হাফিজুল ইসলাম লস্কর
.
বাঙ্গালী জাতীর আত্বত্যাগের অমরগাথা ডিসেম্বর মাস শুরু। ’৭১-র ডিসেম্বর মাস বাঙালির মহান বিজয় ও শোকের মাস। জাতিকে মেধাহীন ও নেতৃত্বহীন করতে বর্বর পাকিস্থানীদের এদেশীয় দালাল আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের হাতে জীবন দিতে হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানসহ ৩০ লাখ নিরীহ ও মুক্তিযোদ্ধাকে। ১৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করে আত্মদানকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করতে গিয়ে বিশ্বের কোনো জাতিকে এত রক্ত দিতে হয়নি, এত অগণিত মানুষ ও বুদ্ধিজীবীকে জীবন উৎসর্গ করতে হয়নি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও তাদের এদেশীয় তাঁবেদার তথা স্বাধীনতাবিরোধীদের পরিকল্পনা ছিল বাঙালি জাতিকে যে কোনো মূল্যে সুশিক্ষা ও সুযোগ্য নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত ও মেধাহীন পঙ্গু জাতিতে পরিণত করা ও ধ্বংস করা। এ লক্ষ্যেই পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের এদেশীয় দালালরা বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের বিজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধরে নিয়ে যায় দেশের সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, স্বনামধন্য চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ মেধাবী সাংবাদিক ও মুক্তচিন্তার অধিকারী বুদ্ধিজীবীদের।
৭১’র ১৬ ডিসেম্বর সদ্য বিজয়ী অথচ শোকাহত জাতি হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য স্বজনকে জীবিত খুঁজে পায়নি! জাতি খুঁজে পায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর হাতে নিহত অসংখ্য বুদ্ধিজীবীসহ অগণিত মানুষের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ, কঙ্কাল, মাথার খুলি, যা আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে খুঁজে পাওয়া যায়। বহু মুক্তিযোদ্ধা এবং নিরীহ নর-নারী নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের কোনো খোঁজ আজও পাওয়া যায়নি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বধ্যভূমিগুলোতে নাম না জানা বহু মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে বহু বছর ধরে। নিশ্চিতভাবেই সেসব বধ্যভূমিতে হারিয়ে যাওয়া বুদ্ধিজীবীসহ নিরীহ অসংখ্য বাঙালি নর-নারী ও শিশুর মৃতদেহ মিশে একাকার হয়ে গেছে। আমরা স্বভাবতই শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ আত্মদানকারী শহীদদের কাছে ঋণী দেশ ও জাতির গৌরবোজ্জ্বল বিজয় অর্জনের জন্য। ৭১-এ সদ্য স্বাধীন বিধ্বস্ত দেশ ও জাতিকে পরিচালনা, ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি সুদৃঢ়করণ, সর্বোপরি জাতির সঠিক নেতৃত্ব প্রদানের জন্য বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা অপরিহার্য ছিল, যা ৭১’র নরঘাতক তথা মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি যথার্থই উপলব্ধি করেছিল। তাই তারা আমাদের বিজয় অর্জনের দ্বারপ্রান্তে এসে তাদের নীলনকশা অনুসারে প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করা অত্যাবশ্যক মনে করেছিল। ঘাতকরা সামান্যতম ছাড় দেয়নি বা কার্পণ্য করেনি পরিকল্পিতভাবে তাদের দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নে।
প্রতি বছর আমরা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে থাকি। বিজয় দিবস পালন করতে গিয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বিজয় দিবসের মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেও দেশ ও জাতির জন্য আত্মদানকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মদানের কথা আমরা বেমালুম ভুলে গিয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত না করে দেশের সর্বত্র অফিস-আদালত, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাসগৃহ, দোকানপাট, বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাস-কার, লঞ্চ-স্টিমার, ট্রেনসহ সব যানবাহনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে শুরু করি। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশ সচিবালয়সহ সব সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি অফিস-আদালত, সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্ট, সব সেনানিবাস, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সব সিটি করপোরেশন-পৌরসভাসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোয় ব্যাপক আলোকসজ্জা শুরু করি। খুবই পরিতাপ ও বেদনার সঙ্গে আমরা লক্ষ করি যে, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেও এই আলোকসজ্জা অব্যাহত থাকে, যা ৭১’র ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার প্রতি চরম অবমাননা। এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন যেমন অপরিহার্য, যা ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে শুরু হয়, তেমনি মাসব্যাপী বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা প্রদর্শন নিয়মে পরিণত হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে অন্তত ওইদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং আলোকসজ্জা প্রদর্শন বন্ধ রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনামা বা প্রজ্ঞাপন জারি অত্যাবশ্যক। এই স্পর্শকাতর ও জরুরি বিষয় কোনো ক্রমেই সরকারের এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ অম্লান রাখার লক্ষ্যে তাদের নামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্রাবাস, বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, নদীবন্দর, স্থলবন্দর, শহর-জনপথ, গ্রামগঞ্জের নামকরণের মাধ্যমে আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি অনন্তকাল স্মরণীয় করে রাখাতে পারি। বাঙালি জাতির কাংখিত বিজয় নিশ্চিত করতে বহু বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মাহুতি দিয়েছেন, যাদের মহান বীরত্বগাথা অবিস্মরণীয় করে রাখা অপরিহার্য। যা থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী অকুতোভয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি তাদের মহান বীরত্বগাথা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির কল্যাণে নিয়োজিত হবে এবং দেশের সংকটময় মুহূর্তে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে। এভাবে বর্তমান শতাব্দী থেকে আগামী শতাব্দীর মানুষ তথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বংশপরম্পরায় বাঙালি জাতি তার আত্মপরিচয় খুঁজে পাবে। একটি জাতি তার ইতিহাস থেকে শিক্ষা লাভ করে এবং গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের ইতিহাস সে জাতির অহঙ্কার। সেই বিজয়ের ইতিহাসের পথ ধরে জাতি অগ্রসর হবে, অজানা-অচেনাকে জয় করবে। বিজয়ের অবিস্মরণীয় ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ন্যায়ের পথ ধরে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে, প্রতিবাদী হতে শিক্ষা নিয়ে জাতি যথাযথ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে আত্মনিয়োগ করবে, সর্বোপরি চরম ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে। মহান বিজয়ের মাস, বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অঙ্গীকার হোক অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন অবশিষ্ট বধ্যভূমিগুলো আবিষ্কার করে সেগুলোর খনন কাজ সম্পন্ন করার, যা বর্তমান সরকারের আমলে সম্পন্ন না হলে ভবিষ্যতে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বাধ্যতামুলক করাসহ দেশব্যাপী মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের জয়গান হোক, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অনাচার ও সন্ত্রাসমুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন জাতি
হিসেবে বাঙালি বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। বিজয়ের মাসের অঙ্গীকার হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে অবিচল থাকার, সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের রক্তঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন তথা শোষণহীন সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণে ইস্পাত কঠিন শপথ গ্রহণের।
সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬
সম্পাদকীয় _______________________________ ডিসেম্বর বিজয় ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের মাস
রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬
রাণাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও আমার স্মৃতি
জিয়া উদ্দীন
ষাট দশকের মধ্যভাগ থেকে আমি চৌঘরী গোয়াসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত আছি। পরবর্তীকালে রিয়াজ উদ্দীন প্রধান শিক্ষক হয়ে আসার পরে স্কুলের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে তার সাথে আমার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন তিনি স্কুলের শিক্ষক সমস্যা, আসবাবপত্রের সমস্যা ইত্যাদির ব্যাপারে আমার সাথে আলাপ-আলোচনা করতেন। এক সময় শিক্ষক সমস্যার ব্যাপারে সম্ভবত ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ফারুক আহমদ, হোসেন আহমদ ও সাদিক আহমদ কে স্কুলে অবৈতনিক ভাবে শিক্ষাদানের জন্যভ বললে তারা রাজী হয়ে যান। তখন লন্ডন প্রবাসি আব্দুল খালিক তার মেয়েকে ভর্তি করানোর সুবাদে স্কুলে আসা যাওয়া করতেন বিধায় আমরা একে অন্যের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠি। খালিক সাহেবের মেয়েটি পরবর্তীকালে প্রাথমিক বৃত্তি লাভ করে ছিল। সেই সময় আমরা অর্থাৎ আমি, রিয়াজ উদ্দীন, লন্ডন প্রবাসি আব্দুল খালিখ, ফারুক আহমদ, হোসেন আহমদ ও ছাদিক আহমদ মিলে এলাকায় একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করে কিভাবে শিক্ষায় প্রসার ঘটানো যায়, এ নিয়ে আলাপ আলোচনার জন্য এলাকার মুরব্বীয়ানসহ সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে একটি সভা আহবান করি; এবং প্রাইমারী স্কুলের সম্মুখস্থ স্থানটিকে বেঁচে নিয়ে জমির মালিকের সাথে যোগাযোগ করি। কিন্তু স্থানটি পেতে আমরা ব্যর্থ হই। এমনকি হাজী আব্দুল মনাফ ওই জমির পরিবর্তে তার অন্য ভাল জমি দেয়ার প্রস্তাব করলেও তারা রাজী হন নাই। পরবর্তীকালে আমি, আব্দুল খালিক (লন্ডনী), রিয়াজ উদ্দীন, ফারুক আহমদ, হোসেন আহমদ, ছাদিক আহমদ, আব্দুল ওদুদ, ইসমাইল আলী, হাজী আব্দুল মনাফ, শওকত আলী, মাশুক উদ্দীন, আব্দুল হেকিম, আবুল কালাম, মাওলানা সামসুদ্দীন ও মাখন মিয়া প্রমুখ একটি সভায় মিলিত হয়ে চৌঘরী গোয়াস পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিতে একটি কাঁচাঘর তৈরী করে প্রাইমারী স্কুলের আসবাবপত্র দিয়ে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণী চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। তখন মাশুক উদ্দীন, আবুল কালাম, শওকত আলী ও আব্দুল হেকিমকে নিয়ে এলাকা থেকে বাঁশ সংগ্রহের দায়িত্ব পড়ে আমার উপর। আব্দুল খালিক, আব্দুল ওদুদ ও মাখন মিয়াকে দায়িত্ব দেয়া হয় এ বিষয়ে প্রচার ও যোগাযোগের জন্য এবং শিক্ষকতার দায়িত্ব নেন ফারুক আহমদ, হোসেন আহমদ, ছাদিক আহমদ ও আছমান উদ্দীন। পরে তারা ছাত্রছাত্রী ভর্তি করে ক্লাস আরম্ভ করেন। আমরাও ছাত্রদের সহযোগিতায় বাঁশ সংগ্রহ করে স্কুলে এনে জড়ো করি। পরে আমি নিজে বর্তমান আইডিএ কক্ষের পাশে একখানা একচালা ঘর বানানোর দায়িত্ব নিয়ে নিজের টাকায় গোলাপগঞ্জ থেকে ধাড়া কিনে এনে সহযোগিদের মাধ্যমে স্কুলের প্রথম ঘরটি তৈরী করি। তখন আমাদের সকলের অনুরোধে আব্দুল খালিক লন্ডনী স্কুলে তার একখন্ড জমি দানের আশ্বাস দেন। এতে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। পরে আলোচনার মাধ্যমে অভিজ্ঞ শিক্ষক হিসেবে আব্দুল মুকিত সাহেবকে স্কুলে নিয়ে আসার জন্য ফারুক আহমদ ও হোসেন আহমদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। জমি পাওয়ার পর সেখানে একটি কাঁচাঘর বানানোর জন্য ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের জন্য হাজী নিসার আলীর সভাপতিত্বে একটি সভায় আমরা ৫ ফেব্রুয়ারী ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের দিন নির্ধারণ করি। ওই ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন সভায় আলা উদ্দীন, ফারুক আহমদ, শেখ আব্দুল মতিন (পাখী মিয়া) ও শওকত আলী প্রমুখের বক্তৃতা এলাকাবাসীকে আরও সংগঠিত করে।
ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পরে সম্ভবত গোলাপগঞ্জে আব্দুল ওদুদের দোকানে আমরা কয়েকজনের সাথে আলাপ প্রসঙ্গে খয়ের উদ্দীন আহমদ (চুনু) রাস্তা বরাবর মাটি ভরাট করে পাকা দিয়ে স্কুল ঘরটি বানানোর প্রস্তাব রেখে এতে সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে তারই নেতৃত্বে স্কুল গৃহটি বানানোর দায়িত্ব দেয়া হয়। এই সময় বিদ্যালয়টিকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য একটি আহবায়ক কমিটি ও একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। খয়ের উদ্দীন আহমদ (চুনু মিয়া) ও তমজ্জুল আলী (তুতা মিয়ার) তত্ত্বাবধানে দ্রুত স্কুলগৃহের নির্মাণ কাজ এগিয়ে যায়। আমি উল্লিখিত দু-টি কমিটির সদস্য হিসেবে এক মণ বড় রড দানসহ নানা ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করি। নতুন স্থানে পাকা স্কুল গৃহটি নির্মানের পর পাঠশালা থেকে পাঠদান বর্তমান রাণাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। আমি প্রথম থেকে রাণাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত এবং প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলাম। তখন সভাপতি ছিলেন হাজী নিসার আলী।
জিয়া উদ্দীন: অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, রাণাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৬
আ: লীগের কাণ্ডারি যারা
লস্কর বার্তা ডেস্ক : উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহে। এতে সভাপতি হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।
আওয়ামী লীগের তৃতীয় সম্মেলন হয় ১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর ঢাকার সদরঘাটে রূপমহল সিনেমা হলে। এ সম্মেলনে দলের নতুন নামকরণ হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। পরে কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহাল থাকেন।
১৯৫৭ সালে কাগমারী আওয়ামী লীগের চতুর্থ সম্মেলনে সোহরাওয়ার্দী-ভাসানীর মতপার্থক্যের কারণে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ ভেঙে যায়। ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। মূল দল আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান অপরিবর্তিত থাকেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি হলে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়। ছয় বছর পর ১৯৬৪ সালে পঞ্চমবারের মতো কমিটি পুনর্গঠিত করে দলটির কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তর্কবাগীশ-মুজিব অপরিবর্তিত থাকেন।
আওয়ামী লীগের ১৯৬৬ সালের ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজউদ্দীন আহমদ। এরপর ১৯৬৮ সালে সপ্তম ও ১৯৭০ সালে অষ্টম কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিত থাকেন। ওই কমিটির মাধ্যমেই পরিচালিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রথম ও দলের নবম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সভাপতির পদ ছেড়ে দিলে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় এএইচএম কামারুজ্জামানকে। সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকেন জিল্লুর রহমান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের ওপর মরণাঘাত আসে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি আবার স্থগিত করা হয়। ১৯৭৬ সালে ঘরোয়া রাজনীতি চালু হলে আওয়ামী লীগকেও পুনরুজ্জীবিত করা হয়। দলটির দশম কাউন্সিলে সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে। ১৯৭৭ সালে ওই কমিটি ভেঙে করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। এতে দলের আহ্বায়ক করা হয় সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে।
১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের ১১তম কাউন্সিলে দলের সভাপতি করা হয় আবদুল মালেক উকিলকে এবং সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রাজ্জাক। দলীয় কার্যক্রমে গতি আনার জন্য নির্বাসনে থাকা বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফেরার আগেই ১৯৮১ সালের ১২তম কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রাখা হয় আবদুর রাজ্জাককে।
১৯৮৩ সালে আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ বাকশাল গঠন করলে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৮৭ সালে ১৩তম কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৯২ সালের ১৪তম ও ১৯৯৭ সালে ১৫তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে ১৬তম বিশেষ কাউন্সিলে একই কমিটি বহাল থাকে।
২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ১৭তম জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি ও আবদুল জলিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের একক বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি আসনে বিজয়ী হওয়ার পর সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের ১৮তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনা সভাপতি পদে বহাল থাকেন এবং নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বর্তমান জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
এরপর দল ক্ষমতায় থাকতেই ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ১৯তম জাতীয় কউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পুনরায় নির্বাচিত হন। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে তারুণ্যনির্ভর কেন্দ্রীয় কমিটি গড়ে তোলেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলন ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় এতে সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদের নির্বাচিত হন।
কে হবেন জেলা পরিষদ চেয়্যারম্যান পদে আ: লীগের মনোনিত প্রার্থী
লুৎফুর রহমান, ইকবাল আহমদ চৌধুরী আর নাসির উদ্দিন খান তিনজনেরই একটি জায়গায় মিল আছে। তাদের তিনজনেরই নামের আগে পরিচয় হিসেবে যুক্ত আছে ‘অ্যাডভোকেট’ শব্দটি। অর্থাৎ তারা তিনজনই আইনজীবী। আর তাদের মূল যে পরিচয়, তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। এবার তারা একবিন্দুতে এসে মিলেছেন। তাদের তিনজনেরই চোখ সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটির দিকে। এ পদের জন্য লড়তে তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের মধ্যে প্রথম দুজনের ঝুলি অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ আর শেষের নামটি তারুণ্যের ঝলকানিমাখা। রাজনীতির মাঠে তিন আইনজীবীর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো হচ্ছেন ইকবাল আহমদ চৌধুরী। দেশভাগের একদম পর মুহূর্তেই ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে ইকবাল আহমদ চৌধুরীর। রাজনীতির মাঠ কাঁপিয়ে ১৯৫৭ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সিলেট জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান ভাষা সংগ্রামী ইকবাল চৌধুরী। পাকিস্তান পেরিয়ে বাংলাদেশের এই যৌবনের সময়ও রাজনীতির মাঠে একইভাবে সরব আছেন তিনি। অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত ইকবাল চৌধুরী ২০ বছর ধরে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। এখন তার চোখ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটিতে। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, দীর্ঘদিনের চেনাজানার সূত্রে তার প্রতি এক্ষেত্রে আস্থা রয়েছে সিলেট আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট নেতা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী মনোনয়নের লড়াইয়ে থাকা অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের অভিজ্ঞতার ঝুলিও কম সমৃদ্ধ নয়। সিলেট জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক। লুৎফুর রহমান ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন। গণপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান বর্তমানে সিলেট জেলা পরিষদের শীর্ষ পদে আছেন প্রশাসক হিসেবে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভারটিও সামলাচ্ছেন। তার ওপর আছে বয়সের ভার। তবে কোনো ভারই তার রাজনৈতিক পথচলায় বাধা হতে পারেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার বসতে চান জেলা পরিষদের শীর্ষ চেয়ারে। অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকে এক্ষেত্রে মূলত ভরসা ও সমর্থন জোগাচ্ছেন যুক্তরাজ্য আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বিদেশ লবি ঠিকঠাক ম্যানেজ করতে পারলে লুৎফুর রহমানের ভালোই সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেরই বিশ্বাস।
তিন আইনজীবীর মধ্যে বয়সে সবচেয়ে নবীন হলেও প্রচারণায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। এক্ষেত্রে তার সবচেয়ে বড় পুঁজি নিজস্ব একদল নিবেদিত কর্মী। তার এ সকল অনুসারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার হয়ে বেশ ভালোই প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাঠেও তারা সক্রিয় আছেন নাসির উদ্দিন খানের জন্য। তৃণমূলের সঙ্গে তার ভালো বোঝাপড়া থাকলেও গ্রুপিংয়ের অভিযোগ তাকে একটু বেকায়দায়ই ফেলে দিতে পারে। তবে তারুণ্যের ঝলকানি দিয়ে যদি শীর্ষ নেতৃত্বের মনে দোলা দিতে পারেন তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাসির উদ্দিন খানকে দেখতে পাওয়া মোটেও অলিক কিছু নয়।
শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬
একনজরে আওয়ামী লীগের ৫৭ বছরের ইতিহাসে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ
হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: গত ২২-২৩ অক্টোবর ২০১৬, রোজ রোববার ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ওবায়দুল কাদের। একনজরে আওয়ামী লীগের ৫৭ বছরের ইতিহাসে যারা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রথম সম্মেলন : ২৩-২৪ জুন ১৯৪৯। সাধারণ সম্পাদক : শামসুল হক।
দ্বিতীয় সম্মেলন : ১৪-১৬ নভেম্বর ১৯৫৩। সাধারণ সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান।
তৃতীয় সম্মেলন : ২১-২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫। সাধারণ সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান।
চতুর্থ সম্মেলন : ৭-৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭। সাধারণ সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান।
বিশেষ সম্মেলন : ১৩-১৪ জুন ১৯৫৭। সাধারণ সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান।
পঞ্চম সম্মেলন : ৬-৮ মার্চ সাধারণ সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান।
ষষ্ঠ সম্মেলন : ১৮-২০ মার্চ, ১৯৬৬। সাধারণ সম্পাদক : তাজউদ্দীন আহমদ।
সপ্তম সম্মেলন : ১৯ আগস্ট, ১৯৬৭। সাধারণ সম্পাদক : তাজউদ্দীন আহমদ।
অষ্টম সম্মেলন : ৪ জুন, সাধারণ সম্পাদক : তাজউদ্দীন আহমদ।
নবম সম্মেলন : ৭-৮ এপ্রিল, ১৯৭২।সাধারণ সম্পাদক : জিল্লুর রহমান।
দশম সম্মেলন: ১৮-২০ জানুয়ারি, ১৯৭৪। সাধারণ সম্পাদক : জিল্লুর রহমান।
১১তম সম্মেলন : ৩-৪ এপ্রিল, ১৯৭৭। আহ্বায়ক : সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন।
এর আগে ১৯৭৬ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দায়িত্ব পালন করেন।
১২তম সম্মেলন : ৩-৫ মার্চ, ১৯৭৮। সাধারণ সম্পাদক : আবদুর রাজ্জাক।
১৩তম সম্মেলন : ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১। সাধারণ সম্পাদক : আবদুর রাজ্জাক। আব্দুর রাজ্জাক বহিষ্কৃত হলে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন।
১৪তম সম্মেলন : ১-৩ জানুয়ারি, ১৯৮৭। সাধারণ সম্পাদক : সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
১৫তম সম্মেলন : ১৯-২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২। সাধারণ সম্পাদক : জিল্লুর রহমান।
১৬তম সম্মেলন : ৬-৭ মে, ১৯৯৭। সাধারণ সম্পাদক : জিল্লুর রহমান।
১৭তম সম্মেলন : ২৬ ডিসেম্বর, ২০০২। সাধারণ সম্পাদক : আবদুল জলিল।
১৮তম সম্মেলন : ২৪ জুলাই ২০০৯। সাধারণ সম্পাদক : সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
১৯তম সম্মেলন : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২। সাধারণ সম্পাদক : সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
২০তম সম্মেলন : ২২-২৩ অক্টোবর ২০১৬ । সাধারণ সম্পাদক : ওবায়দুল কাদের।