত মাওঃ মুস্তাকিম আলী (দাঃ বাঃ), শায়খুল হাদীস হেলাল উদ্দিন আহমদ (দাঃ বাঃ), হাফেজ মাওঃ আনওয়ার হোসাইন (রহঃ), হযরত মাওঃ খলিলুর রহমান রাজনগরী (রহঃ) ), শায়খুল হাদীস জাওয়াদ সাহেব পারকুলী (রহঃ), হযরত মাওলানা মাহমুদ আলী সাহেব (রহঃ), ঘনশ্যাম মুফতি জামিল আহমদ সাহেব বালাগজ্ঞী (রহঃ), হাফেজ মাওলানা ওহিদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা তায়িদুর রহমান সহ আর অনেক প্রমুখ উলামায়ে কেরাম হুজুরের সম্মানীত ছাত্র৷

ইন্তেকালঃ
.
১৯৯০ ইং ২৪ শে মে, রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ৩,২০ ঘটিকার সময় নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে  মাওলা পাকের সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে দুনিয়া ছেড়ে হাজার হাজার ছাত্র মুরিদান ভক্তদের সুখের সাগরে ভাসিয়ে ইহকাল ত্যাগ করে চলে যান ৷ ইল্লালিল্লাহি...............রাজিউন
নামাজে জানাজাঃ-
পরদিন বাদ আছর রানাপিং মাদ্রাসা মাঠে হাজার হাজার ভক্ত শাগরীদ মুরীদান উপমহাদেশের অসংখ্য ওলি আউলিয়া মুফাছির শায়খুল হাদীস সহ অসংখ্য মানুষ হাজির ছিলেন হুজুরে জানাজায় ৷ জানাজা শেষে হুজুর কে দাফন করা হয় হুজুরের পারিবারিক কবরস্থানে ৷(সংগৃহিত)

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

৯০বছরের বৃদ্ধের প্রশ্ন আর কত বয়স হলে তারা বয়স্ক ভাতার কার্ড দেবে

সিলেটের জকিগঞ্জ থানার কসকনকপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীল বিশ্বাস (৯০)। অতি দরিদ্র-দিন মজুর । বয়সের ভারে ন্যূজ হলেও পরিবার চালাতে গিয়ে এ বয়সে কাজ করেন তিনি।
স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। অভাব-অনটন লেগেই আছে। কাজে না গেলে তাকে অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন যাপন করতে হয়। সুনীল বিশ্বাস কথা গুলো বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেন। কেঁদে কেঁদে বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কত বললাম, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
একরাশ নি:শ্বাস নিয়ে বলেন, আর কতো বয়স হলে আমাকে তারা বয়স্ক ভাতার কার্ড দেবে। ৩টি মেয়েকে নিয়ে বড় অসহায় আমি। আমার বেচে থাকাটাও খুব কষ্টের। কিভাবে পরিবার চালাবো? বুছতে পারছি না কিছুই। যদি বয়স্ক ভাতার কার্ড পেতাম, তাহলে হয়তো একটু কষ্ট কমে যেতো।
এ ব্যাপারে নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ বলেন, সবে মাত্র আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আর এ বিষয়টি আমার জানা আছে। এর পরও সুনীল বিশ্বাসের বিষয়ে আরও তৎপর হবেন বলে তিনি জানান।

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

__সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠ__ সংবাদকর্মী / বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি আবশ্যক

"সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সর্বক্ষন,, এই মুলমন্ত্রকে ধারন করে""সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠ,,,অপরাধ, দুর্নীতি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনকে প্রাধান্য দিয়ে অপরাধ বিষয়ক তথ্য ভাণ্ডার হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে প্রতি সাপ্তাহে নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে, ''সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠ,, এ যাত্রা কে অব্যাহত ও আরো গতিশীল করতে স্থানীয়ভাবে দুর্নীতি, অনিয়ম, অপরাধ ও অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সারা দেশে বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও জেলা সদরসহ উপজেলা, থানা, কলেজ, ভার্সিটি, মাদ্রাসা ও মেডিকেল ভিত্তিক SUK এর নিজস্ব সংবাদ কর্মী ও স্থানীয়দের নিয়ে বিশেষ ‘অনুসন্ধানী টিম’ গঠন করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অপরাধ, দুর্নীতি ও মানবাধিকার নিয়ে অনুসন্ধানী মূলক কাজ করতে আগ্রহী যে কেউ এই ‘অনুসন্ধানী টিম’ এ ইউনানী কন্ঠের সাথে সাথে যোগ দিতে পারবেন।
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ইউনানী কন্ঠ নিউজ সার্ভিস’র ’ব্যুরো চীফ’ ছাড়াও জেলা, উপজেলা, থানা, কলেজ, ভার্সিটি , মাদ্রাসা ও মেডিকেল পর্যায়ে সংবাদ প্রতিনিধিসহ বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদদাতা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
শর্ত সমূহঃ
১। স্থানীয় সংবাদকর্মী কে অবশ্যই সপ্তাহে কমপক্ষে দুইটি বস্তুনিষ্ট সংবাদ, (অপরাধ, দুর্নীতি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন) পাঠাতে হবে।
২। স্থানীয় সংবাদকর্মী কে অবশ্যই SUK এর জন্য নিম্ন লিখিত হারে বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।
* যে সমস্ত প্রতিনিধি বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান হিসেবে নিযুক্ত থাকবেন বা থাকতে চান, তাদের কে বাৎসরিক ১৮,০০০ (আটাঁর হাজার) টাকার বিজ্ঞাপন প্রদান করতে হবে অথবা প্রতিমাসে ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) টাকার বিজ্ঞাপন নিয়মিত প্রদান করতে হবে।
*যে সমস্ত প্রতিনিধি বিশেষ বা ভ্রাম্যমান
প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত থাকবেন বা থাকতে চান, তাদের কে বাৎসরিক ১২,০০০ (বার হাজার) টাকার বিজ্ঞাপন প্রদান করতে হবে অথবা প্রতিমাসে ১০০০(এক হাজার) টাকার বিজ্ঞাপন নিয়মিত প্রদান করতে হবে
* যে সমস্ত প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত থাকবেন বা থাকতে চান, তাদের কে বাৎসরিক ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকার বিজ্ঞাপন প্রদান করতে হবে অথবা প্রতিমাসে ৯০০(নয়শত) টাকার বিজ্ঞাপন নিয়মিত প্রদান করতে হবে।
* যে সমস্ত প্রতিনিধি উপজেলায় নিযুক্ত থাকবেন বা থাকতে চান, তাদের কে বাৎসরিক ৫০০০(পাঁচ হাজার) টাকার বিজ্ঞাপন প্রদান করতে হবে অথবা প্রতিমাসে ৫০০ (পাঁচশত) টাকার বিজ্ঞাপন নিয়মিত প্রদান করতে হবে।
সুবিধা সমূহঃ
* যেহেতু SUK নিউজ নিয়মিত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করছে, সেহেতু প্রাথমিকভাবে প্রতিনিধিরা SUK এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে বিজ্ঞাপনের ধরণ অনুযায়ী প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন পাবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- নিজস্ব প্রতিনিধি ব্যতীত SUK নিউজ সার্ভিস এর জন্য যদি অন্যকেউ বিজ্ঞাপন এর ব্যবস্থা করতে পারেন তবে তাঁকে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন প্রদান করা হবে।
আগ্রহীরা +8801723336629 নম্বরে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন অথবা ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত মেইল করে পাঠিয়ে দিন। মেইল করার ঠিকানা: Unanikantho@gmail.com। সরাসরি ফেসবুকে ও যোগাযোগ করতে পারবেন। ফেসবুক পেইজ ""সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠ,,,।

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ছাত্র আবিষ্কার করলো ‘অন্ধের রাস্তা

সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মো. রাজু মিয়া তৈরি করেন ‘অন্ধের রাস্তা’ নামক  ডিভাইসটি । এটি একটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের নাম। যার মাধ্যমে অন্ধ ব্যক্তিরা যে কোন স্থানে অন্য ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া চলাচল করতে পারবেন। অন্ধ ব্যক্তিদের হয়ত চোখের আলো ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলেও অন্ধ ব্যক্তিরা যাতে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাচল করতে পারে কেবল সেজন্যেই এটা তৈরি করেন। এতে ব্যাবহার করা হয়েছে সাউন্ড ওয়েভ যার মাধ্যমে কোন বস্তুর অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। এ ডিভাইসটি কোন বস্তুকে নির্ণয় করার সাথে সাথে ব্যক্তিকে বস্তুর অবস্থান সম্পর্কে বলে দেয়। এ জন্য ডিভাইসটিতে একটি হেডফোন লাগানো আছে যার মাধ্যমে বস্তুর অবস্থান সম্পর্কে সিলেটী ভাষায় বলে দেবে এবং কোন দিকে রাস্তা আছে। এ ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যক্তির সামনে উচু-নিচু বস্তুর অবস্থান সনাক্ত করা যায়। এ ডিভাইস ব্যক্তিকে এখন দিন না রাত, সেটাও বলে দিতে সক্ষম। এবং খরচ ও অনেক কম, তিনি বলেন, এ ডিভাইসের সাথে রয়েছে একটি স্টিক বা লাটি যার মাধ্যমে ব্যক্তির সামনে কোন কিছুর অবস্থান থাকলে সে সম্পর্কে বলে দিবে। ডিভাইসটি পোর্টেবল হওয়ার কারনে খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। ডিভাইসটির আনুমানিক ৭০ সে.মি. পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। মো. রাজু জানান, এ ডিভাইসটিতে আরো কিছু তথ্য-প্রযুক্তি যোগ করা হচ্ছে। তবে এটাতে লোকাল ম্যাপ যোগ করার কাজ চলছে, খুব সহজে যে কোন অন্ধ ব্যক্তি এই ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই ডিভাইসটি তৈরি করে নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তিনি ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষত বা ঘা শোকানোর ‘বেক থেরাপী মেশিন’ অল্প মূল্যে বানানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানান।