শুক্রবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৮

সিলেট বিএনপিতে সাধারন সম্পাদক নিয়ে ধূম্রজাল অব্যাহত

হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক কে? তা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন জানান, সেলিম বর্তমানে দলীয় পদে বহাল রয়েছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় তার অবর্তমানে আজমল বখত সাদেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তবে সিলেট বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মনে করেন, পদ বহালের লিখিত কোন পত্র না পাওয়ায় সেলিম এখনো দলের পদ ফিরে পাননি। অন্যদিকে সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় এ ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

কিন্তু পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপলক্ষে সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টারিং করেছেন বদরুজ্জামান সেলিম। অন্য দিকে আজমল বখত সাদেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সিলেটবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ধূম্রজাল ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

এ সম্পর্কে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন জানান, সেলিম এবং সাদেক দুজনেরই পদ ব্যবহারের বিষয়টি সঠিক। সেলিমই সাধারন সম্পাদক। তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় তার অবর্তমানে আজমল বখত সাদেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তবে সিলেট বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বল্রন, পদ বহালের লিখিত কোন পত্র না পাওয়ায় সেলিম এখন আর সিলেট বিএনপির সাধারন সম্পাদক নন। তাছাড়া সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে।

এ ধূম্রজাল সৃষ্টি হয় সিসিক নির্বাচনে প্রার্থীতাকে কেন্দ্র করে। সিসিক নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা, বাস প্রতীক নিয়ে প্রচারণা আর বিভিন্ন অলোচিত বক্তব্যের কারনে  তিনি নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্রার্থী ছিলেন।

তার প্রার্থীতা নিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে অনেক জল ঘোলা হয়েছিল। ১০ জুলাই ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড লিপ্ত থাকার’ অভিযোগে সেলিমকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ ও বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারপরও তিনি নির্বাচনে অনড় ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারনার শেষ পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরুধ ও মায়ের আদেশে দলীয় প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে সমর্থন জানান। ১৯ জুলাই কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আরিফের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সেলিম।

এ সংবাদ সম্মেলনের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান জানান, দলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বদরুজ্জামান সেলিমকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদেই থাকছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন