বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠের সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম লস্কর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ সিলেটের সর্বস্থরের জনগনকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সোমবার (১৯ জুলাই ২০২১) এক বিবৃতিতে হাফিজুল ইসলাম লস্কর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ঈদ-উল-আযহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহান বার্তা ও অপার আনন্দের সওগাত নিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা সমাগত হয়।
ঈদ উল আযহার ‘আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে, গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে, বাংলার আনাচেকানাচে, সারাবিশ্বে। শহরবাসী মানুষ শিকড়ের টানে ফিরে যান আপনজনের কাছে, মিলিত হয় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। এ দিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।
’তবে এবারের ঈদ অন্য রকম। মরণব্যাধি করোনা এ ক্রান্তিলগ্নে সামাজিকভাবে সচেতন থাকুন। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে থাকুন, সুস্হ থাকুন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সংক্রামক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট করুন মুহূর্তে পবিত্র ঈদুল আযহার আগমন, ঈদের আনন্দ আর ত্যাগে দুর হউক সকল দূর্দশা, সকল শোকের ছায়া। তাই আসুন সকলে মিলে স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে সচেতনার সাথে পালন করি এবারের ঈদ উল আযহা।
‘ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। ঈদ-উল-আযহার শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছে। এই সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য।’ সম্প্রীতির এই ধারা ছড়িয়ে পড়ুক সারা বাংলায় গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এ প্রত্যাশা করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির কোনও স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ‘ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে-পবিত্র ঈদ উল আযহায় এ প্রত্যাশা করি।