মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০

সিলেটে ভিলেজ ডাক্তার কমিউনিটি (ভিডিসি)'র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত


হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: সারাদেশের গ্রাম ডাক্তারদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের দাবী আদায়ের লক্ষে সিলেট বিভাগের সকল পল্লী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত প্রাথমিক চিকিৎসক নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভিলেজ ডাক্তার কমিউনিটি (ভিডিসি) সিলেট বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ মতবিনিময় সভা আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১২ ঘটিকার সময় নুরজাহান হাসপাতাল দরগাগেইট, সিলেট এর হলরুমে অনুষ্টিত হয়।

সিলেট সরকারী ইউনানী-আয়ূর্বেদিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডাঃ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও ডাঃ বেলাল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রান ডেভোলাপমেন্ট সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারী ডাঃ গাউসুল আজম, সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট নুরজাহান হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ নাসিম আহমেদ, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ডাঃ আনম রুস্তম আলী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রান ডেভোলাপম্যান্ট সোসাইটির পরিচালক ডাঃ মোঃ সাফিনুর রহমান, কোষাধক্ষ্য রেজাউল করীম রেজা, ডাঃ আলী আহমদ, ডাঃ আব্দুল জব্বার রাজু, ডাঃ হযরত আলী, ডাঃ মুজাহিদ মিয়া, ডাঃ মোঃ মজিবুর রহমান, ডাঃ মোস্তফা আহমদ আজাদ, ডাঃ মোঃ জালাল উদ্দিন, ডাঃসুরঞ্জিত দাশ, ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

অনুষ্টানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা শহীদুল আলম, গীতা পাঠ করেন দিপন বিশ্বাস। উক্ত মতবিনিময় সভায় পল্লী চিকিৎসক অধিকার আদায়ে ১৩টি প্রস্তাবনা পেশ করেন মুহা. হযরত আলী।

সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০

আজিজ আহমদ সেলিমের মৃত্যুতে "বিওআরসি" সিলেট জেলার শোক

হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি আজিজ আহমদ সেলিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অনলাইন রিপোর্টার্স ক্লাব সিলেট জেলার নেতৃবৃন্দ।

এক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজিজ আহমদ সেলিম ‘সিলেটের সাংবাদিক অঙ্গনের অভিভাবক ছিলেন। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবেও তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। সৎ ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের স্মৃতিতে বেঁচে থাকবেন, আমাদের কর্মে প্রেরণা যোগাবেন। তাঁর মৃত্যুতে সিলেটে সাংবাদিকতার জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’

আজিজ আহমদ সেলিমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অনলাইন রিপোটার্স ক্লাব জেলার নেতৃবৃন্দ।

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

আজিজ আহমদ সেলিমের মৃত্যুতে সিলেটের গনমাধ্যম অঙ্গনে শোকের ছায়া


হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি আজিজ আহমদ সেলিম রবিবার (১৮ অক্টোবর) রাত পৌনে নয়টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

তিনি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) থেকে সিলেট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি সিলেট নগরীর মজুমদারী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিমের মৃত্যুতে সিলেটের গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

জামেয়া মাদানিয়া যে সব সূর্য সন্তাদের নিয়ে গর্ব করে সিরাজী (রহঃ) তাদের মাধ্যে অন্যতম


হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: আল্লাহর জমিনে আল্লাহ দ্বীন প্রতিষ্ঠার সাধনা ছিল যার আজীবন, দ্বীনি আন্দোলনের এক সিপাহসালার মাও. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী ছিলেন, একজন আদর্শবান, সৎ, আমানতদার ও পরোপকারী আলেমে দ্বীন। হযরতের ইন্তেকালে আমরা জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক ও ছাত্র সকলেই গভীরভাবে শোকাহত।

জামেয়া মাদানিয়া যে সব সূর্য সন্তাদের নিয়ে গর্ব করে, মরহুম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী (রহঃ) তাদের মাধ্যে অন্যতম। তিনি আজন্ম প্রিন্সিপাল (রহঃ) এর নেতৃত্বে খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। হাস্যউজ্জল মায়াবী চেহারার কর্মী বান্ধাব নেতা মাও. সিরাজীর অভাব রয়ে যাবে যুগ যুগান্তর, জামেয়া মাদানিয়া আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজির বাজার সিলেটের প্রাক্তন ছাত্র ও জামেয়া মাদানিয়ার মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সিলেট মহানগরের সাবেক সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী (রহঃ) কে।

আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) বাদ জোহর জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসা মসজিদে মাও. সিরাজুল ইসলাম সিরাজীর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা ও ইসালে সাওয়াব মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। ইসালে সাওয়াব অনুষ্টানে মাও. সিরাজী (রহঃ) জীবন ও কর্ম বিভিন্ন দিক আলোচনাকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, জামেয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা সামীউর রাহমান মুসা ও মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ।

মাও. সিরাজী (রহঃ) জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা এবং ইসালে সাওয়াব মাহফিল অংশগ্রহন করেন, জামেয়া মাদানিয়ার সদরুল মুদারিরিসিন মাওলানা আব্দুস সোবহান (দা.বা.), জামেয়া মাদানিয়ার শিক্ষা সচিব মাওলানা মুফতি শফিকুর রহমান, সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আশিকুল ইসলাম, জামেয়া মাদানিয়া সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, মাওলানা কারী মোশতাক আহমদ, মাওলানা আব্দুস সালাম, সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা মুশফিকুর রহমান মামুন, মাওলানা জামিল আহমদ, মাওলানা আব্দুল খালিক, মাওলানা আব্দুর রহমান ইউসুফ, জামেয়ার প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, প্রাক্তন ছাত্র মাওলানা ফয়জুল ইসলাম, মাওলানা বদরুল আলাম, মাওলানা আমিন আহমেদ রাজু প্রমুখ।

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. রুহুল আবিদ নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত


লস্কর বার্তা : নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিনি অধ্যাপক ড. রুহুল আবিদ এবং তার অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যাণ্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা)। ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ২১১ ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।

ম্যাসাচুসেটস বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিন-ফিলিপ বেলিউ এই খবর নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক এবং জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোলিকুলার বায়োলজি ও জৈব রসায়নে পিএইচডি অর্জন করেছেন ড. রুহুল আবিদ। এর পর ২০০১ সালে তিনি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।

ব্রাউন গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভের একজন নির্বাহী সদস্য ড. রুহুল আবিদ। বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে তার স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা)। বর্তমানে সংস্থাটি দুটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে করোনা সংক্রমণরোধে দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংস্থাটি।

নোবেল পুরস্কার ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ২০২০ সালের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্য থেকে আগামী অক্টোবরে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মসজিদ পরিচিতি: নয়াবাদের ঐতিহাসিক মসজিদ


লস্কর জার্নাল : দিনাজপুরের ঐতিহাসিক নয়াবাদ মসজিদ বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন। দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত। জেলা সদর থেকে ২০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে এর অবস্থান। ১.১৫ বিঘা জমির উপর মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। মসজিদের সামনে একটি মাদ্রাসা স্থাপিত হয়েছে।

মসজিদের প্রবেশদ্বারের ওপর ফারসি ভাষায় রচিত লিপি থেকে জানা যায়, সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সময় ২ জ্যৈষ্ঠ, ১২০০ বাংলা সনে (১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দ) মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদের নির্মাণ সম্বন্ধে জনশ্রুতি অনুযায়ী আঠারো শতকের মধ্যভাগে যখন বিখ্যাত কান্তজী মন্দির নির্মিত হয়, তখন পশ্চিমা দেশ থেকে আগত মুসলিম স্থাপত্যকর্মীরা পার্শ্ববর্তী নয়াবাদ গ্রামে মোকাম তৈরী করেন এবং সেখানে এ মসজিদ নির্মাণ করেন।

তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটি আয়তাকার। এর চারকোণায় রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির টাওয়ার। বাইরের দিক থেকে মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১২.৪৫ মিটার এবং প্রস্থ ৫.৫ মিটার। দেয়ালের প্রশস্ততা ১.১০ মিটার। মসজিদে প্রবেশের জন্য পৃর্বদিকে রয়েছে তিনটি খিলান। মাঝের খিলানের উচ্চতা ১.৯৫ মিটার, প্রস্থ ১.১৫ মিটার। পাশের খিলানদ্বয় সমমাপের এবং অপেক্ষাকৃত ছোট।

উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে দুটি জানালা রয়েছে। প্রবেশদ্বার ও জানালার খিলান বহু খাঁজযুক্ত (multi-cusped)। মসজিদের ভিতরে পশ্চিম দিকে রয়েছে তিনটি মিহরাব। মাঝের মিহরাবের উচ্চতা ২.৩০ মিটার এবং প্রস্থ ১.০৮ মিটার। দুই পাশের মিহরাব দুটি অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের তিনটি অর্ধগোলাকৃতির গম্বুজের মধ্যে মাঝেরটি অন্য দুটির তুলনায় কিছুটা বড়। গম্বুজের অবস্থান্তর পর্যায়ে পেন্ডেন্টিভ ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের কার্নিশ এবং প্যারাপেট সমান্তরাল। মসজিদের চার কোণের কর্নার টাওয়ারের মধ্যে ২টির উপর (উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম কোণের) কুপলা রয়েছে।

বাকি দুটির উপরে ছোট গম্বুজ। গম্বুজদ্বয় বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। কর্নার টাওয়ারগুলি সাদামাটা ইট ও পলেস্তারা দিয়ে তৈরি। কর্নার টাওয়ারের গায়ে চারটি ব্যান্ড আছে। টাওয়ারগুলি ক্রমশ সরু, উপরে ছোট গম্বুজ।

সমস্ত দেয়াল জুড়ে আয়তাকার বহু পোড়ামাটির ফলক রয়েছে। পোড়ামাটির নকশাগুলি বহু জায়গায় খুলে পড়েছে। ফলকগুলির আয়তন ০.৪০ মি×০.৩০ মি । ফলকগুলির মধ্যে লতাপাতা ও ফুলের নকশা রয়েছে। একটিতে জোড়া ময়ুরের প্রতিকৃতিও রয়েছে। এরূপ মোট ১০৪টি আয়তাকার ফলক রয়েছে, তবে ফলকের মধ্যে অলংকরণের অনেকটাই প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত।

যেভাবে যাওয়া যায়: নয়াবাদ মসজিদ দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত। জেলা সদর থেকে ২০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে এর অবস্থান।

বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মসজিদ পরিচিতি : বাংলাদেশের ঐতিহ্য 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ'


লস্কর জার্নাল :: দেবীদ্বার তথা বাংলাদেশের ঐতিহ্য 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ' এটি নির্মাণশৈলির দিক থেকে দেশের বিখ্যাত মসজিদগুলোর অন্যতম মসজিদ। 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ'টি কুমিল্লা জেলা সদর থেকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে উত্তর-পশ্চিম কোণে দেবীদ্বার পৌর এলাকায় এবং দেবীদ্বার সদর থেকে দু'কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণে গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত।

নতুন এবং পুরাতন নির্মাণ পদ্ধতির সংমিশ্রণে অসংখ্য ক্যালিওগ্রাফিতে আঁকা ব্যাতিক্রমধর্মী নির্মাণ শৈলির সাত গম্বুজ মসজিদটি দেশ-বিদেশের সৌন্দর্য পিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ক্যালিওগ্রাফি ও নির্মাণ কৌশল। মসজিদের চার কোনায় চারটি মিনার রয়েছে। চার মিনারের বাংলাদেশে এটাই প্রথম মসজিদ বলে জনশ্রুতি রয়েছে। মিনারগুলোর উচ্চতা ৮০ফুট। এতে গম্বুজ রয়েছে ৭টি। মসজিদটি ৪৮ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট। এ মসজিদের মূল অংশে শতাধিক মুসুল্লি নামাজ পড়তে পারেন। এ ছাড়া মসজিদটির বারান্দায় অর্থাৎ সামনের টাইলস করা খালী জায়গায় মূল অংশের দ্বিগুণ মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের উপরে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে বিভিন্ন রং'র বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদে লিখা 'আল্লাহু' শব্দটি রাতের অন্ধকারে তারকার মতো জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে। অনেক দূর থেকে এ আলো দেখা যায়। মসজিদটি'র পশ্চিম পার্শ্বে দৃষ্টি নন্দিত একটি ফল ও ফুলের বাগান আছে। এছাড়াও রয়েছে বিশাল আকৃতির জলধার। এর পাড়সহ চার দিক শ্বেত পাথরে মোড়ানো।

ক্যালিওগ্রাফির দিকে নজর দিলে অবাক হতে হয়। এখানে বাংলা ও আরবিতে ক্যালিওগ্রাফি করা হয়েছে। কারুকাজ ও নকসা শিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন শিল্পী আরিফুর রহমান। মসজিদটির স্থপতি ছিলেন শাহিন মালিক। আরবি অক্ষরে সুন্দর করে লিখা হয়েছে 'সুরা আর রহমান', 'আয়তুল কুরছি' ও 'চার কূল'। মসজিদের ভেতরের মূল অংশে ৫টি গম্বুজ আছে। একটিতে লিখা আয়তুল কুরসী। অন্য চারটি গম্বুজের ভেতরে লিখা ৪টি কূল। মসজিদটির বাহিরের আবরনে বহু চাঁদ তারা আঁকা রয়েছে। মসজিদটিতে ইট, সিমেন্ট, বালির পাশাপাশি চিনামাটি ও টাইলস ব্যবহৃত হয়েছে। কারুকার্য করা হয়েছে মোঘল তুর্কী ও পারস্যের সংমিশ্রণে। এখানে ৩ শত ৫০ মন চিনামাটির টুকরো ও দু'শতাধিক গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদটিতে ৬টি এসি ও একটি ঝারবাতি আছে। একটি আধুনিক মসজিদে যা কিছু থাকার কথা সবই গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদে বিদ্যমান রয়েছে।

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মসজিদ পরিচিতি : রাশিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ও দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্য কুল শরীফ মসজিদ


লস্কর জার্নাল : রাশিয়ার সর্ববৃহৎ নদী ভলগা। একই সাথে পুরো ইউরোপেরও। ৩ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী ছুঁয়ে গেছে এবারের বিশ্বকাপের তিন ভেন্যু কাজান, সামারা ও নিজনি নভগোরদ শহরকে। কাজান এরিনা (স্টেডিয়াম) ও সামারা এরিনার বেশ কাছ দিয়ে বয়ে গেছে এই ভলগা নদী।

কাজানে এই ভলগা নদীর তীরেই অবস্থিত কুল শরীফ মসজিদ। রাশিয়ার অন্যতম মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশ তাতারস্তানের রাজধানী কাজান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই দেশের অন্য দুই মুসলিম প্রদেশ হলো চেচনিয়া ও দাগেস্তান। তাতারস্তানের জনগোষ্ঠির ৬০ ভাগ মুসলিম। কাজেই এখানে মসজিদের উপস্থিতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

স্থানীয় তাতার মুসলিমদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, অনেক মসজিদ রয়েছে কাজানসহ পুরো তাতারস্তানে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ও দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্য কুল শরীফ মসজিদ। গাঢ় নীল রঙের এই মসজিদের বিশাল গুম্বুজ ও চারটি সু-উচ্চ মিনার চোখে পড়ে বহু দূর থেকে। রাতে যখন আলো জ্বলে উঠে এই মিনার ও গুম্বুজে তখন আরো সুন্দর লাগে এই মসজিদকে।

চারদিক থেকেই দেখে চোখ জুড়ায় কুল শরীফ মসজিদ: ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এই নয়নাভিরাম মসজিদে নামাজ পড়তে পারেন না এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকগণ। কারণটা বলা আছে দরজার সাথে সাটানো সাইনবোর্ডে। সেখানে লেখা আছে, সকাল নয়টা থেকে বিকেল সাতটা পর্যন্ত খোলা এই মসজিদ। জানা যায়, এখানে দিনে দুই বেলা নামাজ হয়। তা যোহর ও আসর। বাকী সময়ে বন্ধ থাকে এই ইবাদত ঘর। জানা যায়, এই মসজিদে নিয়মিত জুমার নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসলিমরা। ঈদের নামাজও হয়। তখন মুসলিমদের ঢল নামে কুল শরীফ মসজিদে। নামাজের সময় ছাড়া বাকী সময়ে বন্ধ থাকে এই মসজিদের দরজা। না রেখে যে উপায়ও নেই। গ্রীষ্মকালে দর্শনার্থীরা বিশেষ করে মহিলারা স্বল্প পোশাকে ঘুরতে ও ছবি তুলতে আসেন এখানে।

কুল শরিফ মসজিদের আরেকটি ভিউ: পুরো মসজিদ চত্তরকে বলা হয় কাজান ক্রেমলিন। মসজিদের ১ শত গজ দূরেই অবস্থান বিশাল এক গির্জার। নাম ব্লাগোভিশানস্কি চার্চ। মুসলিম ও খৃষ্টানরা জানালেন এই দুই ধর্মের মানুষদের মধ্যে যে সম্প্রতির বন্ধন বিদ্যমান তা বুঝাতেই পাশাপাশি মসজিদ ও গির্জার অবস্থান। তাতার মুসলিমদের অনেকে জানালেন, খ্রিস্টান প্রধান দেশটিতে তারা বেশ শান্তিতে আছেন। কোনো সমস্যা নেই। অনুপস্থিত ধর্মীয় উত্তেজনাও।

পাশেই অবস্থান সুইউমবিকে টাওয়ারের। পুরোনো এই টাওয়ারকে ঘিরে আছে এক ভালোবাসার কাহিনী। সাত দিনের মধ্যে টাওয়ার নির্মাণ করতে পারলে তাকে বিয়ে করতে রাজী হবেন এক মহিলা। এই শর্ত দেয়া হয় স্থানীয় অধিপতিকে। নির্ধারিত সময়ের আগে ঠিকই টাওয়ার নির্মাণ শেষ করেছিলেন ওই অধিপতি। কিন্তু এরপরই তার বোধদয় হয়- ওই মহিলাতো আমাকে পছন্দ করেনি, করেছে টাওয়ারকে। তাই পরে তিনি আত্মহত্যা করেন।

রাতের কুল শরীফ মসজিদ আরো দৃষ্টি নন্দন: স্থানীয় মুসলিমদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার কমিউনিস্ট শাসন আমলে অন্য সব এলাকার মতো তাতারস্তানেও বহু মসজিদ ধবংস করা হয়েছিল। কিন্তু হাত দেয়া হয়নি এই কুল শরীফ মসজিদে। ধর্মবিদ্বেষী কমিউনিস্টরা অবশ্য বহু গির্জাও ধ্বংস করেছিল। তা রুশদের দেয়া তথ্য।

কাজানে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই মসজিদ। মসজিদটির ছবি সম্বলিত কার্ডও বিক্রি হচ্ছে আশপাশে। পর্যটনের প্রচারণায় আছে এই মসজিদের ছবি। স্বল্প পোশাকের নারী পর্যটকরা এসে এই মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের ক্যামেরাবন্দী করছিল। অন্য ধর্মাবলম্বী ছাড়াও স্থানীয় তাতার মুসলিম মেয়েরাও ছোট পোশাকে মসজিদের পাশে ঘুরাঘুরি করে। আবার হিজাব পরাও আছেন কেউ কেউ।

বিশাল এলাকা জুড়ে এই মসজিদ চত্তর। চারপাশে দেয়াল ঘেরা। বেশ উঁচুতে অবস্থান এই মসজিদের। ঘুরে ঘুরে মাটির উপর নির্মিত সিড়ি ডিঙিয়ে যেতে হয় মসজিদে। অবশ্য তাতে ক্লান্তি লাগে না। পাশেই থাকা ভলগা নদীর বাতাসে ক্লান্তি বহুদূরে পালায়। তিন চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যায় কুল শরীফ মসজিদে। মসজিদ চত্তরে উঠে পুরো এলাকা চমৎকার দৃষ্টিগোচর হয়। মসজিদ লাগোয়া আরো কিছু ভবন আছে। তা প্রশাসনিক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। পানি সংরক্ষণ এবং অগ্নি নির্বাপনের জন্য যে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে তাও মসজিদের গম্বুজের রঙে। সব মিলে এক অসাধারণ পরিবেশ।

কাজানকে বলা হয় রাশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম নগরী। সেই সাথে তৃতীয় রাজধানীও। নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলাধুলার জন্য বিখ্যাত এই শহর। নামকরা অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত এখানে। জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেশ কম। ২১ জন বাংলাদেশী ছাত্র সহ হাজার হাজার বিদেশী ছাত্র পড়ছেন এখানে। স্থানীয় ফুটবল ক্লাব রুবিন কাজান বেশ নাম করা রাশিয়া ও ইউরোপে। তাদের নিজস্ব মাঠ কাজান সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম। তা এই মসজিদের একটু সামনেই। এখন বিশ্বকাপ ভেন্যূ কাজান এরিনাও তাদের দখলে। ২০১৩ সালে কাজানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গ্রীষ্মকালীন বিশ্ব ইউনিভার্সিটি গেসম প্রতিযোগিতা। ১৬২ দেশের ১০ হাজার ৪০০ অ্যাথলেট এতে অংশ নেয়। যা ছিল গেমসের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ। কাজান এরিনার পাশেই সেই গেমসের সুইমিং পুল।

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

মসজিদ পরিচিতি : টাঙ্গাইলের সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী আতিয়া মসজিদ


লস্কর জার্নাল :: টাঙ্গাইলে অবস্থিত ঐতিহাসিক নিদর্শন আতিয়া জামে মসজিদ। টাঙ্গাইল শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে দেলদুয়ার উপজেলায় এর অবস্থান। সারা বছর প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে এখানে। ‘আতিয়া’ আরবি শব্দ ‘আতা’ থেকে উৎপত্তি, যার অর্থ হলো ‘দান’। পঞ্চদশ শতকে এ অঞ্চলে আদম শাহ্ বাবা কাশ্মিরী নামে বিখ্যাত এক সুফি ধর্মপ্রচারক এখানে আগমন করে বসবাস করতে থাকেন এবং ১৬১৩ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। এই সাধকের মাজার এই আতিয়াতেইঅবস্থিত।

তিনি বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হুসায়েন শাহ কর্তৃক আতিয়ার জায়গিরদার নিযুক্ত (১৫৯৮ সালে) হয়েছিলেন বলে জানা যায়। ঐ সময় কররানী শাসক সোলাইমান কররানীর কাছ থেকে তাঁর ধর্মীয় কার্য পরিচালনার ব্যয়ভার বহনের জন্য বিশাল একটি এলাকা বা মহাল ওয়াকফ্ হিসাবে পান। তাঁকে এ এলাকা দান করা হলে এ দান বা ‘আতা’ থেকে সম্ভবত এ পরগণার নাম ‘আতিয়া’ হয়েছে।

শাহ্ বাবা কাশ্মিরী বৃদ্ধ বয়সে তাঁর পরামর্শে প্রিয় ভক্ত সাঈদ খান পন্নীকে মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীর আতিয়া পরগণার শাসন কর্তা নিয়োগ করেন। এই সাঈদ খান পন্নীই করটিয়ার বিখ্যাত জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। সাঈদ খান পন্নী ১৬০৮ সালে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন। এটি দেলদুয়ার উপজেলা তথা টাঙ্গাইল জেলার সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ। সুলতানি ও মোগল আমলের স্থাপত্য শিল্পরীতির সমন্বয়ে নির্মিত এ মসজিদের পরিকল্পনা ও নির্মাণ কাজে নিযুক্ত ছিলেন প্রখ্যাত স্থপতি মুহাম্মদ খাঁ।

এ মসজিদটি নির্মাণের পর ১৮৩৭ সালে রওশন খাতুন চৌধুরাণী ও ১৯০৯ সালে আবুল আহমেদ খান গজনবী সংস্কার করেন।মসজিদটির কিবলাকোটা ও বারান্দাসহ সার্বিক পরিমাণ ১৭.৭০ মিঃ ১২ মিটার। মসজিদের দেয়াল ২.২২ মিটার প্রশস্ত। বারান্দা ৩.৮২ ৭.৫ মিটার। সুলতানি ও মোগল আমলের স্থাপত্যরীতির সুষম সমন্বয় এ মসজিদে দেখা যায় চারকোণে ৪টি বিরাট অষ্টকোণাকৃতীর মিনার রয়েছে। মিনারগুলো ছাদের অনেক উপরে উঠে ছোট গম্বুজে শেষ হয়েছে।

বাংলার স্থাপত্যসমূহ মূলত ইটের তৈরি, কারণ পাথর এখানে সহজলভ্য নয়। তাই বাংলার স্থাপত্য এবং তার অলংকরণ সবই বিকশিত হয়েছে ইটের মাধ্যমেই। আতিয়া মসজিদও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। তবে এ মসজিদে সুলতানি স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যে যেমন বক্রাকার কার্নিশে, দ্বিকেন্দ্রিক সুচালো খিলান, গম্বুজ নির্মাণে বাংলা পান্দানতিভ ব্যবহার এবং উল্লেখযোগ্যভাবে পোড়ামাটির টেরাকোটা নক্শালংকারে।

আতিয়া মসজিদের গম্বুজের নির্মাণশৈলীতে দেখা যায় কিবলা কক্ষের উপর বড় গম্বুজটি খিলানভিত্তিক নির্মাণ পদ্ধতিতে (স্কুইঞ্জ পদ্ধতি) এবং বারান্দার উপর ছোট তিনটি গম্বুজ ‘বাংলা পান্দান্তিভ’ পদ্ধতিতে নির্মিত। পরবর্তিতে সংস্কারের সময় গম্বুজগুলো পলেস্তরা দিয়ে সমান করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু মসজিদ নির্মাণের সময় এমন ছিলো না।

আদিতে গম্বুজগুলো পলকাটা বা ঢেউতোলা ছিল। মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোণে সুড়ঙ্গপথ সম্বলিত ভূগর্ভস্থ কবর নিয়ে নানা মতান্তর রয়েছে।বাংলার সুলতানি এবং মোগল উভয় স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে নির্মিত আতিয়া জামে মসজিদ যুগসন্ধি লগ্নের মসজিদ স্থাপত্য-নিদর্শনরূপে চিহ্নিত। বাংলাদেশে যে সকল মুসলিম স্থাপত্যিক ঐতিহ্য রয়েছে তার মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ একটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি।

টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদে প্রাপ্ত একটি আরবি একটি ফারসি শিলালিপি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে মসজিদের নির্মাতা সময়কাল ও পূর্বের কিছু অসংতির সমাধান পাওয়া যায়। বিদায়ী সুলতানি আর নবাগত মোগল উভয় রীতির সংমিশ্রণে অপূর্ব এক মুসলিম স্থাপত্য, যা দৃষ্টিনন্দন ও এ অঞ্চলে বিরল।

মসজিদ পরিচিতি : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ


লস্কর জার্নাল : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্রীয় মসজিদটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ দৃষ্টিনন্দন সুন্দর মসজিদটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। মসজিদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী এলাকাবাসী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানা যায়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদীন জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একাংশে ২০ শতাংশ জমির ওপর ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি দৃষ্টিনন্দন গম্বুজসহ তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদটিতে একইসঙ্গে প্রায় ২ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের ফ্লোরে ব্যবহার করা হয়েছে মার্বেল পাথর। রয়েছে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম। নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানিয়েছেন, মসজিদের চারিপাশে দৃষ্টিনন্দন কিছু কাজ এখনও বাকি। সব কাজ সম্পন্ন হলে গুঠিয়া মসজিদের পর এটি হবে বরিশালের দ্বিতীয় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।

গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) আসর নামাজের পূর্বে নামফলক উন্মোচন এবং দোয়া-মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মসজিদের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন। পরে নতুন মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এলাকাবাসী।

মসজিদ পরিচিতি : ইতিহাসের অমোঘ সাক্ষী খুলনার মসজিদকুঁড় মসজিদ


লস্কর জার্নাল :: ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর এ ঐতিহাসিক মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়। মসজিদটির নাম মসজিদকুঁড় মসজিদ। খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান। মসজিদটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ ও এর খুব কাছেই রয়েছে সুন্দরবন।

১৯৪৭ সালের পূর্বে এ অঞ্চলটি বন ও বিভিন্ন গাছ-পালায় ভরপুর ছিলো। পরবর্তীতে খননকার্য সম্পাদনা করে মাটির নিচের এই মসজিদটি আবিষ্কার করা হয়। মসজিদটি আবিষ্কারের সময় সেখানে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি বলে এর নির্মাণ-এর সময় সম্পর্কেও সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে মসজিদটি আবিষ্কৃত হয় বলে একে মসজিদকুঁড় নামে নামকরণ করা হয়েছিল।

তবে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ মনে করেন, এ মসজিদটি খুব সম্ভবত খান জাহানের শাসনামলে তৈরি করা হয়েছিল।

মসজিদকূঁড় মসজিদটির প্রতিটি দেয়াল প্রায় ৭ ফুট প্রশস্ত। এছাড়াও এটি বর্গাকারে নির্মাণ করা হয়েছিল যার বাইরে ও ভেতরের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৫৪ ও ৩৯ ফুট। মসজিদটির সামনে রয়েছে তিনটি দরজা ও অভ্যন্তরে রয়েছে পাথরের তৈরি চারটি স্তম্ভ। দেয়াল ও স্তম্ভ মিলিয়ে তিনটি সারিতে তিনটি করে মোট ৯টি গম্বুজ রয়েছে।

সূত্র: ইন্টারনেট

মসজিদ পরিচিতি : ৬০০ বছর পূর্বের ঘাগড়া খান বাড়ি মসজিদ


লস্কর জার্নাল :: শেরপুর জেলায় ৬০০ বছর পূর্বের ঐতিহাসিক ঘাগড়া খান বাড়ি মসজিদ। মসজিদটি নির্মাণকাল আনুমানিক ৬০০ বছর পূর্বে্ নির্মি‌ত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

কথিত আছে ‘পালানো খা’ ও জববার খা দুই ঘাগড়া খান বাড়ি মসজিদ সহোদর কোন এক রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন। পরাজিত হয়ে ভ্রাতৃদ্বয় এই অরণ্যে আশ্রয় নেন এবং সেখানে এই মসজিদ টি স্থাপন করেন।

এ মসজিদে তারা ইবাদত বন্দেগি করে বাকি জীবন কাটিয়ে দেন। মসজিদটির বিশেষত হল এর ইট গুলো চারকোণা টালির মত। আজ হতে ছয় থেকে সাতশত বৎসর পূর্বে এই ইট গুলির ব্যবহার ছিল এ এলাকায়।

আস্তরণ বা পলেস্তার ঝিনুক চূর্ণ অথবা ঝিনুকের লালার সাথে সুড়কী, পাট’ বা তন্তু জাতীয় আঁশ ব্যবহার করেছে। এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির নির্মাণ কৌশল গ্রীক ও কোরিন থিয়ান রীতির প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।

প্রবেশ পথের উপর রয়েছে আরবী ভাষায় নির্মাণকাল ও পরিচয় শিলা লিপি দেখে সহজেই অনুমান করা যায় যে, সেই যুগেও দক্ষ স্থপতি এ অঞ্চলে ছিল। মসজিদটি পুরাকীর্তির এক অনন্য নিদর্শন। যা দেখে যে কোন পর্যটক আকৃষ্ট হবেন, বিমোহিত হবেন।

মসজিদ পরিচিতি : মোঘল আমলের ঐতিহাসিক কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ


লস্কর জার্নাল :: বরিশাল জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে একটি কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ। মিয়া বাড়িতে অবস্থিত মসজিদটি যার জন্য মিয়া বাড়ি মসজিদ নামেই পরিচিত।

বরিশাল জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ হলো কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ। মনে করা হয়ে থাকে ১৮শ শতকে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। সাম্প্রতিককালে কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদটি রঙ করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটির মেরামত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এ কারনে এই মসজিদটির প্রাচীন বৈশিষ্ট্যগুলো পুরোপুরি বিলীন হয়ে গিয়েছে। উঁচু বেসম্যাণ্টের উপর এই কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। নীচতলায় বেসম্যাণ্টের অভ্যন্তরে কয়েকটি কক্ষ রয়েছে যেগুলো মসজিদের নিকটে অবস্থিত মাদ্রাসার ছাত্রদের থাকার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মসজিদে প্রবেশ করার জন্য দোতলায় একটি প্রশস্ত সিঁড়ি রয়েছে।

আয়াতক্ষেত্রাকার এই মসজিদটির উপরিভাগে তিনটি ছোট আকারের গম্বুজ রয়েছে যেগুলোর মধ্যে মাঝখানের গম্বুজটি অন্য দুটি গম্বুজের চেয়ে আকারে কিছুটা বড়। কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদের সামনের দেয়ালে চারটি মিনার এবং পেছনের দেয়ালে চারটি মিনার সমেত মোট আটটি মিনার রয়েছে। এছাড়া সামনের এবং পেছনের দেয়ালের মধ্যবর্তী স্থানে কয়েকটি ছোট মিনার রয়েছে।

মসজিদের উপরিভাগ এবং সবগুলো মিনারে ব্যাপকভাবে কারুকাজ করা হয়েছে। মসজিদটির স্থাপত্যরীতিতে পুরান ঢাকায় অবস্থিত শায়েস্তা খান নির্মিত কারতলব খান মসজিদের অনুকরণ দৃশ্যমান। কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদের পূর্বদিকে একটি বিশালাকারের পুকুর রয়েছে।

মসজিদ পরিচিতি : সুলতান হোসেন শাহের আমলে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক মহালবাড়ি মসজিদ


লস্কর জার্নাল : ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় ১৫০৫ সালে তৈরি ঐতিহাসিক মহালবাড়ি মসজিদ। রানীশংকৈল উপজেলায় উত্তরে মীরডাঙ্গী থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে মহেশপুর গ্রামে মহালবাড়ি মসজিদটি অবস্থিত।

মসজিদে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায় ১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে সুলতান হোসেন শাহের আমলে এটি প্রতিষ্ঠিত। দিনাজপুর জাদুঘরে শিলালিপিটি সংরক্ষিত ছিল। শিলালিপি সূত্রে জানা যায় মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মিয়া মালিক ইবনে জুযমদার। এটি ছিল তিন গম্বুজ বিশিষ্ট।

মসজিদে ভূমি থেকে প্রায় চার ফুট উঁচু চারদিকে শিলা প্রাচীর ছিল। যে শিলাগুলো থাম হিসেবে ব্যবহৃত সেগুলো নকশা করা। শিলা-প্রাচীরের উপরে নির্মিত হয় ইটের দেয়াল। ছাদেও শিলাখন্ডের ব্যবহার ছিল। ছাদ থেকে পানি বের করে দেয়ার জন্য খোদিত শিলার ব্যবহার দেখা যায়। ১৯৭১ সালের পূর্বেই মূল মসজিদটি ধ্বংস হয় এবং সেখানে নির্মিত হয় নতুন মসজিদ।

নবনির্মিত মসজিদটির ভিত ও মেঝেতে প্রাচীন মসজিদের পাথর এবং দেয়ালে ইট ব্যবহার করা হয়েছে। তবে মসজিদের কাছে নকশা করা ও নকশাবিহীন বেশকিছু শিলাখন্ড পড়ে রয়েছে। প্রাচীন মসজিদের নকশা করা প্রায় ৩৬ ×৩০ ইঞ্চি আয়তনের শিলাখন্ড নতুন মসজিদের মিহরাবে আটকানো আছে। এছাড়া প্রাচীন মসজিদের তিন তাকের নকশা করা শিলাখন্ডের মিম্বারটি এখনো নতুন মসজিদের সামনে পড়ে রয়েছে।

মসজিদের পূর্বপাশে আছে একটি ছোট দিঘি। দিঘিটির উত্তর পাড়ের ঘাট উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পাথরে বাঁধানো। মসজিদের দুশ মিটার পূর্বে জঙ্গলের মধ্যে দুটি কবর। কবর দুটি একসঙ্গে ইট দিয়ে বাঁধানো। কবরের উত্তর-পশ্চিমের কোণে নকশা করা একটি পাথরের থাম রয়েছে। হয়তো কবরের চারকোণেই এ ধরনের থাম ছিল।

কবর দুটির মধ্যে একটি ‘বিশ্বাস পীরের’ মাজার বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত। সম্ভবত বিশ্বাস শব্দটি ক্রমান্বয়ে বিশওয়াশ থেকে বিশ বাইশ শব্দে বিকৃত হয়েছে। ফলে এলাকাটিকে বলা হয় বিশবাইশ মহাল।

শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০

স্বপ্ন জয়ের গল্প : ৩৩তম বারে করোনার কল্যানে ম্যাট্রিক উত্তীর্ণ নুরউদ্দীন

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সুকুমার রায়ের সত্‍পাত্র ১৯টি বার ম্যাট্রিকে ঘায়েল হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু ৩৩ বারেও হাল ছাড়েননি ভারতের হায়দরাবাদের মোহাম্মদ নুরউদ্দিন। চেষ্টা ছাড়েননি একটুকুর জন্যও। মেধা না থাকলেও প্রতিবার দশম স্তরের পরীক্ষা দিয়ে গেছেন। ফেল করলেও উত্‍সাহ হারাননি। এবার উত্তীর্ণ হলেন। 

তবে, এবার আর তাকে পরীক্ষাই দিতে হয়নি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার জন্য লকডাউনের জেরে এবার মাধ্যমিক স্তরের এসএসসি পরীক্ষাই বাতিল করে তেলেঙ্গানা সরকার। সব পড়ুয়াকেই একাদশে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ৫১ বছরের নুরউদ্দিনও এখন দশম উত্তীর্ণ।

লকডাউন যখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কাছে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে তখন সেই লকডাউনই কার্যত ত্রাতা হয়ে উঠল এই ব্যক্তির কাছে। ৩৩ বছরে যে স্বপ্ন সফল হয়নি সেটাই হয়ে গেল করোনা আবহে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, 'সরকার কোভিড-১৯ এর জন্য পরীক্ষা বাতিল করল বলে আমি এবার পাশ করে গেলাম।' ইংরেজিতে বরাবরই কাঁচা নুরউদ্দিন। কিন্তু তাকে টিউশন পড়ানোরও কেউ নেই। 

নুরউদ্দিন নিজেই জানিয়েছেন, 'আমি ইংরেজিতে বরাবরই খুব দুর্বল আর আমকে পড়ানোর মতো কেউ নেই। তবে আমার ভাই আর বোনের সহযোগিতা নিয়ে আমি লেখাপড়া চালিয়ে যাই। আমি ৩৩ বছর ধরে একনাগাড়ে ফেল করেছি। তাও আমি বছরের পর বছর চেষ্টা করে যাই। একটা নিরাপত্তা রক্ষীর চাকরির জন্য দশম শ্রেণি পাশের রেজাল্ট চাওয়া হয়েছিল আমার থেকে।' 

তবে নিরাপত্তা রক্ষীর চাকরির জন্য মাধ্যমিক পাশের অপেক্ষা করতে হয়নি নুরউদ্দিনকে। দশম পাশ না করেই ১৯৮৯ সালে একটা সংস্থার নিরাপত্তা কর্মীর কাজ পেয়ে যান। বেতন পান ৭ হাজার টাকা। চাকরি পাওয়ার পরেও মাধ্যমিকের গণ্ডি টপকানোর চেষ্টা চলতে থাকে চার সন্তানের বাবা নুরউদ্দিনের। একেই বলে লেগে থাকা। থামতে চান না তিনি। নুরউদ্দিন জানিয়েছেন, এবার নতুন উদ্যমে চালিয়ে যাবেন লেখাপড়া।

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা কামাল উদ্দীন

লস্কর বার্তা :: পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বিয়ানীবাজারসহ সিলেটবাসী ও দেশ/বিদেশে অবস্থানরত জাতী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা কামাল উদ্দীন।

দেশবাসীকে ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এক বার্তায় তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে৷ তাই এ ঈদ সকল কালিমা আর কলুষতাকে ধুয়ে মুছে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে পরস্পরকে ভালোবাসা ও প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে।

শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখতে হলে আমাদের সকলকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাই সরকারের পাশে থাকতে হবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে। সরকারের পাশাপাশী আমাদের প্রত্যেককে কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। তবেই দেশের দারিদ্র বিমোচন, অর্থনৈতিক বৈষম্য দুর হবে এবং মানুষের আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব। ঈদ হল খুশি আর আনন্দের উৎসব। ঈদ শান্তি সম্প্রীতির উৎসব।

ঈদ আনন্দে সবার জীবন ভরে উঠুক এই প্রত্যাশায় সকলকে ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সুস্থ্য থাকুন, সচেতন থাকুন, ঈদ মোবারক।

আল্লাহ ও তার বান্দার মাঝে নিবিড় সেতুবন্ধনের এক অনন্য মাধ্যম হচ্ছে কোরবানী


হাফিজুল ইসলাম লস্কর।।
কোরবানী শব্দের শাব্দিক অর্থ আত্মত্যাগ, উৎসর্গ বা বিসর্জন ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর নামে কোনো কিছু উৎসর্গ করার নাম কোরবানী। প্রচলিত অর্থে কোরবানী হলো পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নির্দিষ্ট জানোয়ার জবেহ করা।

কোরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কোরবানী করা ওয়াজিব।

কুরআন-হাদিসে কোরবানীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনে পাকের সবচেয়ে ছোট সূরা আল-কাওছারে বলেছেন, ‘অতএব তুমি তোমার প্রভুর উদ্দেশে নামাজ পড়ো এবং কোরবানী করো।’

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানী পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫। 

ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরী। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী তা সম্পাদন করা।

মহান আল্লাহ তায়ালার প্রত্যেক বিধানের পিছনে রয়েছে অর্ন্তনিহীত তাৎপর্য। বান্দা ও তার প্রভুর মাঝে গভীর ভালবাসা, অকৃত্রিম প্রেম-প্রীতি ও নিবিড় সেতুবন্ধনের এক অনন্য উপায় হচ্ছে কোরবানী। আল্লাহর দেওয়া জীবন ও সম্পদ থেকে আল্লাহর নামে কোন কিছু উৎসর্গ করার নামই হচ্ছে কোরবানী।

কোরবানীর প্রবর্তন কীভাবে, কখন থেকে এবং কোরবানীর মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামীন আল কুরআনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। আদি মানব হজরত আদমের (আ.) দু'পুত্র হাবিল ও কাবিলের কোরবানীই পৃথিবীর প্রথম কোরবানী। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন_"আদমের দু'পুত্রের (হাবিল ও কাবিল) বৃত্তান্ত তুমি তাদের যথাযথভাবে শুনাও যখন তারা উভয়ে কোরবানী করল। তখন এক জনের কোরবানী কবুল হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না, আল্লাহ মুত্তাকীদের কোরবানী কবুল করেন।" (সূরা মায়িদা, আয়াত-২৭)।

এখানে কোরবানী কবুল হওয়ার জন্য মুত্তাকী বা খোদাভীতিপূর্ণ পরিশুদ্ধ চিত্ততার কথা বলা হয়েছে। হাবিলের মধ্যে এটা ছিল তাই তাঁর কোরবানী আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। কিন্তু কাবিলের মধ্যে এর অভাব ছিল, ফলে তার কোরবানী কবুল হয়নি। সে কারণে সে ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিলকে হত্যা করল। খোদাভীতি না থাকলে তার কোরবানী তো কবুল হয়ই না, বরং সে একটির পর একটি অন্যায় কাজে প্রলুব্ধ ও ক্ষিপ্ত হয় এটা তারই প্রমাণ। তাই খোদাভীতি বা তাকওয়া শুধু কোরবানী কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত নয়, বরং যে কোন ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত আদর্শ মুসলমান হওয়া।

এ খোদাভীতি বা তাকওয়ার জীবন্ত প্রতীক ছিলেন আল্লাহর নবী-রাসূলগণ। যুগে যুগে তাঁদের অনুসরণ করে একদল লোক প্রকৃত মুমিন বা আদর্শ মানুষে পরিণত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। কোরবানীর ক্ষেত্রে তাকওয়ার চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন মুসলিম মিল্লাতের পিতা হজরত ইবরাহীম (আ.) হজরত ইসমাঈল (আ.) এবং হজরত হাজেরা (আ.)।

আমরা যে কোরবানী করে থাকি তা মুসলিম মিল্লাতের পিতা হজরত ইবরাহীমের (আ.) সুন্নত হিসেবে, আল্লাহর নির্দেশে তাঁর ও তৎপুত্র হজরত ইসমাঈলের (আ.) চরম আত্মোৎসর্গের ঐতিহাসিক স্মৃতিকে স্মরণ করে। স্বামী-স্ত্রী ও পুত্রের চরম আত্মোৎসর্গের স্মৃতিকে স্মরণ করে প্রতিবছর দশই জিলহজ তারিখে হাজীগণ মীনায় এবং দুনিয়ার সর্বত্র সমর্থ মুসলমানগণ জিলহজ মাসের দশ থেকে বার তারিখ পর্যন্ত কোরবানী করে থাকে। হজরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার প্রাণাধিক পুত্র হজরত ইসমাঈলকে (আ.) নিজ হাতে কোরবানী করার জন্য উদ্যত হয়ে মহান আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। অবশ্য আল্লাহর অশেষ কুদরত ও মেহেরবানীতে হজরত ইসমাঈলের (আ.) পরিবর্তে কোরবানী হয়েছিল বেহেশত থেকে প্রেরিত একটি হৃষ্টপুষ্ট দুম্বা। হজরত ইবরাহীমের (আ.) আত্মত্যাগ বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য ও অবিস্মরণীয় ঘটনা।

পবিত্র কোরআনের বর্ণনায় ইব্রাহীম (আ.)-এর স্মৃতিকথা বিবৃত হয়েছে এভাবে- অতঃপর সে (ইসমাইল) যখন পিতার সাথে চলাফেরার বয়সে উপনীত হলো, তখন ইব্রাহিম তাকে বলল : বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি, আমি তোমাকে জবাই করছি; এখন তোমার অভিমত কী সেটা ভেবে বল। সে বলল, পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তাই করুন। আল্লাহ ইচ্ছায় আপনি আমাকে সবরকারী হিসেবে পাবেন। যখন পিতা-পুত্র উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহিম তাকে জবাই করার জন্য শায়িত করলেন। তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইব্রাহিম! তুমি তো  স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি।

কোরবানী ইতিহাস আত্মত্যাগের ইতিহাস, আত্মোৎসর্গের ইতিহাস। মানবজাতির ইতিহাসে পিতা-মাতা-পুত্রের চরম আত্মোৎসর্গের এরূপ দৃষ্টান্ত আর কখনো দেখা যায় না। তাই আল্লাহ মানবজাতিকে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে এ চরম ও অত্যুজ্জ্বল আত্মোৎসর্গের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছেন ঈদুল আযহা ও কোরবানীর মাধ্যমে।

প্রাক-ইসলামী যুগে মানুষ কোরবানীর করার পর কোরবানীর পশুর গোস্ত আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন করার জন্য কাবা ঘরের সামনে এনে রেখে দিত, পশুর রক্ত কাবার দেয়ালে লেপ্টে দেওয়া হত। সূরা হজের ৩৭ নং আয়াতে এ কুপ্রথার মূলেৎপাটন করে আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্টভাবে বলেন : কোরবানীর পশুর রক্ত-মাংসের কোন প্রয়োজন আল্লাহর নেই; তিনি যা চান তা হলো কোরবানীকারীর তাকওয়া, আল্লাহর প্রতি একান্ত আনুগত্য ও আল্লাহর প্রতি মু'মিন-চিত্তের একাগ্রতা। হজরত ইবরাহীম (আ.), হজরত ইসমাঈল (আ.) ও হজরত হাজেরার (আ.) মাধ্যমে আল্লাহ এরই পরীক্ষা নিয়েছিলেন।

পশু কোরবানীর মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে মুমিনদের এ পরীক্ষার ঐতিহাসিক ধারাই চলে আসছে। কোরবানীকারী পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে তার তাকওয়ার পরীক্ষা দেন। আর একথা সুবিদিত যে, স্বার্থপরতা ও কুপ্রবৃত্তির মধ্যে কখনো তাকওয়া বা খোদাভীতির সৃষ্টি হয় না। অতএব, কোরবানী আমাদের এসব মানবিক দুর্বলতার ঊর্ধে ওঠার শিক্ষা দেয়। আত্মশুদ্ধির জন্য যেমন এ ধরনের প্রশিক্ষণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ, কল্যাণময়, সুন্দর মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যও তেমনি এটা অপরিহার্য। এদিক দিয়ে কোরবানীর গুরুত্ব ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে অপরিসীম।

আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যারা আল্লাহর নামে কোরবানী করে তাদের জন্য সীমাহীন সওয়াবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। পশু কোরবানীর মাধ্যমে আত্মত্যাগের অপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও সহানুভূতির গভীর বন্ধনে শান্তির বাতাস বয়। গরিব-দুঃখী, দীনহীন অনাথ এতিম মানুষজন এক দিনের জন্য হলেও নিজেদের অধিকার ফিরে পায়। ঘরে ঘরে জেগে ওঠে দ্বীনি আমেজ।



.
আল্লাহর বান্দা,
হাফিয মাও. হাফিজুল ইসলাম লস্কর,
শিক্ষক:-জামেয়া দারুল উলুম, সিলেট,
সম্পাদক:- সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠ।

চরনারচর ইউনিয়নবাসীকে চেয়ারম্যান রতন তালুকদারের ঈদ শুভেচ্ছা


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশী । মুসলমান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমি রতন কুমার দাস তালুকদার তৃণমূলের একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার চরনারচর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারনসহ সুনামগঞ্জবাসীকে জানাই অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ঈদ মোবারক।

পাশাপাশি এই আনন্দের মাঝেও দুঃখ প্রকাশ করছি আজ শুক্রবার ভোরবেলা আমার ইউনিয়নের শ্যামারচর গ্রামের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব তাজপুরে ব্র্যাকে কর্মরত  চাকুরীজীবি স্বপন কুমার দাস,তার ন্ত্রী লাভলী রানী দাস ও তিন ছেলেকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে প্রাইভেট কারযোগে নিজ বাড়ি দিরাই উপজেলার শ্যামারচর গ্রামে ফেরার পথে সিলেটের ওসমানী নগর এলাকায় কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি,তার ন্ত্রী ও দুই সন্তান এবং কারের চালক ঘনাস্থলেই নিহত হন এবং অপর এক ছেলেকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
 
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মতো বৈর্শ্বিক মহমারীর পাশাপাশি তিনদফা বন্যায় সাধারন মানুষজনের মধ্যে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্রান করে দিয়েছে। তারপরেও সবাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং ধনী গরীবের বৈষম্যকে পেছনে ফেলে ঈদের আনন্দটা সবার মাঝে সমানভাবে বর্সিত হোক সেই প্রত্যাশা রইল। তাই ঈদের এই সন্ধিক্ষণে আমার প্রিয় চরনারচর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারনসহ সুনামগঞ্জবাসীকে আবারো ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সবাইকে ঈদ মোবারক।
.
শুভেচ্ছান্তে
রতন কুমার দাস তালুকদার,
চেয়ারম্যান:- চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদ।

বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০

আজই বিদায় জানান তামাকে, নইলে ঘটে পারে মারাক্তক বিপদ


লস্কর বার্তা ডেস্ক :: তামাক বা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যাবহার পৃথিবী জুরে। এই বিপক্ষে এতো প্রচারনা সর্তেও অনেকেই এখনও গ্রহন করছেন এই তামাক। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে তামাকের সমার্থক শব্দ ছিল ক্যনসার। আর এখনকার অতিমারির সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তামাকের সঙ্গে নোভেল করোনাভাইরাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। করোনাভাইরাসেরও খুব পছন্দ সিগারেট, বিড়ি-সহ নানান তামাকজাত নেশার জিনিস।

কেননা ধুমপান করলে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে এসিই-২ নামে এক বিশেষ রিসেপ্টরের সংখ্যা বহু গুণ বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, কোভিড ১৯ ভাইরাস আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে থাকা এসিই-২ রিসেপটরকে সরাসরি আক্রমণ করে। তাই ধূমপায়ীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। তাই করোনা প্রতিরোধে আজ বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবসে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তামাকে আসক্তির গোড়ার কথা

যিশু খ্রিস্টের জন্মের ছয় হাজার বছর আগে তামাক গাছের জন্মের কিছু নমুনা মিলেছে। সেই সময়ে আমেরিকানরা দাঁতের ব্যথা কমাতে ও কেটে যাওয়ার ওষুধ হিসেবে তামাক পাতা ব্যবহার করতেন। ১৫৮৮ সালে ভার্জিনিয়ার টমাস হ্যারিয়েট তামাক পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া টেনে নতুন নেশার জন্ম দেন। সে সময়ে মুখ দিয়ে ধোঁয়া টেনে নাক দিয়ে বের করাটা পুরুষত্বের প্রতীক ছিল। টমাস হ্যারিয়েট অত্যন্ত বেশি পরিমাণে তামাকের ধোঁয়া টেনে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু তাতেও আটকানো যায়নি ধূমপানের বিস্তার। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে স্বর্ণমুদ্রার পরিবর্তে তামাক পাতা দিয়ে বেচাকেনা শুরু হল। ১৯০২ সালে শুরু হল বিশ্ব বিখ্যাত সিগারেট কোম্পানি মার্লবোরো ব্র্যান্ড। তার পর বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল সিগারেট, চুরুট, পাইপ, বিড়ি-সহ তামাকের নেশার নানা সামগ্রী।

নো টোবাকো ডে

সিগারেট, বিড়ি-সহ সব ধরনের তামাক থেকে বিপদের কথা জেনে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩১ মে পৃথিবী জুড়ে তামাক বিরোধী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। তখন থেকেই বিশ্ব জুড়ে ধূমপান ও তামাকের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা প্রচার শুরু হয়। কিন্তু তাও বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ তামাকে আসক্ত। এ বারের নো টোবাকো ডে-র থিম ‘প্রোটেকটিং ইউথ ফ্রম ইন্ডাস্ট্রি ম্যানিপুলেশন অ্যান্ড প্রিভেন্ট দেম ফ্রম টোব্যাকো অ্যান্ড নিকোটিন ইউজ’। আসলে অন্যান্য দেশের তরুণ প্রজন্ম এ বিষয়ে অনেক সচেতন। কিন্তু আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা এখনও সিগারেটের প্রেমে মগ্ন। তামাককে জীবন থেকে বিদায় না করতে পারলে করোনা, হার্টের নানা অসুখ আর ক্যানসারের ত্র্যহস্পর্শে দেশের ভাবীকাল ধুঁকতে থাকবে।

তামাকের ধোঁয়ার ক্ষতি

নানা ধরনের ক্যানসার থেকে শুরু করে হার্টের অসুখ, বুদ্ধিনাশ, অকাল বার্ধক্যের মতো নানা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে তামাকের, বললেন মেডিসিন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসক দীপঙ্কর সরকার। নিকোটিন ছাড়াও সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকা নানা ক্ষতিকর রাসায়ানিকের প্রভাবে মস্তিষ্কের বাইরের দিকের স্তর কর্টেক্স (এর আর এক নাম গ্রে ম্যাটার) ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। এডিনবার্গ ও ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক সমীক্ষা করে এর প্রমাণ পেয়েছেন। প্রায় ৫৫০ জন ধূমপায়ীর মস্তিষ্কের এমআরআই করে দেখা গিয়েছে, অধুমপায়ীদের তুলনায় তাঁদের গ্রে ম্যাটারের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে। প্রসঙ্গত সেরিব্রাল কর্টেক্স অর্থাৎ মস্তিষ্কের বাইরের স্তর মোট মস্তিষ্কের দুই তৃতীয়াংশ এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিগারেটের ধোঁয়ার ক্ষতিকর রাসায়ানিকের প্রভাবে ব্রেনের গ্রে সেল ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। কর্টেক্স বা গ্রে ম্যাটার ব্রেনের সব থেকে উন্নত অংশ। এই অংশই আমাদের বুদ্ধি, ভাবনা চিন্তার শক্তি, কথা বলা ও বোঝা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা-সহ বিভিন্ন মানসিক বিকাশের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। তাই এই অংশের ক্ষয় হলে সামগ্রিক ভাবে বুদ্ধি যায় কমে।

ধূমপানে করোনা সংক্রমণ ও অন্যান্য সমস্যা বাড়ে

· অনেক তরুণকেই বলতে শোনা যায়, ধূমপান পৌরুষের প্রতীক। চিকিৎসা বিজ্ঞান আবার উল্টো কথা বলছে। ধূমপায়ী পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। শুক্রাণুর বিকৃত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। একই সঙ্গে পুরুষত্বহীনতা ডেকে আনতে পারে ধূমপান। পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ ধূমপান।

· মেয়েদের মা হওয়ার ক্ষমতা কমায় ধূমপান। মেন্সট্রুয়াল সাইকেল এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। মেনোপজ এগিয়ে আসে। সার্ভিক্স-সহ অন্যান্য ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে।

· শ্বাসনালী আর ফুসফুসের সব থেকে বেশি ক্ষতি করে সিগারেটের ধোঁয়া। শ্বাসনালীর ওপরের আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্দি, হাঁচি, কাশির পাশাপাশি বার বার শ্বাসনালীর সংক্রমণ হয়। ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতাও কমে যায় বলে জানালেন দীপঙ্করবাবু।

· কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সায়ানাইড, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, লেড-সহ অজস্র মেটাল এবং বিভিন্ন তেজষ্ক্রিয় পদার্থ থাকে সিগারেট, বিড়ির ধোঁয়ায়। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রাসায়ানিকই ক্যানসার উদ্দীপক।

· তামাক আর ক্যানসার প্রায় সমার্থক। নাক, কান, গলা, মুখের মধ্যে ও জিভের ক্যানসারের সঙ্গে সঙ্গে গলা, স্বরযন্ত্র, ফুসফুস ইত্যাদি বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসারের অন্যতম কারণ তামাক।

· ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

· রক্তচাপ ও হার্ট রেট বেড়ে যায় তামাক সেবনে।

· রক্তনালীর সংকোচনের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

· রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। একই সঙ্গে রক্ত অতিরিক্ত চটচটে হয়ে যাওয়ায় জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে। ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাক হয় ও মস্তিষ্কে সমস্যা হয়।

· ধূমপান নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

· ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই।

· চোখের নানা সমস্যা-সহ অন্ধত্বের আশঙ্কা বাড়ে।

· মাড়ি ও দাঁতের অসুখের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

· বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

তাই নিজের ও পরিবারের স্বার্থে তামাককে জীবন থেকে গুডবাই করে ভাল থাকুন।
.
তথ্যসূত্রঃ আনন্দবাজার

আগামি বিশ্বে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর বাজার থাকবে চীনের দখলে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  কোভিড নাইনটিন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চীনসহ সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর বাজার গড়ে উঠেছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর ম'হামারি নিয়ন্ত্রণে আসলে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এজন্য নিয়মনীতি শক্তিশালী করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিচ্ছে দেশটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ মহামারিতে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর বাজার থাকবে চীনের দখলে।

লস এঞ্জেলসের ব্যবসায়ী তাম্মাবাত্তুলা। মহামা'রিতে পুষ্টিসামগ্রী আর প্রসাধনীর উৎপাদন থেকে সরে এসে শুরু করেছেন মাস্ক আর স্যানিটাইজার উৎপাদন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন আর বিক্রি তার কাছে বেশ ক'ঠিন। কারণ এখানে এমন কোন কোম্পানি খুঁজে পাওয়া ভার, যারা পাম্প হ্যান্ডেলের সাথে প্লাস্টিক বোতল তৈরি আর বিক্রি করে। এজন্য তার চীন থেকে ব্যয়বহুল চাটার্ড ফ্লাইটে করে মেশিনটি আমদানি করতে হয়েছে। তাই তুলনা করলে চীনে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবসা পরিচালনা করা বেশ সহজ বলে মনে করেন তিনিসহ তার মতো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

মহামারি শুরুর পর চীনে মাস্ক, গ্লোভস, টেস্ট কিট আর পিপিইসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছর মাস্ক তৈরি এবং বিক্রির জন্য নিবন্ধিত হয়েছে ৬৭'র বেশি কোম্পানি। সরকারও দিচ্ছে স্বল্প সুদে ঋণ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের জন্য স্থানসহ প্রয়োজনীয় সব সহায়তা।

চীন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, 'মেড ইন চায়না ২০২৫' নীতির আওতায় ৩০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করা হবে আমদানি নির্ভর পণ্যগুলো দেশে তৈরির জন্য। সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হবে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। সরকারও দিচ্ছে ভর্তুকি। ভেন্টিলেটর আর অন্যান্য আইসিউ সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেনঝেন মিনড্রে পেয়েছে দেড় কোটি ডলার ঋণ। মাস্ক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উইনার মেডিকেল পেয়েছে ৩০ থেকে ৪০ লাখ ডলার ঋণ। হাসপাতালগুলোও দেশীয় স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী কিনছে। চীনের স্থানীয় সরকার, শুধু শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল এসব পণ্য আমদানি করতে পারবে। বাকি হাসপাতালগুলোকে চীনা পণ্যই কিনতে হবে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি পিস মাস্ক রফতানি করেছে চীন। গেলো বছর ২ হাজার কোটি পিস মাস্ক তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বে, যেখানে চীনেই তৈরি হয়েছে অর্ধেক মাস্ক।-সময়নিউজ

যে সকল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উপসর্গ নেই তারা করোনা ছড়ায় না বলেছে ডব্লিউএইচও


লস্কর বার্তা ডেস্ক : যে সকল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উপসর্গ নেই তারা করোনা ছড়ায় না বলেছে ডব্লিউএইচও।  উপসর্গ নেই এমন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়ায় না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখভ।

সোমবার এ সম্পর্কে তিনি বলেন, কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান ও তথ্য থেকে এমন ধারণা করা হচ্ছে। তবে এনিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না, এ বিষয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন।

করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্যে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তা করোনা পজিটিভ ব্যক্তি উপসর্গহীন হলেও ছড়ায়। এর পর ডব্লিউএইচও’র পক্ষ থেকে নতুন করে এই তথ্য বলা হল।

মারিয়া আরো জানান, উপসর্গহীন ব্যক্তি যদি করোনা সংক্রমণ ছড়ায় তবে তা ‘খুবই বিরল’ ঘটনা।

তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ এখন করোনা শনাক্তকরণের ওপর জোর দেয়া এবং করোনায় আক্রান্ত উপসর্গ ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রাখা। সেইসঙ্গে যারা আক্তান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছে তাদের চিহ্নিত করা।

এদিকে বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে এবং আক্রান্ত দেশগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক ড. টেডরোস আধানম।

তিনি বলেছেন, গত ১০ দিনের মধ্যে নয়দিনই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখেরও বেশি করে। সর্বশেষ রোববার এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৩৬ হাজার, যা বিশ্বজুড়ে একদিনে আক্রান্তের নতুন রেকর্ড।
.
সূত্র: ডেইলি মেইল

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

আলহাজ্জ মছব্বির আলী লস্কর-এর ইন্তেকালে বিভিন্ন মহলের শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের গোলাপগঞ্জের প্রবীণ মুরুব্বী, বিশিষ্ট সমাজসেবী, প্রাজ্ঞ সালিশি ব্যক্তিত্ব, গোয়াসপুর এলাকার আস্থাভাজন অভিভাবক ও সাদা মনের মানুষ খ্যাত আলহাজ্জ মছব্বীর আলী লস্কর-এর ইন্তেকালে সিলেটের পরিচিত মহলে বইছে শোকের ছায়া।

পরোপকারী আলহাজ্জ মছব্বীর আলী লস্কর-এর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন- বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জামেয়া দারুল উলুম সিলেটের প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. ইকবাল আহমদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, সিলেট সিটি কর্পোরেশন (শাহজালাল উপশহর) কাউন্সিলর এড. ছালেহ আহমদ সেলিম, জামেয়া সিরামপুর মহিলা মাদ্রাসার শায়খুল হাদিছ ক্বারী মাওলানা আব্দুস সালাম, জাতীয় জুডো কোচ ও সিএইচটি মিডিয়ার মুখ্য সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া মিলন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ফেঞ্চুগঞ্জ বার্তার প্রকাশক সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, মাদ্রাসায়ে ছাবিলুল হক্ব এয়ার্পোট ঢাকার প্রধান মুফতি ও জনপ্রিয় মুফাসসিরে কোরআন মুফতী মুহিবুর রহমান নুরী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মিছবাহ উদ্দীন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বদরুল ইসলাম সুয়েব, লন্ডন সিটি আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমদ সাহেল, সিলেট বার কাউন্সিলের আইনজীবী এড. দেলওয়াল হোসেন দিলু, এড. গিয়াস উদ্দীন, এড. গাজী আজমাল, এড. কবির আহমদ, এড. সৈয়দ মহসিন আহমদ, এড. আতীকুর রহমান, এড. মানিক আহমদ, এড. রেদওয়ানুল ইসলাম, শাহাজাহান চৌধুরী, সরওয়ার মাহমুদ, সুহেল খাঁন, সালিক উদ্দীন,  বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ রুকুনুজ্জামান চৌধুরী, রানাপিং মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী মাওলানা রায়হান আহমদ, জামেয়া দারুল উলুম সিলেটের শিক্ষা সচিব মাওলানা বেলাল আহমদ চোধুরী, মুফাসসিরে কোরআন সালমান আহমদ আফতাবী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার সামছুল ইসলাম বাচ্চু, মাদ্রাসাতুল হাসনাইনের শিক্ষা সচিব মাওলানা মাশহুদ আহমদ, বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম সিলেট জেলা সভাপতি রুহুল ইসলাম মিঠু, সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক ডা.আক্তার হোসেন, আমাদের কথা'র সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান টিপু বক্স, সামী জেনারেল ষ্টোর এর সত্ত্বাধিকারী ইকবাল আহমদ চৌধুরী, দৈনিক জনতার কন্ঠ এর সম্পাদক ও প্রকাশক জাকারিয়া হোসেন জোসেফ, বার্তা সম্পাদক উমেদ আলী, জামেয়া দারুল উলুম সিলেটের সাবেক শিক্ষা সচিব হাফিজ মাওলানা এইচ এম মাহবুব, হলিবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ও শাহজালাল উপশহর যুব কল্যান পরিষদের আহবায়ক মাওলানা রেজওয়ান আহমদ, মারকাযুল ক্বোরআন সিলেটের শিক্ষা-সচিব হাফিজ মাওলানা আব্দুল হাই আল হাদী, হাফিজ কবীর আহমদ জকীগঞ্জী, গোয়াসপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ক্বারী মাওলানা জামিল আহমদ, ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম, ক্বারী মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা ইমরান হোসাইন, ফেঞ্চুগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজা সায়মন, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সুমন মিয়াঁ, সমকাল নিউজের ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি জাহেদুল ইসলাম, সামটিভিইউএসএ-এর সম্পাদক জাহেদ যারীফ, গোলাপগঞ্জের বিশিষ্ট সাংবাদিক হাফিজ নোমান মাহফুজ, রিয়াছাতুল উলুম মাদ্রাসাতুল বানাত চৌঘরীর শিক্ষক জবরুল ইসলাম, ফেঞ্চুগঞ্জের বিশিষ্ট সাংবাদিক আর কে দাশ চয়ন, ডা. বিমল চন্দ্র দাশ, হলিবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমের কর্নাধার লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক আরাফাত হোসেন, বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক এমরান আহমেদ, মেসার্স রিয়া কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী নুরুজ্জামান আহমদ কাওছার, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শামিম আহমদ, পটুয়াখালীর সাংবাদিক অরিন মাহমুদ পারভেজ, সাংবাদিক শফীকুল ইসলাম স্বাধীন, সাংবাদিক ইদুঁ খাঁন, মাওলানা ছদরুল আমীন চৌধুরী, তরুন সংগঠক রাজেল আহমদ, ইয়াসিন আহমদ প্রমুখ।

শোকবার্তায় তাহারা মরহুমের মৃত্যু‌তে গভীর শোক প্রকাশ ব‌লেন, মরহুম আলহাজ্জ মছব্বীর আলী লস্কর ছিলেন একজন পরোপকারী নিরহংকারী সাদা মনের মানুষ, বিজ্ঞ সালিশী ব্যক্তিত্ব্য, বিশিষ্ট সমাজসেবী, সদা হাস্যউজ্জল এক ব্যক্তিত্ব, এরকম সহজ সরল ও আস্থাভাজন অভিভাবকের বিদায়ে সমাজের অপুরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়, যাহা সহজে পুরণযোগ্য নহে। আমরা তাহার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত প‌রিবা‌রের প্র‌তি সম‌বেদনা জানা‌চ্ছি। মহান রব্বুল আলামীন তাঁকে জান্না‌তের স‌র্বোচ্চ স্থান দান করুন। (আমীন)।


উল্লেখ্য, আলহাজ্জ মছব্বীর আলী লস্কর শনিবার (২ মে) বিকাল ৩-১০ মিনিটে শাহজালাল উপশহর জ্বী ব্লকের বাসভবনে ইন্তেকাল করেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তিনি ১৯২৬ সালে গোলাপগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গোয়াসপুর এলাকায় জন্মগ্রহন করেন। এবং একই দিন শনিবার রাত ১০-৩০ মিনিটে জানাজার নামাজের পর মরহুমকে তাহাদের পঞ্চায়েতী গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে হাফিজ  মাওলানা হাফিজুল ইসলাম লস্কর।

আলহাজ্জ মছব্বীর আলী লস্কর দীর্ঘদিন থেকে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি তিন মেয়ে ও আটঁ পুত্র সন্তানের জনক। তিনি সিলেট বার কাউন্সিলের বিশিষ্ট আইনজীবী এড. সাইদুল ইসলাম লস্কর, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্টাতা সাবেক সভাপতি সামছুল ইসলাম লস্কর ও জামেয়া দারুল উলুম সিলেটের সিনিয়র শিক্ষক ও বাংলাদেশ রিপোর্টার ক্লাবের স্থায়ী সদস্য সাংবাদিক হাফিজ  মাওলানা হাফিজুল ইসলাম লস্কর-এর গর্বিত পিতা।


.
লস্করবার্তা/সুমন/৩.৫.২০২০

শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০

প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম লস্কর এর উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

সিলেট প্রতিনিধি :: করোনা ভাইরাসের কারনে দেশের নিম্নআয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় কষ্ট। নিম্নবিত্তদের কষ্ট লাঘবে করোনা ভাইরাসের সংকটময় মুহুর্ত মোকাবেলা ও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে গোলাপগঞ্জ  উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়াসপুর ও রুইঘর গ্রামে লকডাউনে থাকা অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক প্রতিষ্টাতা সভাপতি সামছুল ইসলাম লস্করের বড় ভাই লন্ডন প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম লস্কর।

গোলাপগঞ্জের সদর ইউপির রুইঘর ও গোয়াসপুরের শতাধিক কর্মহীন-অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাধ্যে লন্ডন প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম লস্করের অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও হিন্দু পরিবারকে অগ্রাধিকার দিয়ে শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) বাদ জুমআ অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।

খাদ্যসামগ্রী বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, লন্ডন সিটি আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমদ সাহেল, বিশিষ্ট আইনজীবী এড. সাইদুল ইসলাম লস্কর, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মক্তার আলী লস্কর, হাফিজ মাও. হাফিজুল ইসলাম লস্কর, আলিম উদ্দীন, সামু মিয়া, সামছু মিয়া, বাশারুল ইসলাম লস্কর, মাজেদ আহমদ প্রমুখ।

বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০

আল্লামা আনসারীর মৃত্যুতে হাফিজুল লস্কর ও আল হাদীর শোক

সিলেট প্রতিনিধি :: বিশ্ব বরেণ্য ইসলামী  চিন্তাবিদ, দেশের প্রখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা জুবায়ের আহমদ আনসারী ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ও দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান তরুন আলেমেদ্বীন হাফিজ মাও. হাফিজুল ইসলাম লস্কর ও মারকাযুল কোরআন সিলেটের শিক্ষা সচিব হাফিজ মাও. আব্দুল হাই আল হাদী।

এক শোকবার্তায় তাহারা হযরতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, বিশ্ব নন্দিত মুফাসসিরে কুরআন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ আল্লামা হাফিজ জুবায়ের আহমদ আনসারী রাহ. এর ইন্তেকালে বাংলাদেশের ইসলামি অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূণ্যতার সৃষ্টি হলো। তিনি একাধারে একজন হাফিজে কুরআন, আলেমে দ্বীন, নন্দিত মুফাসসির, সফল মুহতামিম ও আদর্শ ইসলামী রাজনীতিবীদ ছিলেন। শুধু ক্বওমী অঙ্গনে নয় কম বেশি সব অঙ্গনেই তিনি একজন জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। বর্তমান প্রচলিত ওয়াজের জগতে তাঁর কোনো জুড়ি নেই, একমাত্র দাওয়াত ইলাল্লাহ ছিলো তাঁর মূখ্য উদ্দেশ্য, এক্ষেত্রে তাঁকে এখলাস ও লিল্লিহিয়্যাতের মূর্তপ্রতীক বলা যায় নির্দ্বিধায় । একজন দায়ী ইলাল্লাহকে হারিয়ে আমরা শোকাহত।

উল্লেখ্য, বিশ্ব বরেণ্য ইসলামী  চিন্তাবিদ আল্লামা জুবায়ের আহমদ আনসারী শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেশের বাইরে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ৪ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

অধ্যক্ষ শওকত আলীর মৃত্যুতে হাফিজুল লস্কর'র শোক


সিলেট :: বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ, বালাগঞ্জ ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শওকত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ও দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান হাফিজুল ইসলাম লস্কর।

এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বলেন, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শওকত আলী দুর্ভাগ্যের কাঁদাজলে আটকে পড়া সমাজকে একটি গ্রহনযোগ্য সমাজে রুপদানের জন্য নির্লোভ ও নিংস্বার্থ ভাবে কাজ করেছেন। একজন ভদ্র নম্র ও মেধাবী শিক্ষক হিসেবে আলোকিত সমাজ গঠনে তার ভুমিকা প্রসংশনীয়।