শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০

স্বপ্ন জয়ের গল্প : ৩৩তম বারে করোনার কল্যানে ম্যাট্রিক উত্তীর্ণ নুরউদ্দীন

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সুকুমার রায়ের সত্‍পাত্র ১৯টি বার ম্যাট্রিকে ঘায়েল হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু ৩৩ বারেও হাল ছাড়েননি ভারতের হায়দরাবাদের মোহাম্মদ নুরউদ্দিন। চেষ্টা ছাড়েননি একটুকুর জন্যও। মেধা না থাকলেও প্রতিবার দশম স্তরের পরীক্ষা দিয়ে গেছেন। ফেল করলেও উত্‍সাহ হারাননি। এবার উত্তীর্ণ হলেন। 

তবে, এবার আর তাকে পরীক্ষাই দিতে হয়নি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার জন্য লকডাউনের জেরে এবার মাধ্যমিক স্তরের এসএসসি পরীক্ষাই বাতিল করে তেলেঙ্গানা সরকার। সব পড়ুয়াকেই একাদশে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ৫১ বছরের নুরউদ্দিনও এখন দশম উত্তীর্ণ।

লকডাউন যখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কাছে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে তখন সেই লকডাউনই কার্যত ত্রাতা হয়ে উঠল এই ব্যক্তির কাছে। ৩৩ বছরে যে স্বপ্ন সফল হয়নি সেটাই হয়ে গেল করোনা আবহে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, 'সরকার কোভিড-১৯ এর জন্য পরীক্ষা বাতিল করল বলে আমি এবার পাশ করে গেলাম।' ইংরেজিতে বরাবরই কাঁচা নুরউদ্দিন। কিন্তু তাকে টিউশন পড়ানোরও কেউ নেই। 

নুরউদ্দিন নিজেই জানিয়েছেন, 'আমি ইংরেজিতে বরাবরই খুব দুর্বল আর আমকে পড়ানোর মতো কেউ নেই। তবে আমার ভাই আর বোনের সহযোগিতা নিয়ে আমি লেখাপড়া চালিয়ে যাই। আমি ৩৩ বছর ধরে একনাগাড়ে ফেল করেছি। তাও আমি বছরের পর বছর চেষ্টা করে যাই। একটা নিরাপত্তা রক্ষীর চাকরির জন্য দশম শ্রেণি পাশের রেজাল্ট চাওয়া হয়েছিল আমার থেকে।' 

তবে নিরাপত্তা রক্ষীর চাকরির জন্য মাধ্যমিক পাশের অপেক্ষা করতে হয়নি নুরউদ্দিনকে। দশম পাশ না করেই ১৯৮৯ সালে একটা সংস্থার নিরাপত্তা কর্মীর কাজ পেয়ে যান। বেতন পান ৭ হাজার টাকা। চাকরি পাওয়ার পরেও মাধ্যমিকের গণ্ডি টপকানোর চেষ্টা চলতে থাকে চার সন্তানের বাবা নুরউদ্দিনের। একেই বলে লেগে থাকা। থামতে চান না তিনি। নুরউদ্দিন জানিয়েছেন, এবার নতুন উদ্যমে চালিয়ে যাবেন লেখাপড়া।

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা কামাল উদ্দীন

লস্কর বার্তা :: পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বিয়ানীবাজারসহ সিলেটবাসী ও দেশ/বিদেশে অবস্থানরত জাতী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা কামাল উদ্দীন।

দেশবাসীকে ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এক বার্তায় তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে৷ তাই এ ঈদ সকল কালিমা আর কলুষতাকে ধুয়ে মুছে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে পরস্পরকে ভালোবাসা ও প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে।

শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখতে হলে আমাদের সকলকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাই সরকারের পাশে থাকতে হবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে। সরকারের পাশাপাশী আমাদের প্রত্যেককে কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। তবেই দেশের দারিদ্র বিমোচন, অর্থনৈতিক বৈষম্য দুর হবে এবং মানুষের আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব। ঈদ হল খুশি আর আনন্দের উৎসব। ঈদ শান্তি সম্প্রীতির উৎসব।

ঈদ আনন্দে সবার জীবন ভরে উঠুক এই প্রত্যাশায় সকলকে ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সুস্থ্য থাকুন, সচেতন থাকুন, ঈদ মোবারক।

আল্লাহ ও তার বান্দার মাঝে নিবিড় সেতুবন্ধনের এক অনন্য মাধ্যম হচ্ছে কোরবানী


হাফিজুল ইসলাম লস্কর।।
কোরবানী শব্দের শাব্দিক অর্থ আত্মত্যাগ, উৎসর্গ বা বিসর্জন ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর নামে কোনো কিছু উৎসর্গ করার নাম কোরবানী। প্রচলিত অর্থে কোরবানী হলো পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নির্দিষ্ট জানোয়ার জবেহ করা।

কোরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কোরবানী করা ওয়াজিব।

কুরআন-হাদিসে কোরবানীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনে পাকের সবচেয়ে ছোট সূরা আল-কাওছারে বলেছেন, ‘অতএব তুমি তোমার প্রভুর উদ্দেশে নামাজ পড়ো এবং কোরবানী করো।’

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানী পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫। 

ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরী। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী তা সম্পাদন করা।

মহান আল্লাহ তায়ালার প্রত্যেক বিধানের পিছনে রয়েছে অর্ন্তনিহীত তাৎপর্য। বান্দা ও তার প্রভুর মাঝে গভীর ভালবাসা, অকৃত্রিম প্রেম-প্রীতি ও নিবিড় সেতুবন্ধনের এক অনন্য উপায় হচ্ছে কোরবানী। আল্লাহর দেওয়া জীবন ও সম্পদ থেকে আল্লাহর নামে কোন কিছু উৎসর্গ করার নামই হচ্ছে কোরবানী।

কোরবানীর প্রবর্তন কীভাবে, কখন থেকে এবং কোরবানীর মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামীন আল কুরআনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। আদি মানব হজরত আদমের (আ.) দু'পুত্র হাবিল ও কাবিলের কোরবানীই পৃথিবীর প্রথম কোরবানী। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন_"আদমের দু'পুত্রের (হাবিল ও কাবিল) বৃত্তান্ত তুমি তাদের যথাযথভাবে শুনাও যখন তারা উভয়ে কোরবানী করল। তখন এক জনের কোরবানী কবুল হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না, আল্লাহ মুত্তাকীদের কোরবানী কবুল করেন।" (সূরা মায়িদা, আয়াত-২৭)।

এখানে কোরবানী কবুল হওয়ার জন্য মুত্তাকী বা খোদাভীতিপূর্ণ পরিশুদ্ধ চিত্ততার কথা বলা হয়েছে। হাবিলের মধ্যে এটা ছিল তাই তাঁর কোরবানী আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। কিন্তু কাবিলের মধ্যে এর অভাব ছিল, ফলে তার কোরবানী কবুল হয়নি। সে কারণে সে ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিলকে হত্যা করল। খোদাভীতি না থাকলে তার কোরবানী তো কবুল হয়ই না, বরং সে একটির পর একটি অন্যায় কাজে প্রলুব্ধ ও ক্ষিপ্ত হয় এটা তারই প্রমাণ। তাই খোদাভীতি বা তাকওয়া শুধু কোরবানী কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত নয়, বরং যে কোন ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত আদর্শ মুসলমান হওয়া।

এ খোদাভীতি বা তাকওয়ার জীবন্ত প্রতীক ছিলেন আল্লাহর নবী-রাসূলগণ। যুগে যুগে তাঁদের অনুসরণ করে একদল লোক প্রকৃত মুমিন বা আদর্শ মানুষে পরিণত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। কোরবানীর ক্ষেত্রে তাকওয়ার চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন মুসলিম মিল্লাতের পিতা হজরত ইবরাহীম (আ.) হজরত ইসমাঈল (আ.) এবং হজরত হাজেরা (আ.)।

আমরা যে কোরবানী করে থাকি তা মুসলিম মিল্লাতের পিতা হজরত ইবরাহীমের (আ.) সুন্নত হিসেবে, আল্লাহর নির্দেশে তাঁর ও তৎপুত্র হজরত ইসমাঈলের (আ.) চরম আত্মোৎসর্গের ঐতিহাসিক স্মৃতিকে স্মরণ করে। স্বামী-স্ত্রী ও পুত্রের চরম আত্মোৎসর্গের স্মৃতিকে স্মরণ করে প্রতিবছর দশই জিলহজ তারিখে হাজীগণ মীনায় এবং দুনিয়ার সর্বত্র সমর্থ মুসলমানগণ জিলহজ মাসের দশ থেকে বার তারিখ পর্যন্ত কোরবানী করে থাকে। হজরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার প্রাণাধিক পুত্র হজরত ইসমাঈলকে (আ.) নিজ হাতে কোরবানী করার জন্য উদ্যত হয়ে মহান আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। অবশ্য আল্লাহর অশেষ কুদরত ও মেহেরবানীতে হজরত ইসমাঈলের (আ.) পরিবর্তে কোরবানী হয়েছিল বেহেশত থেকে প্রেরিত একটি হৃষ্টপুষ্ট দুম্বা। হজরত ইবরাহীমের (আ.) আত্মত্যাগ বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য ও অবিস্মরণীয় ঘটনা।

পবিত্র কোরআনের বর্ণনায় ইব্রাহীম (আ.)-এর স্মৃতিকথা বিবৃত হয়েছে এভাবে- অতঃপর সে (ইসমাইল) যখন পিতার সাথে চলাফেরার বয়সে উপনীত হলো, তখন ইব্রাহিম তাকে বলল : বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি, আমি তোমাকে জবাই করছি; এখন তোমার অভিমত কী সেটা ভেবে বল। সে বলল, পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তাই করুন। আল্লাহ ইচ্ছায় আপনি আমাকে সবরকারী হিসেবে পাবেন। যখন পিতা-পুত্র উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহিম তাকে জবাই করার জন্য শায়িত করলেন। তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইব্রাহিম! তুমি তো  স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি।

কোরবানী ইতিহাস আত্মত্যাগের ইতিহাস, আত্মোৎসর্গের ইতিহাস। মানবজাতির ইতিহাসে পিতা-মাতা-পুত্রের চরম আত্মোৎসর্গের এরূপ দৃষ্টান্ত আর কখনো দেখা যায় না। তাই আল্লাহ মানবজাতিকে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে এ চরম ও অত্যুজ্জ্বল আত্মোৎসর্গের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছেন ঈদুল আযহা ও কোরবানীর মাধ্যমে।

প্রাক-ইসলামী যুগে মানুষ কোরবানীর করার পর কোরবানীর পশুর গোস্ত আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন করার জন্য কাবা ঘরের সামনে এনে রেখে দিত, পশুর রক্ত কাবার দেয়ালে লেপ্টে দেওয়া হত। সূরা হজের ৩৭ নং আয়াতে এ কুপ্রথার মূলেৎপাটন করে আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্টভাবে বলেন : কোরবানীর পশুর রক্ত-মাংসের কোন প্রয়োজন আল্লাহর নেই; তিনি যা চান তা হলো কোরবানীকারীর তাকওয়া, আল্লাহর প্রতি একান্ত আনুগত্য ও আল্লাহর প্রতি মু'মিন-চিত্তের একাগ্রতা। হজরত ইবরাহীম (আ.), হজরত ইসমাঈল (আ.) ও হজরত হাজেরার (আ.) মাধ্যমে আল্লাহ এরই পরীক্ষা নিয়েছিলেন।

পশু কোরবানীর মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে মুমিনদের এ পরীক্ষার ঐতিহাসিক ধারাই চলে আসছে। কোরবানীকারী পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে তার তাকওয়ার পরীক্ষা দেন। আর একথা সুবিদিত যে, স্বার্থপরতা ও কুপ্রবৃত্তির মধ্যে কখনো তাকওয়া বা খোদাভীতির সৃষ্টি হয় না। অতএব, কোরবানী আমাদের এসব মানবিক দুর্বলতার ঊর্ধে ওঠার শিক্ষা দেয়। আত্মশুদ্ধির জন্য যেমন এ ধরনের প্রশিক্ষণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ, কল্যাণময়, সুন্দর মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যও তেমনি এটা অপরিহার্য। এদিক দিয়ে কোরবানীর গুরুত্ব ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে অপরিসীম।

আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যারা আল্লাহর নামে কোরবানী করে তাদের জন্য সীমাহীন সওয়াবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। পশু কোরবানীর মাধ্যমে আত্মত্যাগের অপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও সহানুভূতির গভীর বন্ধনে শান্তির বাতাস বয়। গরিব-দুঃখী, দীনহীন অনাথ এতিম মানুষজন এক দিনের জন্য হলেও নিজেদের অধিকার ফিরে পায়। ঘরে ঘরে জেগে ওঠে দ্বীনি আমেজ।



.
আল্লাহর বান্দা,
হাফিয মাও. হাফিজুল ইসলাম লস্কর,
শিক্ষক:-জামেয়া দারুল উলুম, সিলেট,
সম্পাদক:- সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠ।

চরনারচর ইউনিয়নবাসীকে চেয়ারম্যান রতন তালুকদারের ঈদ শুভেচ্ছা


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশী । মুসলমান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমি রতন কুমার দাস তালুকদার তৃণমূলের একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার চরনারচর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারনসহ সুনামগঞ্জবাসীকে জানাই অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ঈদ মোবারক।

পাশাপাশি এই আনন্দের মাঝেও দুঃখ প্রকাশ করছি আজ শুক্রবার ভোরবেলা আমার ইউনিয়নের শ্যামারচর গ্রামের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব তাজপুরে ব্র্যাকে কর্মরত  চাকুরীজীবি স্বপন কুমার দাস,তার ন্ত্রী লাভলী রানী দাস ও তিন ছেলেকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে প্রাইভেট কারযোগে নিজ বাড়ি দিরাই উপজেলার শ্যামারচর গ্রামে ফেরার পথে সিলেটের ওসমানী নগর এলাকায় কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি,তার ন্ত্রী ও দুই সন্তান এবং কারের চালক ঘনাস্থলেই নিহত হন এবং অপর এক ছেলেকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
 
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মতো বৈর্শ্বিক মহমারীর পাশাপাশি তিনদফা বন্যায় সাধারন মানুষজনের মধ্যে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্রান করে দিয়েছে। তারপরেও সবাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং ধনী গরীবের বৈষম্যকে পেছনে ফেলে ঈদের আনন্দটা সবার মাঝে সমানভাবে বর্সিত হোক সেই প্রত্যাশা রইল। তাই ঈদের এই সন্ধিক্ষণে আমার প্রিয় চরনারচর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারনসহ সুনামগঞ্জবাসীকে আবারো ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সবাইকে ঈদ মোবারক।
.
শুভেচ্ছান্তে
রতন কুমার দাস তালুকদার,
চেয়ারম্যান:- চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদ।

বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০

আজই বিদায় জানান তামাকে, নইলে ঘটে পারে মারাক্তক বিপদ


লস্কর বার্তা ডেস্ক :: তামাক বা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যাবহার পৃথিবী জুরে। এই বিপক্ষে এতো প্রচারনা সর্তেও অনেকেই এখনও গ্রহন করছেন এই তামাক। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে তামাকের সমার্থক শব্দ ছিল ক্যনসার। আর এখনকার অতিমারির সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তামাকের সঙ্গে নোভেল করোনাভাইরাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। করোনাভাইরাসেরও খুব পছন্দ সিগারেট, বিড়ি-সহ নানান তামাকজাত নেশার জিনিস।

কেননা ধুমপান করলে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে এসিই-২ নামে এক বিশেষ রিসেপ্টরের সংখ্যা বহু গুণ বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, কোভিড ১৯ ভাইরাস আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে থাকা এসিই-২ রিসেপটরকে সরাসরি আক্রমণ করে। তাই ধূমপায়ীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। তাই করোনা প্রতিরোধে আজ বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবসে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তামাকে আসক্তির গোড়ার কথা

যিশু খ্রিস্টের জন্মের ছয় হাজার বছর আগে তামাক গাছের জন্মের কিছু নমুনা মিলেছে। সেই সময়ে আমেরিকানরা দাঁতের ব্যথা কমাতে ও কেটে যাওয়ার ওষুধ হিসেবে তামাক পাতা ব্যবহার করতেন। ১৫৮৮ সালে ভার্জিনিয়ার টমাস হ্যারিয়েট তামাক পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া টেনে নতুন নেশার জন্ম দেন। সে সময়ে মুখ দিয়ে ধোঁয়া টেনে নাক দিয়ে বের করাটা পুরুষত্বের প্রতীক ছিল। টমাস হ্যারিয়েট অত্যন্ত বেশি পরিমাণে তামাকের ধোঁয়া টেনে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু তাতেও আটকানো যায়নি ধূমপানের বিস্তার। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে স্বর্ণমুদ্রার পরিবর্তে তামাক পাতা দিয়ে বেচাকেনা শুরু হল। ১৯০২ সালে শুরু হল বিশ্ব বিখ্যাত সিগারেট কোম্পানি মার্লবোরো ব্র্যান্ড। তার পর বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল সিগারেট, চুরুট, পাইপ, বিড়ি-সহ তামাকের নেশার নানা সামগ্রী।

নো টোবাকো ডে

সিগারেট, বিড়ি-সহ সব ধরনের তামাক থেকে বিপদের কথা জেনে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩১ মে পৃথিবী জুড়ে তামাক বিরোধী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। তখন থেকেই বিশ্ব জুড়ে ধূমপান ও তামাকের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা প্রচার শুরু হয়। কিন্তু তাও বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ তামাকে আসক্ত। এ বারের নো টোবাকো ডে-র থিম ‘প্রোটেকটিং ইউথ ফ্রম ইন্ডাস্ট্রি ম্যানিপুলেশন অ্যান্ড প্রিভেন্ট দেম ফ্রম টোব্যাকো অ্যান্ড নিকোটিন ইউজ’। আসলে অন্যান্য দেশের তরুণ প্রজন্ম এ বিষয়ে অনেক সচেতন। কিন্তু আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা এখনও সিগারেটের প্রেমে মগ্ন। তামাককে জীবন থেকে বিদায় না করতে পারলে করোনা, হার্টের নানা অসুখ আর ক্যানসারের ত্র্যহস্পর্শে দেশের ভাবীকাল ধুঁকতে থাকবে।

তামাকের ধোঁয়ার ক্ষতি

নানা ধরনের ক্যানসার থেকে শুরু করে হার্টের অসুখ, বুদ্ধিনাশ, অকাল বার্ধক্যের মতো নানা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে তামাকের, বললেন মেডিসিন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসক দীপঙ্কর সরকার। নিকোটিন ছাড়াও সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকা নানা ক্ষতিকর রাসায়ানিকের প্রভাবে মস্তিষ্কের বাইরের দিকের স্তর কর্টেক্স (এর আর এক নাম গ্রে ম্যাটার) ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। এডিনবার্গ ও ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক সমীক্ষা করে এর প্রমাণ পেয়েছেন। প্রায় ৫৫০ জন ধূমপায়ীর মস্তিষ্কের এমআরআই করে দেখা গিয়েছে, অধুমপায়ীদের তুলনায় তাঁদের গ্রে ম্যাটারের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে। প্রসঙ্গত সেরিব্রাল কর্টেক্স অর্থাৎ মস্তিষ্কের বাইরের স্তর মোট মস্তিষ্কের দুই তৃতীয়াংশ এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিগারেটের ধোঁয়ার ক্ষতিকর রাসায়ানিকের প্রভাবে ব্রেনের গ্রে সেল ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। কর্টেক্স বা গ্রে ম্যাটার ব্রেনের সব থেকে উন্নত অংশ। এই অংশই আমাদের বুদ্ধি, ভাবনা চিন্তার শক্তি, কথা বলা ও বোঝা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা-সহ বিভিন্ন মানসিক বিকাশের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। তাই এই অংশের ক্ষয় হলে সামগ্রিক ভাবে বুদ্ধি যায় কমে।

ধূমপানে করোনা সংক্রমণ ও অন্যান্য সমস্যা বাড়ে

· অনেক তরুণকেই বলতে শোনা যায়, ধূমপান পৌরুষের প্রতীক। চিকিৎসা বিজ্ঞান আবার উল্টো কথা বলছে। ধূমপায়ী পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। শুক্রাণুর বিকৃত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। একই সঙ্গে পুরুষত্বহীনতা ডেকে আনতে পারে ধূমপান। পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ ধূমপান।

· মেয়েদের মা হওয়ার ক্ষমতা কমায় ধূমপান। মেন্সট্রুয়াল সাইকেল এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। মেনোপজ এগিয়ে আসে। সার্ভিক্স-সহ অন্যান্য ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে।

· শ্বাসনালী আর ফুসফুসের সব থেকে বেশি ক্ষতি করে সিগারেটের ধোঁয়া। শ্বাসনালীর ওপরের আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্দি, হাঁচি, কাশির পাশাপাশি বার বার শ্বাসনালীর সংক্রমণ হয়। ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতাও কমে যায় বলে জানালেন দীপঙ্করবাবু।

· কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সায়ানাইড, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, লেড-সহ অজস্র মেটাল এবং বিভিন্ন তেজষ্ক্রিয় পদার্থ থাকে সিগারেট, বিড়ির ধোঁয়ায়। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রাসায়ানিকই ক্যানসার উদ্দীপক।

· তামাক আর ক্যানসার প্রায় সমার্থক। নাক, কান, গলা, মুখের মধ্যে ও জিভের ক্যানসারের সঙ্গে সঙ্গে গলা, স্বরযন্ত্র, ফুসফুস ইত্যাদি বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসারের অন্যতম কারণ তামাক।

· ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

· রক্তচাপ ও হার্ট রেট বেড়ে যায় তামাক সেবনে।

· রক্তনালীর সংকোচনের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

· রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। একই সঙ্গে রক্ত অতিরিক্ত চটচটে হয়ে যাওয়ায় জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে। ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাক হয় ও মস্তিষ্কে সমস্যা হয়।

· ধূমপান নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

· ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই।

· চোখের নানা সমস্যা-সহ অন্ধত্বের আশঙ্কা বাড়ে।

· মাড়ি ও দাঁতের অসুখের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

· বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

তাই নিজের ও পরিবারের স্বার্থে তামাককে জীবন থেকে গুডবাই করে ভাল থাকুন।
.
তথ্যসূত্রঃ আনন্দবাজার

আগামি বিশ্বে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর বাজার থাকবে চীনের দখলে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  কোভিড নাইনটিন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চীনসহ সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর বাজার গড়ে উঠেছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর ম'হামারি নিয়ন্ত্রণে আসলে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এজন্য নিয়মনীতি শক্তিশালী করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিচ্ছে দেশটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ মহামারিতে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর বাজার থাকবে চীনের দখলে।

লস এঞ্জেলসের ব্যবসায়ী তাম্মাবাত্তুলা। মহামা'রিতে পুষ্টিসামগ্রী আর প্রসাধনীর উৎপাদন থেকে সরে এসে শুরু করেছেন মাস্ক আর স্যানিটাইজার উৎপাদন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন আর বিক্রি তার কাছে বেশ ক'ঠিন। কারণ এখানে এমন কোন কোম্পানি খুঁজে পাওয়া ভার, যারা পাম্প হ্যান্ডেলের সাথে প্লাস্টিক বোতল তৈরি আর বিক্রি করে। এজন্য তার চীন থেকে ব্যয়বহুল চাটার্ড ফ্লাইটে করে মেশিনটি আমদানি করতে হয়েছে। তাই তুলনা করলে চীনে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবসা পরিচালনা করা বেশ সহজ বলে মনে করেন তিনিসহ তার মতো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

মহামারি শুরুর পর চীনে মাস্ক, গ্লোভস, টেস্ট কিট আর পিপিইসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছর মাস্ক তৈরি এবং বিক্রির জন্য নিবন্ধিত হয়েছে ৬৭'র বেশি কোম্পানি। সরকারও দিচ্ছে স্বল্প সুদে ঋণ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের জন্য স্থানসহ প্রয়োজনীয় সব সহায়তা।

চীন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, 'মেড ইন চায়না ২০২৫' নীতির আওতায় ৩০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করা হবে আমদানি নির্ভর পণ্যগুলো দেশে তৈরির জন্য। সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হবে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। সরকারও দিচ্ছে ভর্তুকি। ভেন্টিলেটর আর অন্যান্য আইসিউ সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেনঝেন মিনড্রে পেয়েছে দেড় কোটি ডলার ঋণ। মাস্ক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উইনার মেডিকেল পেয়েছে ৩০ থেকে ৪০ লাখ ডলার ঋণ। হাসপাতালগুলোও দেশীয় স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী কিনছে। চীনের স্থানীয় সরকার, শুধু শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল এসব পণ্য আমদানি করতে পারবে। বাকি হাসপাতালগুলোকে চীনা পণ্যই কিনতে হবে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি পিস মাস্ক রফতানি করেছে চীন। গেলো বছর ২ হাজার কোটি পিস মাস্ক তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বে, যেখানে চীনেই তৈরি হয়েছে অর্ধেক মাস্ক।-সময়নিউজ

যে সকল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উপসর্গ নেই তারা করোনা ছড়ায় না বলেছে ডব্লিউএইচও


লস্কর বার্তা ডেস্ক : যে সকল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উপসর্গ নেই তারা করোনা ছড়ায় না বলেছে ডব্লিউএইচও।  উপসর্গ নেই এমন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়ায় না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখভ।

সোমবার এ সম্পর্কে তিনি বলেন, কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান ও তথ্য থেকে এমন ধারণা করা হচ্ছে। তবে এনিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না, এ বিষয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন।

করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্যে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তা করোনা পজিটিভ ব্যক্তি উপসর্গহীন হলেও ছড়ায়। এর পর ডব্লিউএইচও’র পক্ষ থেকে নতুন করে এই তথ্য বলা হল।

মারিয়া আরো জানান, উপসর্গহীন ব্যক্তি যদি করোনা সংক্রমণ ছড়ায় তবে তা ‘খুবই বিরল’ ঘটনা।

তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ এখন করোনা শনাক্তকরণের ওপর জোর দেয়া এবং করোনায় আক্রান্ত উপসর্গ ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রাখা। সেইসঙ্গে যারা আক্তান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছে তাদের চিহ্নিত করা।

এদিকে বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে এবং আক্রান্ত দেশগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক ড. টেডরোস আধানম।

তিনি বলেছেন, গত ১০ দিনের মধ্যে নয়দিনই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখেরও বেশি করে। সর্বশেষ রোববার এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৩৬ হাজার, যা বিশ্বজুড়ে একদিনে আক্রান্তের নতুন রেকর্ড।
.
সূত্র: ডেইলি মেইল