মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. রুহুল আবিদ নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত


লস্কর বার্তা : নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিনি অধ্যাপক ড. রুহুল আবিদ এবং তার অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যাণ্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা)। ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ২১১ ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।

ম্যাসাচুসেটস বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিন-ফিলিপ বেলিউ এই খবর নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক এবং জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোলিকুলার বায়োলজি ও জৈব রসায়নে পিএইচডি অর্জন করেছেন ড. রুহুল আবিদ। এর পর ২০০১ সালে তিনি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।

ব্রাউন গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভের একজন নির্বাহী সদস্য ড. রুহুল আবিদ। বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে তার স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা)। বর্তমানে সংস্থাটি দুটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে করোনা সংক্রমণরোধে দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংস্থাটি।

নোবেল পুরস্কার ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ২০২০ সালের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্য থেকে আগামী অক্টোবরে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মসজিদ পরিচিতি: নয়াবাদের ঐতিহাসিক মসজিদ


লস্কর জার্নাল : দিনাজপুরের ঐতিহাসিক নয়াবাদ মসজিদ বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন। দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত। জেলা সদর থেকে ২০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে এর অবস্থান। ১.১৫ বিঘা জমির উপর মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। মসজিদের সামনে একটি মাদ্রাসা স্থাপিত হয়েছে।

মসজিদের প্রবেশদ্বারের ওপর ফারসি ভাষায় রচিত লিপি থেকে জানা যায়, সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সময় ২ জ্যৈষ্ঠ, ১২০০ বাংলা সনে (১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দ) মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদের নির্মাণ সম্বন্ধে জনশ্রুতি অনুযায়ী আঠারো শতকের মধ্যভাগে যখন বিখ্যাত কান্তজী মন্দির নির্মিত হয়, তখন পশ্চিমা দেশ থেকে আগত মুসলিম স্থাপত্যকর্মীরা পার্শ্ববর্তী নয়াবাদ গ্রামে মোকাম তৈরী করেন এবং সেখানে এ মসজিদ নির্মাণ করেন।

তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটি আয়তাকার। এর চারকোণায় রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির টাওয়ার। বাইরের দিক থেকে মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১২.৪৫ মিটার এবং প্রস্থ ৫.৫ মিটার। দেয়ালের প্রশস্ততা ১.১০ মিটার। মসজিদে প্রবেশের জন্য পৃর্বদিকে রয়েছে তিনটি খিলান। মাঝের খিলানের উচ্চতা ১.৯৫ মিটার, প্রস্থ ১.১৫ মিটার। পাশের খিলানদ্বয় সমমাপের এবং অপেক্ষাকৃত ছোট।

উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে দুটি জানালা রয়েছে। প্রবেশদ্বার ও জানালার খিলান বহু খাঁজযুক্ত (multi-cusped)। মসজিদের ভিতরে পশ্চিম দিকে রয়েছে তিনটি মিহরাব। মাঝের মিহরাবের উচ্চতা ২.৩০ মিটার এবং প্রস্থ ১.০৮ মিটার। দুই পাশের মিহরাব দুটি অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের তিনটি অর্ধগোলাকৃতির গম্বুজের মধ্যে মাঝেরটি অন্য দুটির তুলনায় কিছুটা বড়। গম্বুজের অবস্থান্তর পর্যায়ে পেন্ডেন্টিভ ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের কার্নিশ এবং প্যারাপেট সমান্তরাল। মসজিদের চার কোণের কর্নার টাওয়ারের মধ্যে ২টির উপর (উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম কোণের) কুপলা রয়েছে।

বাকি দুটির উপরে ছোট গম্বুজ। গম্বুজদ্বয় বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। কর্নার টাওয়ারগুলি সাদামাটা ইট ও পলেস্তারা দিয়ে তৈরি। কর্নার টাওয়ারের গায়ে চারটি ব্যান্ড আছে। টাওয়ারগুলি ক্রমশ সরু, উপরে ছোট গম্বুজ।

সমস্ত দেয়াল জুড়ে আয়তাকার বহু পোড়ামাটির ফলক রয়েছে। পোড়ামাটির নকশাগুলি বহু জায়গায় খুলে পড়েছে। ফলকগুলির আয়তন ০.৪০ মি×০.৩০ মি । ফলকগুলির মধ্যে লতাপাতা ও ফুলের নকশা রয়েছে। একটিতে জোড়া ময়ুরের প্রতিকৃতিও রয়েছে। এরূপ মোট ১০৪টি আয়তাকার ফলক রয়েছে, তবে ফলকের মধ্যে অলংকরণের অনেকটাই প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত।

যেভাবে যাওয়া যায়: নয়াবাদ মসজিদ দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত। জেলা সদর থেকে ২০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে এর অবস্থান।

বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মসজিদ পরিচিতি : বাংলাদেশের ঐতিহ্য 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ'


লস্কর জার্নাল :: দেবীদ্বার তথা বাংলাদেশের ঐতিহ্য 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ' এটি নির্মাণশৈলির দিক থেকে দেশের বিখ্যাত মসজিদগুলোর অন্যতম মসজিদ। 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ'টি কুমিল্লা জেলা সদর থেকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে উত্তর-পশ্চিম কোণে দেবীদ্বার পৌর এলাকায় এবং দেবীদ্বার সদর থেকে দু'কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণে গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত।

নতুন এবং পুরাতন নির্মাণ পদ্ধতির সংমিশ্রণে অসংখ্য ক্যালিওগ্রাফিতে আঁকা ব্যাতিক্রমধর্মী নির্মাণ শৈলির সাত গম্বুজ মসজিদটি দেশ-বিদেশের সৌন্দর্য পিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ক্যালিওগ্রাফি ও নির্মাণ কৌশল। মসজিদের চার কোনায় চারটি মিনার রয়েছে। চার মিনারের বাংলাদেশে এটাই প্রথম মসজিদ বলে জনশ্রুতি রয়েছে। মিনারগুলোর উচ্চতা ৮০ফুট। এতে গম্বুজ রয়েছে ৭টি। মসজিদটি ৪৮ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট। এ মসজিদের মূল অংশে শতাধিক মুসুল্লি নামাজ পড়তে পারেন। এ ছাড়া মসজিদটির বারান্দায় অর্থাৎ সামনের টাইলস করা খালী জায়গায় মূল অংশের দ্বিগুণ মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের উপরে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে বিভিন্ন রং'র বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদে লিখা 'আল্লাহু' শব্দটি রাতের অন্ধকারে তারকার মতো জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে। অনেক দূর থেকে এ আলো দেখা যায়। মসজিদটি'র পশ্চিম পার্শ্বে দৃষ্টি নন্দিত একটি ফল ও ফুলের বাগান আছে। এছাড়াও রয়েছে বিশাল আকৃতির জলধার। এর পাড়সহ চার দিক শ্বেত পাথরে মোড়ানো।

ক্যালিওগ্রাফির দিকে নজর দিলে অবাক হতে হয়। এখানে বাংলা ও আরবিতে ক্যালিওগ্রাফি করা হয়েছে। কারুকাজ ও নকসা শিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন শিল্পী আরিফুর রহমান। মসজিদটির স্থপতি ছিলেন শাহিন মালিক। আরবি অক্ষরে সুন্দর করে লিখা হয়েছে 'সুরা আর রহমান', 'আয়তুল কুরছি' ও 'চার কূল'। মসজিদের ভেতরের মূল অংশে ৫টি গম্বুজ আছে। একটিতে লিখা আয়তুল কুরসী। অন্য চারটি গম্বুজের ভেতরে লিখা ৪টি কূল। মসজিদটির বাহিরের আবরনে বহু চাঁদ তারা আঁকা রয়েছে। মসজিদটিতে ইট, সিমেন্ট, বালির পাশাপাশি চিনামাটি ও টাইলস ব্যবহৃত হয়েছে। কারুকার্য করা হয়েছে মোঘল তুর্কী ও পারস্যের সংমিশ্রণে। এখানে ৩ শত ৫০ মন চিনামাটির টুকরো ও দু'শতাধিক গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদটিতে ৬টি এসি ও একটি ঝারবাতি আছে। একটি আধুনিক মসজিদে যা কিছু থাকার কথা সবই গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদে বিদ্যমান রয়েছে।

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মসজিদ পরিচিতি : রাশিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ও দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্য কুল শরীফ মসজিদ


লস্কর জার্নাল : রাশিয়ার সর্ববৃহৎ নদী ভলগা। একই সাথে পুরো ইউরোপেরও। ৩ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী ছুঁয়ে গেছে এবারের বিশ্বকাপের তিন ভেন্যু কাজান, সামারা ও নিজনি নভগোরদ শহরকে। কাজান এরিনা (স্টেডিয়াম) ও সামারা এরিনার বেশ কাছ দিয়ে বয়ে গেছে এই ভলগা নদী।

কাজানে এই ভলগা নদীর তীরেই অবস্থিত কুল শরীফ মসজিদ। রাশিয়ার অন্যতম মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশ তাতারস্তানের রাজধানী কাজান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই দেশের অন্য দুই মুসলিম প্রদেশ হলো চেচনিয়া ও দাগেস্তান। তাতারস্তানের জনগোষ্ঠির ৬০ ভাগ মুসলিম। কাজেই এখানে মসজিদের উপস্থিতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

স্থানীয় তাতার মুসলিমদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, অনেক মসজিদ রয়েছে কাজানসহ পুরো তাতারস্তানে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ও দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্য কুল শরীফ মসজিদ। গাঢ় নীল রঙের এই মসজিদের বিশাল গুম্বুজ ও চারটি সু-উচ্চ মিনার চোখে পড়ে বহু দূর থেকে। রাতে যখন আলো জ্বলে উঠে এই মিনার ও গুম্বুজে তখন আরো সুন্দর লাগে এই মসজিদকে।

চারদিক থেকেই দেখে চোখ জুড়ায় কুল শরীফ মসজিদ: ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এই নয়নাভিরাম মসজিদে নামাজ পড়তে পারেন না এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকগণ। কারণটা বলা আছে দরজার সাথে সাটানো সাইনবোর্ডে। সেখানে লেখা আছে, সকাল নয়টা থেকে বিকেল সাতটা পর্যন্ত খোলা এই মসজিদ। জানা যায়, এখানে দিনে দুই বেলা নামাজ হয়। তা যোহর ও আসর। বাকী সময়ে বন্ধ থাকে এই ইবাদত ঘর। জানা যায়, এই মসজিদে নিয়মিত জুমার নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসলিমরা। ঈদের নামাজও হয়। তখন মুসলিমদের ঢল নামে কুল শরীফ মসজিদে। নামাজের সময় ছাড়া বাকী সময়ে বন্ধ থাকে এই মসজিদের দরজা। না রেখে যে উপায়ও নেই। গ্রীষ্মকালে দর্শনার্থীরা বিশেষ করে মহিলারা স্বল্প পোশাকে ঘুরতে ও ছবি তুলতে আসেন এখানে।

কুল শরিফ মসজিদের আরেকটি ভিউ: পুরো মসজিদ চত্তরকে বলা হয় কাজান ক্রেমলিন। মসজিদের ১ শত গজ দূরেই অবস্থান বিশাল এক গির্জার। নাম ব্লাগোভিশানস্কি চার্চ। মুসলিম ও খৃষ্টানরা জানালেন এই দুই ধর্মের মানুষদের মধ্যে যে সম্প্রতির বন্ধন বিদ্যমান তা বুঝাতেই পাশাপাশি মসজিদ ও গির্জার অবস্থান। তাতার মুসলিমদের অনেকে জানালেন, খ্রিস্টান প্রধান দেশটিতে তারা বেশ শান্তিতে আছেন। কোনো সমস্যা নেই। অনুপস্থিত ধর্মীয় উত্তেজনাও।

পাশেই অবস্থান সুইউমবিকে টাওয়ারের। পুরোনো এই টাওয়ারকে ঘিরে আছে এক ভালোবাসার কাহিনী। সাত দিনের মধ্যে টাওয়ার নির্মাণ করতে পারলে তাকে বিয়ে করতে রাজী হবেন এক মহিলা। এই শর্ত দেয়া হয় স্থানীয় অধিপতিকে। নির্ধারিত সময়ের আগে ঠিকই টাওয়ার নির্মাণ শেষ করেছিলেন ওই অধিপতি। কিন্তু এরপরই তার বোধদয় হয়- ওই মহিলাতো আমাকে পছন্দ করেনি, করেছে টাওয়ারকে। তাই পরে তিনি আত্মহত্যা করেন।

রাতের কুল শরীফ মসজিদ আরো দৃষ্টি নন্দন: স্থানীয় মুসলিমদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার কমিউনিস্ট শাসন আমলে অন্য সব এলাকার মতো তাতারস্তানেও বহু মসজিদ ধবংস করা হয়েছিল। কিন্তু হাত দেয়া হয়নি এই কুল শরীফ মসজিদে। ধর্মবিদ্বেষী কমিউনিস্টরা অবশ্য বহু গির্জাও ধ্বংস করেছিল। তা রুশদের দেয়া তথ্য।

কাজানে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই মসজিদ। মসজিদটির ছবি সম্বলিত কার্ডও বিক্রি হচ্ছে আশপাশে। পর্যটনের প্রচারণায় আছে এই মসজিদের ছবি। স্বল্প পোশাকের নারী পর্যটকরা এসে এই মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের ক্যামেরাবন্দী করছিল। অন্য ধর্মাবলম্বী ছাড়াও স্থানীয় তাতার মুসলিম মেয়েরাও ছোট পোশাকে মসজিদের পাশে ঘুরাঘুরি করে। আবার হিজাব পরাও আছেন কেউ কেউ।

বিশাল এলাকা জুড়ে এই মসজিদ চত্তর। চারপাশে দেয়াল ঘেরা। বেশ উঁচুতে অবস্থান এই মসজিদের। ঘুরে ঘুরে মাটির উপর নির্মিত সিড়ি ডিঙিয়ে যেতে হয় মসজিদে। অবশ্য তাতে ক্লান্তি লাগে না। পাশেই থাকা ভলগা নদীর বাতাসে ক্লান্তি বহুদূরে পালায়। তিন চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যায় কুল শরীফ মসজিদে। মসজিদ চত্তরে উঠে পুরো এলাকা চমৎকার দৃষ্টিগোচর হয়। মসজিদ লাগোয়া আরো কিছু ভবন আছে। তা প্রশাসনিক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। পানি সংরক্ষণ এবং অগ্নি নির্বাপনের জন্য যে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে তাও মসজিদের গম্বুজের রঙে। সব মিলে এক অসাধারণ পরিবেশ।

কাজানকে বলা হয় রাশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম নগরী। সেই সাথে তৃতীয় রাজধানীও। নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলাধুলার জন্য বিখ্যাত এই শহর। নামকরা অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত এখানে। জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেশ কম। ২১ জন বাংলাদেশী ছাত্র সহ হাজার হাজার বিদেশী ছাত্র পড়ছেন এখানে। স্থানীয় ফুটবল ক্লাব রুবিন কাজান বেশ নাম করা রাশিয়া ও ইউরোপে। তাদের নিজস্ব মাঠ কাজান সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম। তা এই মসজিদের একটু সামনেই। এখন বিশ্বকাপ ভেন্যূ কাজান এরিনাও তাদের দখলে। ২০১৩ সালে কাজানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গ্রীষ্মকালীন বিশ্ব ইউনিভার্সিটি গেসম প্রতিযোগিতা। ১৬২ দেশের ১০ হাজার ৪০০ অ্যাথলেট এতে অংশ নেয়। যা ছিল গেমসের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ। কাজান এরিনার পাশেই সেই গেমসের সুইমিং পুল।