সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১

দেশবাসীকে হাফিজুল লস্করের ঈদ শুভেচ্ছা

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠের সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম লস্কর পবিত্র ঈদুল আযহা  উপলক্ষে দেশবাসীসহ সিলেটের সর্বস্থরের জনগনকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সোমবার (১৯ জুলাই ২০২১) এক বিবৃতিতে হাফিজুল ইসলাম লস্কর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে  বলেন, ‘ঈদ-উল-আযহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহান বার্তা ও অপার আনন্দের সওগাত নিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা সমাগত হয়।

ঈদ উল আযহার ‘আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে, গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে, বাংলার আনাচেকানাচে, সারাবিশ্বে। শহরবাসী মানুষ শিকড়ের টানে ফিরে যান আপনজনের কাছে, মিলিত হয় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। এ দিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।

’তবে এবারের ঈদ অন্য রকম। মরণব্যাধি করোনা এ ক্রান্তিলগ্নে সামাজিকভাবে সচেতন থাকুন। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে থাকুন, সুস্হ থাকুন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সংক্রামক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট করুন মুহূর্তে পবিত্র ঈদুল আযহার আগমন, ঈদের আনন্দ আর ত্যাগে দুর হউক সকল দূর্দশা, সকল শোকের ছায়া। তাই আসুন সকলে মিলে স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে সচেতনার সাথে পালন করি এবারের ঈদ উল আযহা।

‘ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। ঈদ-উল-আযহার শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছে। এই সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য।’ সম্প্রীতির এই ধারা ছড়িয়ে পড়ুক সারা বাংলায় গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এ প্রত্যাশা করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির কোনও স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ‘ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে-পবিত্র ঈদ উল আযহায় এ প্রত্যাশা করি।

বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০২১

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাদ্রাসাতুল হাসানাইনের শিক্ষাসচিব মাওলানা মাশহুদ

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন শাহজালাল উপশহরের ঐহিত্যবাহী মহিলা মাদ্রাসা "মাদ্রাসাতুল হাসানাইন সিলেট"র স্বনামধন্য শিক্ষাসচিব মাওলানা মাশহুদ আহমদ। 

গনমাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় মাওলানা মাশহুদ বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম ও শাশ্বত ধর্ম ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম রামাদ্বান মোবারকের রোজা। এই রামাদ্বানুল মোবারকে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতর হলো মুমিন মুসলমানদের জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ নিয়ামত।

ঈদের দিন হলো মুসলমানদের জন্য আনন্দ এবং খুশীর দিন। শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে ঈদের আনন্দ, খুশী উদযাপনে কোনো প্রকার বাধা নেই। তবে সেই খুশি শরিয়তের সীমারেখাকে যেন অতিক্রম না করে সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। করোনাভাইরাসের এই নাজুক পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গরীব-দুঃখীরা বড় কষ্টে জীবন যাপন করছে। তাদের ঘরে আজ নেই ঈদের কোনো আনন্দ, খুশির আমেজ। তাই সেসব গরীব-দুঃখী, অসহায়দের মুখে হাসি ফোঁটাতে সমাজের ধনী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসাথে ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। নিজে বাচুন, দেশকে মহামারির কবল থেকে রক্ষা করুন।

পবিত্র রমজান মাস আমাদেরকে সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, একে অন্যের প্রতি সহনশীল এবং সংযত হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে। রমজান শেষ হলেও রমজানের শিক্ষাকে আমাদের বুকে ধারণ করে সামনের পথ চলতে হবে।

আমি "মাওলানা মাশহুদ" দেশবাসীকে জানাই ঈদুল ফিতরের ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সব মুমিন মুসলমানের জীবনে ঈদুল ফিতর বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি ও সফলতা।

উলিপুর বাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডিজিএম নাসিরউদ্দিন

উলিপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণকে ঈদ-উল- ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন উলিপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বরত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এসএম নাসির উদ্দিন।তিনি করোনাকালে সবাইকে ধৈর্য ধারন করে করোনা সতর্কতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।তিনি বলেন পবিত্র ঈদ আনন্দের পাশাপাশি আমাদের আশেপাশে যে সকল গরীব,দুস্থ,অসহায়,দিনমজুর, অনাহারে দিনযাপন করে আসতেছে আমাদের সকল সচেতন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে সেই সকল লোকদের নিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে ।এসএম নাসির উদ্দিন আরো বলেন,পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ কালে উলিপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে আপনাদের  বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাবেন।

হাজী এম,এ ইউনুস আলী'র ঈদ শুভেচ্ছা।

সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলার ৩নং বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন সাদের কলা গ্রামের হাজী এম,এ ইউনুস আলী তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন  করতেছেন 

উনি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন 
 ঈদ মানে আনন্দ খুশি উৎসব ঈদ জামাত কোলাহল কৌশলাদি”বৈশ্বিক মহামারী সবই যেন--- এরপর ও আমার বিশ্বাস ভাতৃত্ববোধ,ধনী-গরীবের সহমর্মিতা ঈমান ও আমল অনেক মজবুদ হয়েছে। 

প্রতিটা মুহুর্ত এক একটি অজানা সংবাদ নিয়ে আসে,খুশি বিনিময় করার আগেই ভেংগে যায়।ঈদুল ফিতরের  মহাত্ব যেন,সবার জীবনে দান করেন আল-আযীযু ! ফলপ্রসূ ঘরে ঘরে আনন্দ শান্তি, আশা ও প্রত্যয় জাগুক যে সবাই মিলে এই দুর্যোগ ও দুঃসময় পেরিয়ে আবার সুস্থ, স্বাভাবিক, কর্মচঞ্চল জীবন ফিরে পাই।

আর-রাহমানু,আর-রাহীমু,আস্-সালামু,আল-মালেকু,আমাদের সবাই কে সুস্হ্ রাখেন,কোভিড-১৯ আসমানে উটাইয়া নেন। 
সতর্ক থাকুন,ঘরে থাকুন,পরিবার পরিজনকে সুস্হ রাখুন।

জাউয়া ইউনিয়ন বাসিকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন।।

সেলিম মাহবুব, ছাতক: পবিত্র ঈদুল ফিতরে সবার জীবনে নিয়ে আসুক শান্তির বার্তা। সকল হিংসা বিদ্বেশ ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে প্রত্যেকে মনুষের সেবায় এবং দেশের কল্যানে নিজেকে  উৎসর্গ করি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সবাই কে সতর্ক হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানিয়ে জাউয়া  ইউনিয়ন বাসি ও ছাতক উপজেলা বাসিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান ও ছাতক উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি  মুরাদ হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ'র সভাপতি জননেত্রী, দেশরত্ন মমতাময়ী শেখ হাসিনার আদেশ ভিষন ২০৪১ সাল বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে সকলের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে নোবেল করোনাভাইরাসে আতংকে সারা বিশ্ব বাসি, তাই জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হবেন না। ঘরেই থাকুন ধৈর্য্যের সাথে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মোকাবেলা করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদ উদযাপন করার আহবান জানান তিনি এবং ঈদের জামাত ইউনিয়নের প্রতিটি মসজিদে নামাজ আদায় করার আহবান জানান ইউনিয়ন বাসীকে তিনি। ##

ছাতক সহ সবাই কে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা সাজিদ মিয়া সুজন।।

ছাতক প্রতিনিধিঃ ঈদ মানে আনন্দ খুশি উৎসব ঈদ জামাত কোলাহল কৌশলাদি”বৈশ্বিক মহামারী সবই যেন--- এরপর ও আমার বিশ্বাস ভাতৃত্ববোধ,ধনী-গরীবের সহমর্মিতা ঈমান ও আমল অনেক মজবুদ হয়েছে।প্রতিটা মুহুর্ত এক একটি অজানা সংবাদ নিয়ে আসে,খুশি বিনিময় করার আগেই ভেংগে যায়।ঈদুল ফিতরের  মহাত্ব যেন,সবার জীবনে দান করেন আল-আযীযু ! ফলপ্রসূ ঘরে ঘরে আনন্দ শান্তি, আশা ও প্রত্যয় জাগুক যে সবাই মিলে এই দুর্যোগ ও দুঃসময় পেরিয়ে আবার সুস্থ, স্বাভাবিক, কর্মচঞ্চল জীবন ফিরে পাই।আর-রাহমানু,আর-রাহীমু,আস্-সালামু,আল-মালেকু,আমাদের সবাই কে সুস্হ্ রাখেন,কোভিড-১৯ আসমানে উটাইয়া নেন।! সতর্ক থাকুন,ঘরে থাকুন,পরিবার পরিজনকে সুস্হ রাখুন।##

কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা সোহাগ এর পক্ষ থেকে কুয়াকাটা বাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা রনি হোসেন রকি

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা- কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:-কলাপাড়া কুয়াকাটা বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, এডভোকেট. ডাক্তার. শামীম আল সাইফুল সোহাগ।তার পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান মোঃ রনি হোসেন রকি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুয়াকাটা পৌর শাখা ছাত্রলীগ কর্মী।
বুধবার সকালে, রনি হোসেন রকি বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের শেষ মুহূর্তে আল্লাহতালার বিশেষ উপহার পবিত্র ঈদুল ফিতর, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আল্লাহতালা আমাদের এই মহামারী থেকে রক্ষা করুক, সাথে সাথে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সোহাগ ভাইয়ের ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা ফেসবুকের মাধ্যমে এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে প্রচার করে, একই সাথে শামীম আল সাইফুল সোহাগের শুভেচ্ছা বার্তা, সবার মধ্যে প্রকাশ করেন।
 শুভেচ্ছা বার্তায় সোহাগ বলেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ বাসী আসসালামু আলাইকুম।করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারির এ সংকটকালে মাসব্যাপী সিয়ামসাধনার পর বছর ঘুরে আবারও আমাদের মধ্যে ফিরে এলো শান্তি, সাম্য ও সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।

বিশ্বব্যাপী অদৃশ্য এ ভাইরাসের থাবায় মানবজাতি আজ বিপর্যস্ত, গভীর সংকটে নিপতিত। তাই ঈদুল ফিতরের এবারকার আয়োজনে আমাদের করোনা মহামারিজনিত সংকট বিবেচনায় রেখে ঈদের আনন্দ-উৎসবে শামিল হতে হবে। রমজানের শিক্ষা হলো ধৈর্য, সংযম ও সহনশীলতা। এ ঈদে আমরা সবাই রমজানের সেই তাৎপর্য পরিপূর্ণভাবে ধারণ করে ঈদ আনন্দে ঘরে থাকব।

যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবো। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ঈদ আনন্দ উদযাপন করবো, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে আমরা নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখবো এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবো।##

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

মুমিনুল হকের ব্যাটের প্রতিটি ছোঁয়ায় ফুটে উঠে বিশুদ্ধ টেস্ট ব্যাটিং


নিজস্ব প্রতিনিধি :: কালো মেঘে ছেয়ে আছে ক্যান্ডির আকাশ। আলোর বড্ড অভাব। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আলো মাপার যন্ত্র দিয়ে দেখলেন অবস্থা। তার আগেই অবশ্য মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য হাঁটা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা। আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হলেও দিন শেষের ঘোষণা আসেনি। কারণ এখনও প্রায় ঘণ্টাখানেকের মতো বাকি আছে দ্বিতীয় দিনের খেলা।

মাঝে একবার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ করে খেলোয়াড়রা ড্রেসিং রুমে ফিরে গিয়েছিলেন। যদিও অল্প সময়ের মধ্যেই আবার শুরু হয় খেলা। আর এবার আলোর স্বল্পতায় বন্ধ হয়ে গেছে ম্যাচ। সে পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৪৭৪। মুশফিকুর রহিম ৪৩ রানে ও লিটন দাস ২৫ রানে অপরাজিত।

টি-টোয়েন্টির যুগে ক্রিকেটে ধাঁচই পাল্টে গেছে। টেস্ট ক্রিকেটেও চলে পালা করে দ্রুত রান তোলার প্র্রতিযোগিতা। সত্যিকারের টেস্ট ব্যাটসম্যানরা যেন হারিয়েই যেতে বসেছেন। কিন্তু ক্যান্ডিতে ৫ ফুট সাড়ে ৩ ইঞ্চি উচ্চতার এক ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং দেখলে টেস্ট-প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ টেস্ট ব্যাটিং বলতে যা বোঝায়, সেটিই ফুটে উঠেছে মুমিনুল হকের ব্যাটের প্রতিটি ছোঁয়ায়।

একটু একটু করে যা দিয়ে গড়ে তুলেছেন সেঞ্চুরির প্রাসাদ। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি করে আউট হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কার মাটিতে যে শতকটি আজীবন স্মৃতির মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখবেন মুমিনুল। বিদেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি বলে কথা! ‍বিশুদ্ধ টেস্ট ব্যাটিংয়ের মায়া মিশিয়ে ১২৭ রানের স্মরণীয় এক ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে লাহিরু থিরিমানের হাতে ধরা পড়ার আগে মোকাবিলা করেছেন ৩০৪ বল। ১১ চারে সাজানো ইনিংসের বল সংখ্যাই বলে দিয়েছে কতটা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন মুমিনুল। ভালো বল যেমন ইস্পাতদৃঢ় প্রতিজ্ঞায় প্রতিহত করেছেন, তেমনি বাজে বলের পুরো ফায়দা তুলে নিজের সঙ্গে দলীয় স্কোর করেছেন সমৃদ্ধ।

মুমিনুলের বিদায়ে বাংলাদেশ হারায় চতুর্থ উইকেট। চা বিরতির আগে তাকে হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৪৪০ রান।

প্রথম দিনের দ্বিতীয় ওভারে সাইফ হাসানের বিদায়ের পর মাঠে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই হিসাবে বলা যায়, ক্যান্ডি টেস্টের শুরু থেকে ব্যাট করেছেন তিনি। গোটা দিন উইকেট অক্ষত রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর দ্বিতীয় দিনেও সমানতালে লড়ে যাচ্ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রায় দেড় দিন ব্যাট করে অবশেষে থামলেন শান্ত। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগালেও বিদায় নিয়েছেন ১৬৩ রানে।

এরই সঙ্গে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার উইকেট না পাওয়ার অপেক্ষা। ৮৬ ওভার পর স্বাগিতকরা পায় প্রথম উইকেট। বুধবার তামিম ইকবাল ৩৯তম ওভারে আউট হওয়ার পর আজ (বৃহস্পতিবার) শান্ত ফেরেন ১২৫তম ওভারে। লঙ্কানদের ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন লাহিরু কুমারা। অনেক চেষ্টার পর নিজের বলে নিজেই ক্যাচ তালুবন্দি করে শান্তকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন এই পেসার।

যাওয়ার আগে শান্ত খেলে গেছেন ১৬৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। ক্যারিয়ারসেরা ৩৭৮ বলের লম্বা ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৭ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়। একই সঙ্গে মুমিনুলকে নিয়ে গড়ে গেছেন তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। বাংলাদেশ অধিনায়কের সঙ্গে তিনি গড়েছেন ২৪২ রানের ‍জুটি। ভেঙেছেন এই মুমিনুল ও মুশফিকুর রহিমের আগের ২৩৬ রানের জুটি।

এই বাংলাদেশেকে দেশের মাটিতেও পাওয়া যায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় যে ক্ষত লেগেছিল, সেই ঘা শুকিয়ে অপ্রতিরোধ্য এক বাংলাদেশের ছবি দেখা যাচ্ছে ক্যান্ডিতে। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে প্রথম দিন শাসনের পর দ্বিতীয় দিনেও একই ঢংয়ে সফরকারীরা। প্রথম সেশনে তো উইকেটই হারায়নি। বরং দেশের বাইরে মুমিনুল হক প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর শান্তর দেড়শ ছাড়ানো ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যায় বাংলাদেশকে।

ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১১৮ ওভারে ২ উইকেটে ৩৭৮ রান। প্রথম দিন শেষে স্কোর ছিল একই উইকেটে ৩০২। অর্থাৎ, দ্বিতীয় দিনে কোনও উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ স্কোরে জমা করেছে ৭৬ রান। আর এই রান তোলার পথে বিদেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুমিনুল।

টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে তার চেয়ে ভালো কে জানেন! তারপরও সমালোচনার একটা তীরে মুমিনুল হক বিদ্ধ হতেন নিয়মিত। দেশের মাটিতে সেঞ্চুরি ‘ডালভাত’ বানিয়ে ফেললেও বিদেশের মাটিতে গিয়ে একেবারেই পাওয়া যায় না সেই মুমিনুলকে। অবশেষে দেশের বাইরে এলো তার প্রথম সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টে আক্ষেপ ঘোচালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

টেস্ট ক্যারিয়ারে নামের পাশে ১০ সেঞ্চুরি। যার একটিও নয় বিদেশের মাটিতে। দেশের মাটিতে প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরালেও বাইরে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলতেন মুমিনুল। দেশের মাটিতে সেঞ্চুরি আছে, কিন্তু বিদেশের মাটিতে নেই, এমন ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সেঞ্চুরি সংখ্যায় এতদিন সবার ওপরে ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে আজ থেকে ওই তালিকা থেকে কাটা গেলো মুমিনুলের নাম।

টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি এটি। এর আগেও দশবার উদযাপন করেছেন, তবে এবারের উপলক্ষটা নিঃসন্দেহে আলাদা মুমিনুলের জন্য। বিদেশের মাটিতে তো কখনও এভাবে ব্যাট উঁচিয়ে ধরা হয়নি তার। আগের দিনের ৬৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে লাঞ্চের আগেই শতক তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।

মুমিনুলের সেঞ্চুরির পরপরই দেড়শ পূরণ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের দিনই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে আরেকটি মাইলফলকে নিয়ে গেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। একই সঙ্গে জুটির ডাবল সেঞ্চুরিও হয়ে যায় তাদের।

বাবার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে ছেলে হাফিজুল ইসলাম লস্করের স্মৃতি চারণ


নিজস্ব প্রতিনিধি : বিএমএসএস এর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠের সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম লস্করের পিতা আলহাজ্জ মছব্বীর আলী লস্কর (মরহুম) এর  ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। (৮রামাদ্বান হিসেবে ১বছর পুর্ণ হলেও ইংরেজী সাল হিসেবে প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী হবে ২মে। কেননা তিনি গত বছরের ২মে ২০২০ মোতাবেক ১৪৪১ হিজরীর ৮রামাদ্বান ইন্তেকাল করেন)। তিনি গত ২০২০ সাল মোতাবেক ১৪৪১ হিজরীর ৮ই রামাদ্বান বিকেল ৩-১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।

বাবার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে হাফিজুল ইসলাম লস্কর জানান, আমার বাবা আমাদের সামনেই চেয়ারে বসা ছিলেন। আর আমরা কথা বলতে ছিলাম, হঠাৎ বাবার হাত পা কাপতে লাগলো আর বাবা তখন মুখ দিয়ে কি যেন পড়তে ছিলেন, মা তখন বাবার মুখে পানি তুলে দিলে বাবা সেই পানি পান করেন, তারপর আমি পানি দিলাম বাবা সেই পানি পান করলেন। এরপর আমরা বাবাকে বিছানায় শুয়ালাম। এর কিছু সময় পরই বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন শান্তির ঘুমে। দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন মহান রাব্বুল আলামিনের ডাকে সাড়া দিয়ে।

আমার বাবা বেশ কয়েকদিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও ঘুম বেড়ে গিয়েছিল মারাত্মকভাবে। তাছাড়া খাবার খেতে চাইতেন না মোটেও। খাবার খাওয়ানোর জন্য বারবার চেষ্টা করতাম আমরা সবাই। তিনি শুধু বলতেন খাবার জানে চায়'না রে বাবা।

বাবার কথা মনে পড়লে মনে খুবই কষ্ট পাই। এই কষ্ট নিয়ে এখন দিন কাটাচ্ছি। বাবাকে হারানোর আজ এক বছর পূর্ণ হয়েছে।

বাবাহীন একজন ছেলের জীবন যে কতটা বিয়োগান্ত হয়, তা হয়তো যাদের বাবা বেঁচে আছেন তারা কখনোই বুঝতে পারবে না। প্রতিটি মুহূর্তে মনে হয় সত্যি আমি বড়ই একা। একটু ভালোবাসা দেওয়ার, সান্ত্বনা দিয়ে সামনে চলার প্রেরণা জোগানোর মানুষটি আজ বেঁচে নেই। বাবাকে ছাড়া বাঁচতে পারব এ কল্পনা কখনো করিনি। কিন্তু বাস্তবতা বড়ই কঠিন। কেটে যাচ্ছে একেকটি দিন, একেকটি মাস।

বাবার অনেক স্মৃতি, অনেক কথা, যা আজও ভুলতে পারিনি, ভুলা যায় না। বাবাহীন প্রত্যেক দিন একেকটি ঝামেলা, একেকটি একাকিত্ব। ছায়াহীন পথ, আর লক্ষ্যহীন সকল যুক্তি। বাবাকে খুব মনে করছি। বাবার জন্য অনেক কষ্ট হয়। বাবা না থাকাটা যতটুকু কষ্টের, তার চেয়েও বেশি ঝামেলার।

বাবা, তুমি আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছ না ফেরার দেশে। তুমি বেঁচে থাকতে তোমার গুরুত্ব আমরা কখনো বুঝিনি। আজ আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি তোমার অনুপস্থিতি। তোমার চলে যাওয়া আমাদের জীবনে বিশেষ করে আমার জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি।

আমার আর এই যান্ত্রিক জীবন ভালো লাগে না বাবা। তোমার ছায়ায় যতটা দিন ছিলাম ভালোই তো ছিলাম। ছোট্ট পুঁচকে একটা ছেলের মতো জীবনটা এগোচ্ছিল। বাবা আমার মতো এই পুঁচকে ছেলেকে এত বড় সংসারে একা ছেড়ে গেলে বাবা? আমি আজকাল বড্ড ক্লান্ত হয়ে গেছি বাবা। জীবনের একটা বছর তোমাকে না দেখে কাটিয়ে দিয়েছি আমি।

সত্যি ভাবতে বড় অবাক লাগে। জানিনা কীভাবে সময় এত দ্রুত ক্ষয়ে যায় বাবা। সবকিছু যদি ক্ষণিকের জন্য উল্টো হয়ে যেত, খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতাম। কী ফিরে পেতাম জানি না, তবে তোমাকে আবারও ফিরে পেতাম ঠিকই বাবা। ফিরে পেতাম সেই সোনাঝরা আনন্দের দিনগুলো। বুকের পাঁজরে আটকে রাখতাম তোমায় বাবা। যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ বাবা।

জানি না জীবন নামের অংক খাতায় আর কত বিয়োগ হবে। তবে তোমাকে হারানোর পরে মনে হয়েছিল দুনিয়াটা বড়ই নিষ্ঠুর একটা জায়গা বাবা। পৃথিবীতে যুগে যুগে একজন মহৎ মানুষের আবির্ভাব ঘটে। আমার চোখে আমার বাবা তাদের একজন। যিনি সারা জীবন কল্যাণ করেছেন মানুষের। অনেক মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। যিনি জীবনে কষ্ট করেছেন কিন্তু কখনো কাউকে কষ্ট দেননি। কখনো বিচ্যুত হননি নীতি ও আদর্শ থেকে। সগৌরবে পাড়ি দিয়েছেন জীবনের ৯০ টি বছর।

সুখী মানুষের কাছে ৯০ বছর হয়তো কিছুই না। কিন্তু আমার বাবা জীবনে ৯০ বছরের প্রতিটি মুহূর্ত সংগ্রামের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছেন। গড়ে গেছেন এক বর্ণাঢ্য জীবনের ইতিহাস। আমার লেখনীর মাধ্যমে তার জীবনী বা তাকে সম্পূর্ণভাবে ফুটিয়ে তুলার স্পর্ধা আমার নেই। কোনো কালে হবে কিনা জানি না। বাবার বিবেক আর তার দেখানো পথে হাঁটছি অবিরাম। জানি না এই পথের শেষ আছে কিনা। যদি বা শেষ না হয় এই পথের, ক্ষতি নেই। জীবন তো চলবেই জীবনের মতো। ভয় কী, বাবার আশীর্বাদ আমার সঙ্গেই আছে। বাবা, তোমায় বুকে ধারণ করেই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেব। তুমি যেখানেই থাকো ভীষণ ভালো থেকো বাবা। মহান রাব্বুল আলামিন দান করুন আপনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম।

আমার বাবার চলাফেরায় কেউ যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন, আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ করে দিবেন। আপনাদের সকলের কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন আমার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। (আমিন)

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২১

জকিগঞ্জে বইছে নির্বাচনী আমেজ, প্রার্থীদের মাধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার (১১ জানুয়ারী) বিকেল ৩টার দিকে সিলেটে রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের তাঁর কার্যালয়ে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন।

জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী খলিল উদ্দিন পেয়েছেন নৌকা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র ইকবাল আহমদ তাপাদার ধানের শীষ, বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমদ জগ পেয়েছেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক (পদত্যাগী) বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল আহাদ নারিকেল গাছ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল মালেক ফারুক পেয়েছেন লাঙল, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন হীরা পেয়েছেন চামচ, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী হিফজুর রহমান পেয়েছেন মোবাইল, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফরুল ইসলাম পেয়েছেন হেঙ্গার প্রতীক।

এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে ৩৩ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৩টি ওয়ার্ডে ৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর বিভিন্ন প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সোমবার থেকে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন। ফলে এদিন থেকেই প্রার্থীরা জোরেশোরে প্রচারণা শুরু করেছেন। ফলে জকিগঞ্জ পৌরসভাজুড়ে বইছে নির্বাচনী আমেজ। উৎসবমুখর পরিবেশে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে পৌর এলাকা জুড়ে। 

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারী জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।