মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার, কুমিল্লাঃ
কুমিল্লা নগরী ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চারটি অবৈধ স্বাস্থ্য ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দাউদকান্দি উপজেলার আরও চারটি ক্লিনিককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল।
সোমবার (২৯ আগস্ট২০২২ খ্রিঃ) বিকালে পৃথক অভিযানে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশের পর সোমবার কুমিল্লা নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলার অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী বাজারের তিনটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর সদর হাসপাতাল রোডের ফেয়ার কনসালটেশন ও ডায়গনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলায় অবৈধ পাঁচ শতাধিক বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল-ক্লিনিক- ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে বলে ধারনা করছেন জেলা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইস আবদুর রব। তিনি জানান, আশা করি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হবে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, অভিযানে লাইসেন্স না থাকায় তিনটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেগুলো হলো—হেলথ কেয়ার মেডিক্যাল সেন্টার, নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অলি আহমেদ ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন বলেন, অনিয়মের অভিযোগে দাউদকান্দি উপজেলার চারটি ক্লিনিককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ক্রমান্বয়ে সব স্বাস্থ্য ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কুমিল্লায় অনুমোদিত বা বৈধ বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকের সংখ্যা ৪০৪টি । এর মধ্যে ১৮৪টি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার। বাকিগুলো ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক বা ডেন্টাল ক্লিনিকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এছাড়া আরো ৩০ টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।