মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার,
স্টাফ রিপোর্টার,কুমিল্লাঃ মান বেড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবার। যে কারণে দিন দিন বাড়ছে রোগিদের চাহিদা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় পাল্টে গেছে হাসপাতালের ভেতর ও বাইরের চিত্র। আগের তুলনায় বর্তমানে ভালো সেবা পেয়ে খুশি রোগি ও স্বজনরা। যে কারণে আগের তুলনায় বর্তমানে রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে চিকিৎসা সেবার মান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা নিয়ে অতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন থাকলেও সেই অবস্থার এখন অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে।
জানা গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ এনামুল হকের যোগদানের পর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে সবাই যাতে ভালো পরিবেশ পান, সেই ব্যাপারে তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে থাকেন। যোগদানের পর প্রথমেই তিনি নজর দেন হাসপাতালের ভিতর-বাহিরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের কর্মকর্তা/কর্মচারী যাতে সুশৃঙ্খল পরিবেশে নিজ নিজ কর্ম সঠিকভাবে পালন করেন এসেই এ ব্যাপারে সচেষ্ট হন। চিকিৎসা সেবার মান ভালো করার লক্ষ্যে হাসপাতালে রোগীর সেবায় নিয়োজিতরা ও অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারী তাদের কাজকর্মে ফাঁকি না দিতে পারেন তার জন্য তিনি নিবিড় মনিটরিং করেন এবং নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকুলতার মধ্যেও অল্প সময়ের মধ্যে এখানে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে তিনি ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্যে আমূল পরিবর্তন এনেছেন।
কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই এলাকার জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। অবকাঠামোগত স্বল্পতা থাকার পরও তাঁরা প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মানিত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ এনামুল হকের যোগদান করার পর থেকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা আরো জনমুখী এবং গতিশীল রূপ লাভ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৩ জুন ২০২২ খ্রিঃ দিনটি এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে।
১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রথম দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্পূর্ণভাবে অজ্ঞান করার (জেনারেল এনেসথেসিয়া) মাধ্যমে এত বড় কোনো অপারেশন (Laparatomy followed by Appendicectomy with Rt. Ovarian Cystectomy) সফলভাবে সম্পন্ন করা হল।
রোগী আর্থিকভাবে হতদরিদ্র বলে অপারেশনটি অন্য কোথাও করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। রোগীর বিশেষ অনুরোধে ডাঃ মোঃ এনামুল হক নিজস্ব উদ্যোগে এনেস্থেসিয়া মেশিন এর ব্যবস্থা করেন। অপারেশন করেন যৌথভাবে অত্র হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: তামান্না আফতাব সোলাইমান এবং সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মোশাররফ হোসেন টিটু,সহকারি সার্জন ডা: সাদ্দাম।
অপারেশনের এনেস্থেসিয়ার দায়িত্বে ছিলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: মোঃ নাজমুল হাসান সাঈদ, ডা. শরিফুল ইসলাম শাকিল;ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স, ওয়ার্ড বয় ও আয়া।
সার্বক্ষণিক ছিলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মন্জুর রহমান।
সার্বিক কাজে সহযোগিতা ও নির্দেশনা দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ এনামুল হক ।
তাঁর গতিশীল ও উদ্ভাবনী নেতৃত্বে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দেবিদ্বার উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার আশা-ভরসার প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করছি এবং তাঁর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।