__________________________________
২৬ জানুয়ারী-১৭ বৃহস্পতিবার,
সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় প্রকাশিত।
লস্কর বার্তা.কম। সাহিত্য ও গদ্য।
´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´
..
আমি আর কোন মেয়ে লোককে বিশ্বাস করতে পারিনা.....
কারণ-
মেয়ে লোককে আমার কাছে কবুতরের ন্যায় মনে হয়,
যাকে আমি আমার সর্বস্ব সত্তা দিয়ে তিল তিল করে গড়ে ছিলাম।
সে আজ...
সে আজ আমাকে এভাবে ভুলে যাবে
এটা আমি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।
আচ্ছা!
আমরা তো দু'জনি আমাদের চলার পথে
জীবন গড়ার তরে একটা রঙিন স্বপ্ন দিয়ে নঁকশা এঁকেছিলাম।
তোমার কি সেটা স্মরণে আছে? বুঝি নেয়!
তবে কি সেই স্বপ্নটি আঁকতে মোদের ভুল ছিলো? হয়তো বা!
আসলে আমার অগাধ বিশ্বাস ছিলো তোমার উপরে....
তাই অনেকের কাছে আমি প্রায়ই বলতাম...
পৃথিবীর সমস্ত লোকবল যদি ওজনে থাকে এক পাল্লায়
আর আমি! আমার বিশ্বাস থাকবো একপাল্লায়
তবুও... তবুও...
আমার বিশ্বাসটাই সব চেয়ে ওজনে বেশি ভারী হবে।
এখন দেখছি সেই বিশ্বাসের ভিত্তিটা যে,
এতই দূর্বল হয়ে পড়েছিলো কখনো বুঝতেই পারিনি।
আর সেই ভিত্তিটা গড়তেই আমার জীবনে
সব চেয় বড় ভুল করে ফেলেছি।
আর সে ভুলটা এতই কঠিণ হয়ে হৃদয় স্পর্শ করে
যা আমি সহ্য করতেই পারিনা।
তার মাশুল দিতে আজ আমার জীবনের সমস্ত স্বপ্নগুলোকে
ভেঙ্গে জ্বালিয়ে পুঁড়িয়ে তছনছ করে ফেলছে।
তাই এখন মেয়েলোকদের কে আমার খুব ভয় হয়,
"তারা শুধু জীবন ভাঙতে পছন্দ করে গড়তে নয়"
তাদের নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখালে সেটা স্বপ্নই মনে করে বাস্তবে নয়।
আমি যে স্বপ্নটা এঁকেছিলাম তোমাকে নিয়ে
আসলে সেটা স্বপ্ন ছিলোনা...
কিন্তু.. তুমি সেগুলো স্বপ্নের ন্যায় মনে করেছিলে।
তাই এর "প্রতিদান" দিয়েছিলে তুমি এই ভাবে,
যাতে করে বাস্তবে চিরদিন মনে রাখা যায়।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭
প্রতিদান... এম.সোহেল রানা,মেহেরপুর।
মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ (ইউকে)-এর সম্মেলন ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত
জাহেদ আহমদ, প্রবাসী রিপোর্টার :: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ (ইউকে)-এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও নির্বাচন ২৩ জানুয়ারি, সোমবার, বিকেল ৫-৩০ মিনিটে পূর্ব লন্ডনের ক্যানন স্ট্রিটের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমপর্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও জেনারেল সেক্রেটারি দিলু নাসেরের সঞ্চালনায় সংগঠনের অতীত কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তৃতা করেন – দিলু নাসের, ইসহাক কাজল, মুজিবুল হক মনি, ইকবাল হোসেন বুলবুল, স্মৃতি আজাদ, নুরুল ইসলাম, এ কে এম আব্দুল্লাহ, আতাউর রহমান মিলাদ, কাজল রশীদ, আনোয়ার শাহজাহান, রেজুয়ান মারুফ, সংগঠনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ফারুক আহমদ প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্বে ছিল নির্বাচন। এতে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কবি আবু মকসুদ। নির্বাচনে কণ্ঠভোটের মাধ্যমে ২০১৭-২০১৮ কর্মকর্তা নির্বাচিত হন – প্রেসিডেন্ট: ফারুক আহমদ (লেখক-গবেষক); ভাইস-প্রেসিডেন্ট: ইসহাক কাজল (লেখক-সাংবাদিক), মুজিবুল হক মনি (কবি, নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা) ও কাজল রশীদ (কবি ও সংগঠক); জেনারেল সেক্রেটারি: ইকবাল হোসেন বুলবুল (কবি ও সংগঠক), অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি: এম মোসাইদ খান (কবি ও সংগঠক); অর্গানাইজিং সেক্রেটারি: স্মৃতি আজাদ (নাট্যাভিনেত্রী ও সংগঠক); ট্রেজারার: এ কে এম আব্দুল্লাহ (কবি ও সংগঠক); পাবলিসিটি সেক্রেটারি: আনোয়ার শাহজাহান (লেখক ও সাংবাদিক ), পাবলিকেশন সেক্রেটারি: রেজুয়ান মারুফ (কবি ও সংগঠক)।
মেম্বার: দিলু নাসের (কবি ও সংগঠক), নুরুল ইসলাম (সংস্কৃতিকর্মী), মাশুক ইবনে আনিস (কবি ও সংগঠক), ফারুক আহমদ রনি (কবি ও সংগঠক) ও আবু মকসুদ (কবি ও সংগঠক)।
রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭
চাকুরীওয়ালা স্বামী এম সোহেল রানা, মেহেরপুর।
১৫ জানুয়ারী-১৭ রবিবার,
বিকাল ৩ ঘটিকার সময় প্রকাশিত।
লস্কর বার্তা.কম। সাহিত্য ও গদ্য।
´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´´
যেমন তেমন হোকনা সে যে,হোকনা কালা-ধলা,
মোর স্বপ্নের স্বামী খুঁজছি তারে,হতে হবে চাকুরীওয়ালা।
স্বামী থাকবে অফিসেতে ফিরবে সন্ধে হলে বউয়ের সময় কাটবে বেশি বিউটিপার্লার আর শপিংমলে।
স্বামী মোরে যাবে নিয়ে মডেল-সুপার মার্কেটেতে
সওদা করবো ব্যাগটি সে যে থাকবে নিয়ে হাতে,
জিনিস-পত্র রাখবো সেথায় থাকবে পিছু
পিছু
স্বামী সে যে কোলুর বলদ বলার নেয় যে কিছু।
কুলি-মজুর সেঁজে পুুরুষ চাকরির তরে দড়া-দড়ি রেলষ্টেশনে
বউ যায় অ্যান্ড্রোয়েড সেট কিনতে মোবাইল ষ্টেশনে,
গার্মেন্টসেতে গেলে দেখি সেথায় শুধুই নারীর মাথা
কসমেটিক্স আর ইষ্টেশনারীর দোকানে গুনছে শুধু টাকা।
স্বামী যে তার উপার্যন করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
বউ চেয়ারম্যান খরচ করে দু'হাতে আঁচল ভরে,
কেনা-কাটা করতে যে বউ পটু ফ্যাশান শো'তে
বন্ধুর সাথে ডেটিং-এ তার সময়টা দারুন কাটে।
চাকুরীওয়ালার বউ হলেই, রাণী সেঁজে থাকা যায়
স্বামী যে তার ভেড়ার ন্যায় সেটা দেখলেই মনে হয়,
বউয়ের উপর খবরদারী স্বামী যদি কখনো করে
স্বামী যে বউয়ের কর্মচারী বুঝায়বো দু'কান মুলে।
মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭
বাসিরন খাতুনকে সম্মাননা জানিয়ে কালের কন্ঠ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
১০ জানুয়ারী-১৭ মঙ্গলবার সকাল ১১ঘটিকায় প্রকাশিত। লস্কর বার্তা.কম। মিডিয়া সংবাদ।
.
এম.সোহেল রানা, মেহেরপুর থেকে:: মেহেরপুরে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে কালের কন্ঠ’র ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, কেক কাটা, আলোচনা সভা , ৬৩ বছরে পিইসি পাশ করা বাসিরন খাতুন ও তার স্কুলকে সম্মাননা প্রদান।
মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে কালের কন্ঠ-শুভ সংঘ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শুভ সংঘের মেহেরপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল আযীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা তুহিন আরন্য, সিনিয়র সাংবাদিক তোজাম্মেল আযম, রফিক উল আলম, রুহুল কুদ্দুস টিটো, রশিদ হাসান খান আলো।
শুভ সংঘ’র সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কালের কন্ঠ’র মেহেরপুর প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শুভ সংঘ’র উপদেষ্টা শামিম জাহাঙ্গীর সেন্টু, সহসভাপতি মাহবুবুল হক মন্টু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা কেক কেটে একে অপরের মুখে তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল চমক বাসিরন খাতুনকে মঞ্চে ডেকে নেন। পরে ৬৩ বছর বয়সে পিইসি পাশ করায় বাসিরন খাতুনকে কালের কন্ঠ-শুভ সংঘ মেহেরপুরের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও উপহার হিসেবে একটি শাল চাদর প্রদান করা হয়।
একই সাথে বাসিরন যে স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় সেই স্কুলকে সম্মাননা প্রধান করা হয়। স্কুলের পক্ষে সম্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহন করেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা আনার কলি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গনমাধ্যমের কর্মী, শুভ সংঘ’র সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে কালের-কন্ঠ শুভ সংঘ’র সভাপতি একরামুল আযীমের নেতৃত্বে শুভসংঘ’র মেহেরপুর কার্যালয় থেকে একটি বর্ণ্যাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভযাত্রাটি বাদ্যের তালে তালে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
সম্মাননা ক্রেষ্ট হাতে পেয়ে বাসিরন খাতুন আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, নিজে লেখাপড়া শিখছি মানবজাতির উপকার করার জন্য।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রশিদুল মান্নাফ কবির বলেন, এই বয়সে একজন নারী পিইসি পাশ করে দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে তিনি ভুমিকা পালন করছেন। কালের কন্ঠ-শুভ সংঘ তাকে সম্মাননা জানিয়ে একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করলো।
পাশাপাশি এ ধরণের প্রতিভাকে অম্বেষন করে দেশ বাসির কাছে তুলে ধরার জন্য কালের কন্ঠ’র প্রতি তিনি আহবান জানান।
মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৭
ডাউকি ফল্টে ৮ মাত্রার ভূকম্প হলে সিলেট বিরাণ ভূমিতে পরিণত হবে
হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সিলেট অঞ্চলে সর্বশেষ ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ১২ জুন। ওইদিন বিকাল সোয়া ৫টার দিকে প্রলংয়কারী ভূমিকম্প ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থ কোয়াক’ নামে ইতিহাসে পরিচিত।
সে হিসেবে, সিলেট অঞ্চলে ভয়ানক ভূমিকম্প হওয়ার সময় এক শতাব্দি তথা ১শ বছর পেরিয়ে গেছে। আর তাই ভূমিকম্পের ডেঞ্জার জোনে পড়া সিলেটে যে কোনো সময় বড় ধরনের ভূকম্প ঘটতে পারে।
কেননা, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় ১শ বছর পর পর বেশি মাত্রার ভূকম্প হয়ে থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাউকি ফল্টে যদি ৮ মাত্রার ভূকম্প হয়, তবে সিলেট জনশূন্য হয়ে যাবে।
ইতিহাস বলছে, ১৫৪৮ সালে প্রচন্ড ভূমিকম্পে সিলেট এলাকায় ব্যাপক ভূ-পরিবর্তন ঘটে। উঁচু-নিচু ভূমি সমতলে পরিণত হয়। এরপর ১৬৪২, ১৬৬৩, ১৮১২ ও ১৮৬৯ সালের ভূমিকম্পে সিলেটের মানচিত্র অনেকটাই পাল্টে যায়।
সিলেটে এ যাবৎকালের মধ্যে ১৮৯৭ সালের ১২ জুন বিকাল সোয়া ৫টার দিকে সংঘটিত ভূমিকম্প ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থ কোয়াক’ নামে পরিচিত। ৮ দশমিক ৭ মাত্রার সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ বর্গ কি.মি. এলাকার পাকা দালানকোঠার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
শুধু সিলেট জেলারই ৫৪৫টি ভবন ভেঙে পড়ে। মারা যান অসংখ্য মানুষ। ওই ভূকম্পের ফলেই সিলেট জুড়ে সৃষ্টি হয় বিশালাকারের হাওর, বিল, জলাশয়ের। পরবর্তীতে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই ৭.৬ মাত্রার ভূকম্প সংঘটিত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, সিলেট অঞ্চল যে টেকনোটিক প্লেটে রয়েছে, তা ক্রমেই উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। এক শতাব্দিতে তা এক মিটার করে সরছে।
এ কারণে এ অঞ্চল প্রবল ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশে ৩টি ভূকম্প বলয়ের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তথা প্রথম বলয়েই রয়েছে সিলেট। এ বলয়ে ৭ থেকে ৯ মাত্রার ভূকম্প হতে পারে।
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় প্রতি ১শ বছর পর পর বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটতে পারে।
সিলেটে ১৮৯৭ সালে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে ১শ বছরের বেশি। যে কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের আরেকটি ভূমিকম্পের আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাউকি ফল্টে রিখটার স্কেলে ৬ থেকে ৭ মাত্রার ভূকম্প হলেই সিলেটের পরিণতি হবে ভয়াবহ। আর ভূমিকম্পের মাত্রা যদি হয় ৮, তবে জনশূন্য বিরাণ ভূমিতে পরিণত হবে সিলেট।
রিখটার স্কেলের ৮ মাত্রার ভূকম্পের কয়েক সেকেন্ডে গোটা সিলেটে হাজার হাজার ভবন মাটির সাথে মিশে যাবে। প্রাণহানি ঘটবে লাখ লাখ মানুষের। ক্ষতি হবে হাজার হাজার কোটি টাকার।
এমনিক ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, ডাউকি ফল্টে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে পৃথিবীর মানচিত্র থেকেই মুছে যেতে পারে সিলেট।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে ভূমিকম্পের স্থায়ীত্ব ৩০-৪০ সেকন্ড হয়ে থাকে। কিন্তু গত ২৫ এপ্রিল, শনিবার যে ভূকম্প হয়েছে, সেটা বিস্ময়করভাবে ৯০ সেকন্ড স্থায়ী ছিল। এটা অবশ্যই বিপদসংকেত।
তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ডাউকি থেকে মাত্রা ২শ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সিলেট। ডাউকি পয়েন্টে যদি ৬ মাত্রার ভূকম্পও হয়, তবে পরিণতি হবে ভয়াবহ। আর যদি ৭.৯ মাত্রার ভূকম্প হয়, তবে সিলেট নগরী বলে কিছুই থাকবে না। ১০-১৫ হাজার ভবন নিমিষেই মাটির সাথে মিশে যাবে।
মানবতাবোধ
এম.সোহেল রানা,মেহেরপুর
.
মানবতাবোধ ! সে তো এক দূর্লভ চরিত্রের নাম...
মানবতা আজ সমূদ্রের বেলাভূমির
চুরাবালিতে ঢেকে গেছে,
মানুষের হৃদয় আজ সাহারা মরুভূমিয়
পরিণত হয়েছে
হয়েছে কঠিণ থেকে কঠিণতম মমতাহীন
নরপিশাচ।
হৃদয় আকাশ কালোমেঘে ছেঁয়ে আছে
ঝড়হাওয়া বুকে চেপে
মানুষের যে সততা মানবতাবোধ ক্রমে
ক্রমে হারিয়ে ফেলছে,
মানুষ হয়ে গেছে ঈর্ষা,হিংসায় জর্জরিত
অসৎ কর্মে হচ্ছে লিপ্ত
টাকার দম্ভে আজ মানুষ হিংস্র প্রাণির
মত হয়েছে ক্ষিপ্ত।
মানবতা...! আজ কোথায়
মানবতা,কোথায় সেই মানবতাবোধ?
মানবতাবোধ আজ টাকার লোভে
হয়েছে কি যে নিদারুন অসহায় ,
অফিস-আদালত টাকার বিনিময়ে কাজ
চলে,নয় সততা-মানবতায়
মনে যে হয় ঘুষের টাকায় বেতন ওদের
কোন প্রকৃত বেতন নেয়।
চাকুরি ক্ষেত্রে,টাকার টেন্ডারে ডাকের
যোগ্যতা থাকা চায়
হয় না চাকুরি,থেকেও প্রকৃত
যোগ্যতা,সততা শিক্ষা ও দিক্ষায়,
মানবতাবোধ আজ হারিয়ে গেছে অসৎ
চরিত্রের গোহীন অরণ্যে
তোলিয়ে গেছে নির্বোধ অযোগ্যতা
জ্ঞানহীন সমূদ্রতলে।
সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭
ছামেদের জন্মদিন
০২/০১/২০১৭ সোমবার আব্দুল করিম ছামেদের জন্মদিন অনুষ্টান পালিত হয়। ২০১৫ সালের এই দিনে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার মনারাই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ও ফারহানা আক্তার সুমি‘র ঔরসে তার জন্ম। হাটি হাটি পা পা করে সে তৃতীয় বর্ষে পদার্পন করে। ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারীর এই দিনে সে জন্ম গ্রহন করে। সামেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সকলেই আর্শিবাদ ও দোয়া কামনা করেছেন। জন্মদিন অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও শাহজালাল উপশহর হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এড. ছালেহ আহমদ সেলিম, সিলেট মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য এড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ, সিলেট সরকারী ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাক কান গলা ও চক্ষু রোগ বিভাগের প্রভাষক ডাঃ জালাল উদ্দিন, সিলেট সরকারী ইউনানী ও আয়োর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের প্রভাষক ও সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠের সম্পাদক ডাঃ আক্তার হোসেন, এনাটমি বিভাগের প্রভাষক ডাঃ জামাল হোসেন, ডা: শামীম আহমদ, ইউনানী ঔষধ প্রস্তুত বিভাগের প্রভাষক ডাঃ সবিত কুমার দাস, মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহীন মিয়া, হ্রদয়ে ৭১ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রুহুল আলম চৌধুরী উজ্জল, গোয়াইনঘাট রুস্তম পুর ইউপি ছাত্র সংসদের সভাপতি মো:মোশাহিদ আলী ও সমাজসেবী ফয়েজ আহমদ বাচ্চু। এছাড়া দাদা-দাদু, নানা-নানু, খালা-খালু আত্মীয় স্বজনসহ সকল শুভানুধ্যায়ী তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। ০২/০১/২০১৭ সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় সিলেটের উপ-শহরের এ ব্লকের একটি বাসায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে জন্মদিন পালিত হয়।
রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৭
শুভ বিদায় ২০১৬; স্বাগতম ২০১৭
হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: আজ শুরু হলো খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জির নতুন বছর ২০১৭। বিদায় নিয়েছে ২০১৬- সালে। আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেল আরেকটি বছর। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে গণনা শুরু হয়েছে নতুন বছর ২০১৭-এর।
নতুন বছরের আগমনের আগমুহূর্তে বিশ্বের সব মানুষ শেষবারের মতো বিদায়ী বছরটি কেমন গেল তা স্মৃতির পাতায় ঘুরে দেখার চেষ্টা করবেন।
হারিয়ে যাওয়া বছরের সব জরা-ক্লান্তি আর গ্লানিকে মুছে ফেলে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার উৎসবে মেতে উঠেছিল পুরো বিশ্ব। মধ্যরাতে জেগে উঠেছিল পুরো বিশ্ব বর্ষবরণের উৎসবে। সবাই প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে স্বাগত জানায় নতুন খ্রিস্টীয় বর্ষ ২০১৭-কে।
নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছর। কিন্তু যে বছরটি হারিয়ে গেল জীবন থেকে, ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে, তার সবই কি হারিয়ে যাবে?
মুছে যাবে সব?
ঘটনাবহুল ২০১৬-এর অনেক ঘটনার রেশ টেনেই মানুষ এগিয়ে যাবে ২০১৭ সালের দিনরাত্রির পথে। জাতীয় জীবনে অধিকাংশ কাজই খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জি মনে করা হলেও খ্রিস্টীয় বর্ষ ঘটা করে পালন করা হয় না। তবে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে বছরটি কেমন গেল তার হিসাব-নিকাশ সবাই করে থাকেন। আমাদের জাতীয় জীবনে ২০১৬ একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। নানা ক্ষেত্রে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে পুরো জাতি। এসেছে নানা চ্যালেঞ্জও। অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সবার চেষ্টা ছিল এগিয়ে যাওয়ার।
গত বছরটি আমাদের জন্য অনেক কারণেই আলোচিত-সমালোচিত। রাজনৈতিক যোগ-বিয়োগ, ধর্মীয় সম্প্রীতি-সহিংসতা, আন্তর্জাতিক শুভ-মন্দ দৃষ্টি আমাদের বারবার হোচট খেতে বাধ্য করলেও আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি।
বিপদসংকুল পথেই দীপ্ত পায়ে হেঁটেছি।
আমাদের সংস্কৃতির ওপর থাবা এসেছে- তবুও আমরা থমকে যাইনি। আমাদের বিনোদনের সফলতা-ব্যর্থতাও আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আমাদের সাহিত্যাঙ্গনে এসেছে নতুন বাঁক। আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি। আমরা হোঁচট খেয়ে খেয়ে পথে চলতে চলতে দুরন্ত পথিক হয়েছি।
২০১৬ সালে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ছিল স্থানীয় সরকারের নানা পর্যায়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন। উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচন ছাড়াও হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। সব নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন বেশি। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুটি দলেরই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বছরের শেষ দিকে এসে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসেছে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো। জাগাচ্ছে দেশে গণতন্ত্রের চর্চার পথে নতুন কিছুর আশা।
বছরজুড়ে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল জঙ্গিবাদ। সারা বিশ্বে যখন জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেখানে এর বিষবাষ্প থেকে মুক্ত ছিল না বাংলাদেশও। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠীর বর্বরতা ও হত্যাকাণ্ড অবাক করেছে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বকে।
দুটি ঘটনার পর থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হয়ে ওঠে দেশের আইনশৃংখলা বাহিনী। নানা অপারেশনের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বছরের শেষ দিকে এসে নারী জঙ্গিদের বিষয়টি আরও জোরদার হয়ে ওঠে।
এ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে বিষয়টি সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম ছিল না। সেটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। সারা বিশ্বের আলোচিত এই নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নানা কারণে বিতর্কিত এই প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে কী কী প্রভাব পড়বে তার হিসাব-নিকাশ চলছে এখনও।
জাতিকে কলংকমুক্ত করতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসি কার্যকরের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল ২০১৬ সালেও। যুদ্ধাপরাধের দায়ে এ বছর ফাঁসি দেয়া হয় আলবদর নেতা ও জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী এবং আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীকে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৭.১১ শতাংশ হওয়ার ঘোষণা আসে ২০১৬ সালে। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে আলোচনায় ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টিও সরেনি আলোচনা থেকে।
কূটনৈতিক ও মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষেরা সেখানকার সেনাবাহিনীর গণহত্যা এবং দমন-নিপীড়নের মুখে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রেবেশ করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারকে চিঠিও দেয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে ৫০০ স্কুল-কলেজকে বেসরকারি থেকে সরকারিকরণ। সংস্কৃতি ক্ষেত্রেও রয়েছে একটি বিশাল অর্জন। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে আমাদের পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ। এই উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। সেই মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করেছে। তথ্য-প্রযুক্তি খাতেও এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
বিগত বছরটা আমাদের ভালোই কেটেছে। হিসেবের খাতা খুলে দেখেছি- খুব বেশি ব্যর্থতার কিছু ছিলো না। কিছু ভুল-ত্রুটি তো থাকতেই পারে। যেহেতু আমরা মানুষ। আর মানুষ হিসেবে ভুল করার অধিকার কেবল আমাদেরই আছে। ব্যর্থতা এবং সফলতার মাপকাঠিতে খুব বেশি ব্যর্থ নই আমরা। বরং সফলতার ঝুলিটা বরাবরই সমৃদ্ধ হয়েছে।
২০১৬ সালে আমাদের ব্যক্তিজীবনে, সামাজিক প্রেক্ষাপটে, রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য থমকে যাওয়ার কারণ না খুঁজে অশুভকে বিতাড়িত করে শুভক্ষণকে বরণ করবো।
কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়, ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা। অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’
সব আশা-স্নেহ-ভালোবাসা স্মৃতি হয়ে থাকুক। আগামী আসুক পুষ্পশোভিত হয়ে। প্রজ্জ্বলিত সূর্যের আলোকচ্ছটায় আলোকিত হোক বিশ্ব। বিশ্বের যাবতীয় মানুষের কল্যাণ হোক। বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সফলতার দিকে এগিয়ে যাক। সবশেষে কবি মুহিব খানের ভাষায়" সম্ভবনার দেশ আমার বাংলাদেশ, জেগেছে বাংলাদেশ এখনি সময় তার। এই কবিতার ভাষাই আমি বলছি বাংলাদেশ জেগেছে, এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে এবং থাকবেই। কোন ষড়যন্ত্র আমার/আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে দাবাইয়া রাখতে পারবেনা, ইনশাল্লাহ।
(বিদায় ২০১৬; স্বাগতম ২০১৭)