বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

ওডিআই বরনে প্রস্তুত সিলেট স্টেডিয়াম…

হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সবুজ গালিচায় আচ্ছ্রাদিত চির সবুজ ক্রিকেট মাঠ খ্যাত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রস্তুত টেষ্ট অভিষেক'র পর ওডিআই ক্রিকেটে অভিষেকের। ২২তারিখ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের একটি ওডিআই ম্যাচ আয়োজন হবে সিলেটে। ১৪ ডিসেম্বর ম্যাচটি আয়োজিত হবে। আর এই সিরিজের ওডিআই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আগামী মাসেই ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হবে দেশের নান্দনিক এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি।

শুধু ওয়ানডে ম্যাচই নয়, বাংলাদেশ সফরের থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১৭ ডিসেম্বর সিলেটে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে টাইগার বাহিনী। এ দুই ম্যাচের টিকেটের বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি বিসিবি।

চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টি-২০ম্যাচের মাধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আর এই বছরের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে পা রাখে সিলেট শহরতলির লাক্কাতুরাস্থ এই স্টেডিয়ামটি। আর এখন সম্পুর্ণ প্রস্তুত ১৭ ডিসেম্বরের বাংলাদেশ বনাম  ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার এক দিবসীয় ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যে দিয়ে ওডিআই অভিষেকের।


.
হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সবুজ গালিচায় আচ্ছ্রাদিত চির সবুজ ক্রিকেট মাঠ খ্যাত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রস্তুত টেষ্ট অভিষেক'র পর ওডিআই ক্রিকেটে অভিষেকের। ২২তারিখ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের একটি ওডিআই ম্যাচ আয়োজন হবে সিলেটে। ১৪ ডিসেম্বর ম্যাচটি আয়োজিত হবে। আর এই সিরিজের ওডিআই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আগামী মাসেই ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হবে দেশের নান্দনিক এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি।

শুধু ওয়ানডে ম্যাচই নয়, বাংলাদেশ সফরের থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১৭ ডিসেম্বর সিলেটে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে টাইগার বাহিনী। এ দুই ম্যাচের টিকেটের বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি বিসিবি।

চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টি-২০ম্যাচের মাধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আর এই বছরের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে পা রাখে সিলেট শহরতলির লাক্কাতুরাস্থ এই স্টেডিয়ামটি। আর এখন সম্পুর্ণ প্রস্তুত ১৭ ডিসেম্বরের বাংলাদেশ বনাম  ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার এক দিবসীয় ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যে দিয়ে ওডিআই অভিষেকের।

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮

সিএইচটি মিডিয়ার প্রধান সম্পাদককে হাফিজুল ইসলাম লস্করের অভিনন্দন

বাশারুল ইসলাম, সিলেট থেকে :: অনলাইন মিডিয়া জগতের পরিচিত মুখ, চট্টগ্রাম অনলাইন মিডিয়া জগতের আইকন, প্রতিযশা সাংবাদিক ও কলামিষ্ট নির্মল বড়ুয়া মিলনকে জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করায় জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ সাইফুল ইসলাম কবির ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুসহ ফোরামের সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান নির্মল বড়ুয়া মিলন সাহেবকে অভিনন্দন জানান সিলেটের মোবাইল সাংবাদিকতা জগতের প্রতিকৃত, বাংলাদেশ রিপোর্টাস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক, হাফিজুল ইসলাম লস্কর।

উল্লেখ্য, বুধবার (৮নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে গনমাধ্যমে কর্মরত বিভিন্ন সংবাদপত্র, বেসরকারি টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের পেশাদার রিপোর্টারদের নিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, সামাজিক দায়বদ্ধতা, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা চর্চা, ইতিবাচক পরিবর্তন, বৈষম্য দূর, সাংবাদিকদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধিসহ নানা উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম।

দক্ষ জনশক্তি তৈরি, সামাজিক দায়বদ্ধতা, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা চর্চা, ইতিবাচক পরিবর্তন, বৈষম্য দূর, সাংবাদিকদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধিসহ নানা উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে দেশ জুড়ে সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতা, নির্যাতনের বিষয়টি মাথায় রেখে যে কোনো বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যাক্ত করে ৯১ সদস্য বিশিষ্ঠ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ সাইফুল ইসলাম কবির এর সভাপতিত্বে বিশেষ সাধারণ সভার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিততে .দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, দৈনিক আমাদের নতুন সময়.আমাদের সময়.কম এর প্রতিনিধি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ সাইফুল ইসলাম কবিরকে চেয়ারম্যান, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি.আমাদের সময়.কম এর প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুকে মহাসচিব ও চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে প্রকাশিত সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলনকে কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।

শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮

লাখো তৌহিদী জনতাকে কাঁদিয়ে চির নিদ্রায় শায়িত সিলেটের সিংহ পুরুষ

হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: লাখো তৌহিদী জনতাকে কাঁদিয়ে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সিলেটের সিংহ পুরুষ, ইসলামি আন্দোলনের সিপাহসালার , বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির, জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান।

আজ ১৯ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুম'আ বিকেল ৩-৩০মিনিটের সময় সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে কয়েক লক্ষ মুসল্লির অংশগ্রহনে নামাজের জানাযার মাধ্যমে চির বিদায় জানানো হয় ইসলামী রেনেসার এই সিপাহসালার প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান-কে।

নামাযে জানাযায় ইমামতি করেন প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে মুফতি মাওলানা আব্দুর রহমান ইউসুফ। নামাযে জানাযার পূর্বে প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন

জানাযার পূর্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক বর্নভী, কাজির বাজার জামেয়ার শায়খুল হাদিস আহমদ আলী, জামেয়া মাহমুদিয়া সুবহানীঘাটের মুহতামিম মাওলানা শফিকুল হক আমকুনী, সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া,

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী,

সিলেট সিটির সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বাবরুল হোসেন বাবুল, মজলিস নেতা মাওলানা মামুনুল হক, রেঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের বড় ছেলে ও কাজিরবাজার মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা ছামিউর রহমান মুসা। সঞ্চালনা করেন কাজির বাজার জামেয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ।

বক্তারা বলেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান বিশ্বব্যাপী ইসলামের শ্বাশত মূলধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রচার প্রসারে ও দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তৌহিদী জনতা একজন যোগ্য অভিভাবককে হারিয়েছেন। তাঁর ইন্তেকালে কওমী অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়। দৌহিদী জনতা তাঁর অবদানকে চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। নেতৃবৃন্দ হুজুরের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।

রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

একটু থামুন দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য

একটু থামুন দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য

.
হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: মাহমুদুল্লাহ, ইমরুল ও মুশফিকের কাধেঁ ভর করে আফগান জুজু কাটিয়ে উঠলো বাংলাদেশ। এবং মুস্তাফিজ ও মাশরাফির বোলিং নৈপুণ্যে ৩রানে জিতলো বাংলাদেশ।
.
পরিশেষে নির্বাচকদের উদ্দ্যেশ্যে বলতে চাই, গুরুত্বপুর্ন সিরিজে বিশেষ করে এশিয়া কাপের মতো টুনামেন্টে নবীরদেরকে ঠেলে দিয়ে তাদের উজ্জল ভবিষ্যত নিয়ে চিনিমিনি খেলবেন না।

সেই সাথে একই সাথে তিন/চার নবীন খেলোয়ারকে অভিষেক করিয়ে দেওয়ার তামাশা বন্ধ করুন। দলের প্রয়োজনে একজন খোলোয়ারকে অভিষেক করানো যেতে পারে। তাই বলে তিন বা চাঁর জনকে নয়।

অভিজ্ঞদের উপর থেকে হুট করে আস্তা হারিয়ে ফেলবেন না। তাতে তাদের নয় আপনাদেরই দক্ষতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। এই এশিয়া কাপসহ বিগত সিরিজগুলোতে এটা বারবার প্রমানিত হয়েছে প্রতিভার চেয়ে অভিজ্ঞতাই অগ্রগামী ছিল।

এই সিরিজে যে ইমরুলকে অবজ্ঞা করা হয়েছিল সেই ইমরুলই প্রমান করে দিয়েছে যে আপনারা নির্বাচকরা ভুল ছিলেন। আপনারা যে, নির্বাচক প্যানেল ভুলের উপর দাড়িয়ে টিম সিলেকশন করেন, তা যে ভুল তা একবার নয় হাজার বার শাহরিয়ার নাফিস, ইমরুল, আব্দুর রাজ্জাক, নাইম ইসলাম, আল আমিন ও মো: মিথুনরা ভুল প্রমান করেছে।

তবু কেন আপনাদের বোধোদয় হয় না তা আমরা সাধারন ক্রীড়ামোদী দর্শকদের বুঝে আসেনা। সেই সাথে আপনারা টি২০ খেলোয়ার যিনি তাকে টেষ্ট ক্রিকেটে, টেষ্ট মেজাজের খেলোয়ারকে টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক করিয়ে অতীতে আপনাদের অযোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন। এখন একটু এই অতি পরিক্ষা-নিরিক্ষা থেকে থামুন দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য। এবং দয়া করে যোগ্য খেলোয়ারকে যোগ্য ফরমেটে সুজোগ দিন তাও আস্তেধীরে।

সেই সাথে তাদের ভুলে যাবেন না, যাদের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেট এত দুর পর্যন্ত এসেছে। তুষার ইমরান, নাইম ইসলাম ও শাহরিয়াল নাফিসরা কি দোষ করেছে যে  তাদের কে টেষ্ট কিংবা ওয়ানডে ক্রিকেটে সুজোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ব ক্রিকেটে দেখুন এর চেয়ে বেশি বয়েসি খেলোয়ালেরা দাপটের সাথে খেলে যাচ্ছে। দয়া করে তাদের অন্তত আরো তিনটি সুজোগ দেওয়া হোক।

সেই সাথে ড্যাশিং ওপেনার তামিমের সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভবনাময় খেলোয়ার মেহেদী মিরাজকে ওপেন করানো হোক। কারন মাশরাফীর পরে যোগ্য অধিনায়ক হতে পারেন এই মেহেদী মিরাজই। মেহেদী মিরাজ হাড-হিটার নয় সে কিন্তু ইকোনমি খেলোয়ার। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থে তাকে দিয়ে পাচঁ থেকে সাতটি ম্যাচে ওপেন করিয়ে দেখা যেতে পারে। সেই সাথে এনামুল বিজয়কে আরো কিছু সুজোগ দেওয়া হোক।

মুমিনুর হক ও আবু হায়দার রনি বাংলাদেশের সম্পদ তাই তাদের এক ম্যাচ খেলিয়ে বসিয়ে রাখা ঠিক হয়নি। সেটা একটু ভেবে দেখুন। সব খেলোয়ারকে সমান সুজোগ প্রদান করুন তাদের প্রতিভা বিকাশ করার জন্য। সর্বোপরি বাংলাদেশ আগামী ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনারে খেলবে এই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করে এখানেই শেষ করলাম।

.
লেখক,
হাফিজুল ইসলাম লস্কর,
নির্বাহী সম্পাদক : সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠ,
প্রধান সম্পাদক : হলিবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম,
সম্পাদক ও প্রকাশক : দৈনিক লস্কর বার্তা।

শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আর কোন নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাইব না’ কান্নাজড়িত কন্ঠে কামরান

সিলেট প্রতিনিধি :: সিসিক নির্বাচনে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পরাজয় নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন।
সেই সাথে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনের সময়ে সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতাদের ভুমিকা নিয়ে। নির্বাচনের পর থেকেই পরাজয়ের পেছনে তারা একে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।

মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন সিসিকের টানা দুইবারের মেয়র এবং সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান। কিন্তু বিগত দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে কামরানকে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিলেও বিগত নির্বাচনে মাত্র ছয় হাজার ভোটের পরাজয়ে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন কামরান।

এ অবস্থায় সিলেটে আলোচনায় উঠেছিল দলীয় সমন্বয়হীনতায় সিটি নির্বাচনে পরাজিত কামরান পেতে পারেন আরো বড় কিছু। ধারণা করা হচ্ছিল হয়ত উপহার হিসেবে দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সংসদীয় আসন সিলেট-১ থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে তাকে।
এমনটার দাবী জানাচ্ছিলেন তার অনুসারী নেতাকর্মীরাও।

সিটি নির্বাচনের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে লেখালেখি করছেন তারা। এমন গুঞ্জন ছিল নগরজুড়ে।
কিন্তু সেই গুঞ্জন নিজেই উড়িয়ে দিয়েছেন স্বয়ং কামরান।

গত বৃহস্পতিবার সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারী মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে কামরান বলেছেন- ‘আমার জন্য সিলেটবাসী অনেক কষ্ট করেছেন। আমাকে বার বার ভোট দিয়েছেন। আজ আমি আপনাদের সামনে বলছি আমার আর মনোনয়নের দরকার নেই। আমি আর কোন নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাইব না’।

কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন- ‘আজকে এই মঞ্চে সিটি মেয়র হিসেবে আমার বসার কথা ছিল। কিন্তু, এ বিজয় আমি আপনাদের উপহার দিতে পারিনি। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আর কাঁদতে পারিনা, আমি কাঁদলে কর্মীরা কাঁদে, এই সিলেটের মানুষ কাঁদে’।

এদিকে কামরানের পরাজয় নিয়ে বিব্রত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগও। সারাদেশে সিটি নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হলেও পরাজয় ঘটেছে সিলেটে। আর পরাজয়ের পেছনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এবং নেতাকর্মীদের প্রচুর অভিযোগ পড়েছে কেন্দ্রে। এসব বিষয় ক্ষতিয়ে দেখতে সিটি নির্বাচনের এক মাসের মাথায় গত বৃহস্পতিবার সিলেটে এসেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এনামুল হক শামিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান।

বঙ্গবীরের শততম জন্মদিন আজ

সিলেট প্রতিনিধি :: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর শততম জন্মদিন আজ (০১ সেপ্টেম্বর)। ১৯১৮ সালের এই দিনে বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের কর্মস্থল সুনামগঞ্জে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে।
সিলেটসহ সারাদেশের গর্ব এই কিংবদন্তির শততম জন্মবার্ষিকী বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে পালিত হচ্ছে।

জেনারেল এমএজি ওসমানী তাঁর যৌবনকালে তৎকালীন ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে ব্রিটিশ আর্মির সর্বকনিষ্ঠ মেজর। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন কর্ণেল হিসেবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে এমএনএ নির্বাচিত হন তিনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান হিসেবে অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ আর্মেড ফোর্সের জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন।

১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন তিনি। ১৯৭৪ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পরে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে সংসদ সদস্য পদ ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৯ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান। তবে ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালে জাতীয় জনতা পার্টি নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

এমএ জি ওসমানী ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।

বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দল এবং সংগঠন বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর জন্মবার্ষিকী পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচিতে রয়েছে সিলেট শহরের হজরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ওসমানীর কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা সভা প্রভৃতি।

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮

যে পাতা খেলে ১০টি রোগের উপশম হয়!

লস্কর বার্তা :: থানকুনি পাতা। আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এর ল্যাটিন নাম centella aciatica। গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। থানকুনি পাতার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়। প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় এর ভেষজ গুণ থেকে। খাদ্য উপায়ে এর সরাসরি গ্রহণ রোগ নিরাময়ে থানকুনি যথার্থ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে আদামনি, তিতুরা, টেয়া, মানকি, থানকুনি, আদাগুনগুনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, নামে ডাকা হয়। তবে বর্তমানে থানকুনি বললে সবাই চেনে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কেউ যদি নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করে, তাহলে মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...

১. চুল পড়ার হার কমে:
নানা সময়ে হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে ২-৩ বার থানকুনি পাতা খেলে স্কাল্পের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুল পড়ার মাত্রা কমতে শুরু করে। চুল পড়ার হার কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে? পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা নিয়ে তা থেঁতো করে নিতে হবে। তারপর তার সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসি পাতা এবং আমলা মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। সবশেষে পেস্টটা চুলে লাগিয়ে নিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। ১০ মিনিট পরে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে কম করে ২ বার এইভাবে চুলের পরিচর্যা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

২. টক্সিক উপাদানেরা শরীর থেকে বেরিয়ে যায়:
নানাভাবে সারা দিন ধরে একাধিক ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে, রক্তে প্রবেশ করে। এইসব বিষেদের যদি সময় থাকতে থাকতে শরীর থেকে বের করে দেওয়া না যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! আর এই কাজটি করে থাকে থানকুনি পাতা। কীভাবে করে? এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়। ফলে একাধিক রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

৩. ক্ষতের চিকিৎসা করে:
থানকুনি পাতা শরীরে উপস্থিত স্পেয়োনিনস এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এবার থেকে কোথাও কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অল্প করে থানকুনি পাতা বেঁটে লাগিয়ে দেবেন। দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতারও উন্নতি হবে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে টিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।

৫. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:
থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্য়াটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিনের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

৬. আমাশয়ের মতো সমস্যা দূর হয়:
এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেতে হবে। এমনটা টানা ৭ দিন যদি করতে পারেন, তাহলেই কেল্লাফতে! এই ধরনের সমস্যা কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা বেটে নিন। তারপর সেই রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মেশান। এই মিশ্রনটি দু চামচ করে, দিনে দুবার খেলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে।

৭. পেটের রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে:
অল্প পরিমাণ আম গাছের ছালের সঙ্গে ১ টা আনারসের পাতা, হলুদের রস এবং পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা ভাল করে মিশিয়ে ভাল করে বেটে নিন। এই মিশ্রনটি নিয়মিত খেলে অল্প দিনেই যে কোনও ধরনের পেটের অসুখ সেরে যায়। সেই সঙ্গে ক্রিমির প্রকোপও কমে।

৮. কাশির প্রকোপ কমে:
২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মিশিয়ে খেলে সঙ্গে সঙ্গে কাশি কমে যায়। আর যদি এক সপ্তাহ খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে কাশির কোনও চিহ্নই থাকবে না।

৯. জ্বরের প্রকোপ কমে:
সিজন চেঞ্জের সময় যারা প্রায়শই জ্বরের ধাক্কায় কাবু হয়ে পারেন, তাদের তো থানকুনি পাতা খাওয়া মাস্ট! কারণ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে জ্বরের সময় ১ চামচ থানকুনি এবং ১ চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অল্প সময়েই জ্বর সেরা যায়। সেই সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতাও কমে।

১০. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়:
অসময়ে খাওয়ার কারণে ফেঁসেছেন গ্যাস্ট্রিকের জালে? নো প্রবেলম! থানকুনি পাতা কিনে আনুন বাজার থেকে। তাহলেই দেখবেন সমস্যা একেবারে হাতের মধ্যে চলে আসবে। আসলে এক্ষেত্রে একটা ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে। কী সেই চিকিৎসা? হাফ লিটার দুধে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি এবং অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রন থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে প্রতিদিন সকালে খাওয়া শুরু করুন। এমনটা এক সপ্তাহ করলেই দেখবেন উপকার মিলবে।