হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: আমাদের দেশে বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের ভারত, পাকিস্থান, বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়ার ছোট ছোট আরো কিছু দেশে ২৭রামাদ্বানের রাত্রিকেই শবে ক্বদর মনে করে পালন করা হয়।
কিন্তু তাদের এই মনের ধারনা যে কত বড় ভুল তা রাসুল(সা.) হাদিছ দ্বারা বুঝা যায়। সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লাইলাতুল কদর কোন রাত তা জানানো হয়েছিল। এবং তিনি তা সাহাবীদেরকে জানানোর জন্য আসতেছিলেন, কিন্তু ঘটনাক্রমে সেখানে দুই ব্যক্তি ঝগড়া করছিল। তাদের ওই ঝগড়ার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে সে রাতের ইলম উঠিয়ে নেওয়া হয়। এ কথাগুলো রাসুল(সা:) সাহাবীদেরকে জানানোর পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- হতে পারে, এতেই তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে। এখন তোমরা এ রাত (অর্থাৎ তার বরকত ও ফযীলত) রমযানের শেষ দশকে অন্বেষণ কর। সহীহ বুখারী হাদীস নং ২০২০, সহীহ মুসলিম ১১৬৫/২০৯,
অন্য হাদীসে বিশেষভাবে বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর তালাশ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৫,
তাই একথা নির্দ্বিধায় বলা চলে যে সাতাশ রামাদ্বানের রাতকেই লাইলাতুল কদর মনে করা বা সুনির্দিষ্টভাবে লাইলাতুল কদর নির্ধারন করা মারাত্বক ভুল। কারন রাসুল(সা:) সহিহ হাদিছে সুনিদ্রিষ্ট কোন দিনের কথা উল্লেখ নেই। বরং হাদিছে রামাদ্বানের শেষ দশকে অন্বেষন করার কথা রয়েছে।
আবার অন্য হাদিছে রামাদ্বানের বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর তালাশের আদেশ রয়েছে।
তাছাড়া রমাদ্বানের শেষ দশকের ফযীলতই সবচেয়ে বেশি। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৭১, এতেক্বাফ'র অন্যতম উদ্দেশ্য হল শবঈ ক্বদর তালাশ করা। অতএব শুধুমাত্র এটুকু বলা যেতে পারে যে , সাতাশ রামাদ্বান লাইলাতুল কদর হওয়ার অধিক সম্ভবনা রয়েছে।
.
হাফিজ মাওলানা হাফিজুল ইসলাম লস্কর
শিক্ষক: জামেয়া দারুল উলুম সিলেট,
ও
নির্বাহী সম্পাদক: সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠ,
প্রধান সম্পাদক:হলিবিডি24.কম,
দৈনিক ফুটন্ত সিলেট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন